Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Technology Image

২০১৫ সালের কোন নেক্সাস ডিভাইসটি আপনার কেনা উচিৎ



আপনারা ইতিমধ্যেই সম্ভবত জানতে পেরেছেন যে এই বছরে প্রযুক্তি বিশ্ব পেতে যাচ্ছে দুটি নেক্সাস ডিভাইস, একটি হচ্ছে হুয়াওয়ের তৈরি প্রথম নেক্সাস ডিভাইস এবং অন্যটি এলজির তৈরি তৃতীয় নেক্সাস ডিভাইস। অনেকেই যারা এবছর নতুন নেক্সাস ডিভাইস কিনবেন দেখে আশা করেছিলেন তারা হয়তো অনেকেই কনফিউজড হয়ে গিয়েছেন। আর সেই কনফিউশন দূর করতেই আজ দুটি ডিভাইসের মাঝে ছোট্ট করে যুদ্ধ লাগিয়ে আমরা দেখবো কোন স্মার্টফোনটির কোন বিষয়গুলো ভালো এবং কোনটি কেনা উচিৎ হবে। চলুন তাহলে, ছোট্ট করে আমরা পয়েন্টগুলো বের করে আনার চেষ্টা করি।

আকার
প্রথমেই ডিভাইস দুটির আকার তুলনা করে নেয়া যাক। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এলজির তৈরি নেক্সাস ডিভাইসটি নেক্সাস ৫ ডিভাইসের মতোই একটি ৫.২ ইঞ্চি আকারের ফোন। বর্তমানের ট্রেন্ড অনুযায়ী এই আকারের স্মার্টফোনগুলোকে এখন ছোটই ধরা হয়ে থাকে। আর আপনার যদি সত্যিই এই আকারটি ছোট মনে হয় তবে আপনার হুয়াওয়ের তৈরি ৫.৭ ইঞ্চি আকারের নেক্সাস ডিভাইসটি কেনাই উচিৎ হবে।

ফিল/ম্যাটারিয়াল
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে হুয়াওয়ের তৈরি নেক্সাস ডিভাইসটি হবে একটি মেটাল-ফ্রেমড ফোন যেরকমটি আমরা দেখেছিলাম হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড মেট ৭ ডিভাইসটিতে। অর্থাৎ, চমৎকার আল্যুমিনিয়াম ব্যবহার করার ফলে স্মার্টফোনটি বেশ প্রিমিয়াম ফিল দেবে বলেই আমি আশা করছি। অন্যদিকে এলজির তৈরি নেক্সাস ডিভাইসটির গঠনও রাখা হয়েছে অনেকটা নেক্সাস ৫ এর মতোই, তাই প্রায় একই ম্যাটারিয়ালের তৈরি ফোনটিও যে চমৎকার হবে একথা চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায়।

স্পেসিফিকেশন
নতুন এই দুটি নেক্সাস ডিভাইসই চলবে অ্যান্ড্রয়েডের স্টক অপারেটিং সিস্টেমে তবে পার্থক্য দেখতে পাবেন ডিভাইসগুলোর স্পেসিফিকেশনে। গুজব থকে জানা যায় হুয়াওয়ের তৈরি নেক্সাস ডিভাইসটি হবে একটি হাই-এন্ড ফোন এবং এলজির নেক্সাসটি হবে একটি মিড-রেঞ্জের ডিভাইস। তবে এ থেকে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনা যে হুয়াওয়ে তাদের নিজস্ব কিরিন প্রসেসর ব্যবহার করবে না কোয়ালকম তবে ডিভাইস দুটির স্পেসিফিকেশনে যে বড় ধরণের পার্থক্য থাকবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

ক্যামেরা
ক্যামেরা ইউনিটের দিক থেকে সম্ভবত এলজি নেক্সাসই এগিয়ে থাকবে। কেননা এলজি'র জি৪ ডিভাইসটিতে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম চমৎকার শক্তিশালী একটি ক্যামেরা ইউনিটকে। যদিও, এলজির তৈরি নেক্সাস ডিভাইসটিকে একটি মিড-রেঞ্জ ডিভাইস হিসেবেই বাজারে উন্মুক্ত করা হবে বলেই জানা গিয়েছে তাই এই ডিভাইসে জি৪ এর সমমানের ক্যামেরা যুক্ত করবে কিনা সে বিষয়ে কিঞ্চিৎ সন্দেহ থেকেই যায়! তবে এলজির ক্যামেরা ইউনিটই যে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে থাকবে সে বিষয়ে প্রযুক্তি বোদ্ধারা মোটামুটি নিশ্চিত।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার
হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড মেট ৭ ডিভাইসটিতে আমরা শক্তিশালী একটি ফিঙ্গার প্রিন্টের দেখা পেয়েছিলাম। এবং সে সময়ে অনেকের মতেই ডিভাইসটির ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারটি ছিলো সবচাইতে ভালো। যদিও এই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে স্যামসাং এস৬ এবং ওয়ান প্লাস টু ডিভাইসটি আসার পর তবুও আশা করা যাচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারের দিক থেকে হুয়াওয়ে ডিভাইসটিই এগিয়ে থাকবে।

ব্যাটারি
হুয়াওয়ের নেক্সাস ডিভাইসটি সম্ভবত এগিয়ে থাকবে ব্যাটারির দিক দিয়ে। একটা সময় ছিলো যখন এলজির ডিভাইসগুলো থেকে চমৎকার ব্যাটারি লাইফ পাওয়া যেত, যেমন ধরুন এলজির জি২ ডিভাইসটি। কিন্তু এলজি জি৩ ডিভাইসটি থেকে এর পরবর্তী ডিভাইসগুলোতে তেমন একটা ভালো ব্যাটারি লাইফ দেখা যায়নি।