Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Sports Image

সোনার বাংলার দুই বীর ক্রিকেটার

বিজয়ের মাস আমাদের যেমন এনে দেয় উদ্ধত শিরের সম্মান ঠিক তেমনি কিছু বেদনার কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়। আমরা হারিয়েছি বুদ্ধিজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অসংখ্য মা-বোনদের। তাদের মধ্য থেকেই দুজন ক্রিকেট সংগঠক শহীদ মোস্তাক ও ক্রিকেটার শহীদ জুয়েল। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে 'বিজয় দিবস প্রদর্শনী ম্যাচ'।

হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৩টি বছর পার হয়ে গেল। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চারটি দশক পার হয়েছে। এর মাঝে দেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তনটা আকাক্সক্ষার তুলনায় অনেক কম হলেও সমসাময়িক সময়ে স্বাধীন হওয়া অনেক দেশের চেয়ে সেটি কম নয়। দেশে যে কয়টি সেক্টরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে তার মধ্যে ক্রীড়াঙ্গন অন্যতম। তবে ক্রীড়াঙ্গন বলতে শুধু ক্রিকেটের কথাই বলা যায়। ১৯৯৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে ১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। পরের বছরই টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তি এবং আজকের যে অবস্থা তা অন্য যে কোনো সেক্টরের তুলনায় অগ্রগতি উল্লেখ করার মতোই বলা যায়। দেশমাত্রিকার স্বাধীনতা অর্জনের পথে অসংখ্য মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এই লক্ষ প্রাণের মধ্যে বাংলাদেশের দুজন ক্রিকেটার শহীদ জুয়েল ও শহীদ মোস্তাকও যে প্রাণ দিয়েছিলেন সেটি কজন ক্রিকেটভক্ত জানেন! তরুণ প্রজন্মের ক’জন খেলোয়াড়ই বা তাদের সম্পর্কে বলতে পারবেন!

স্বাধীনতার ইতিহাসের প্রতি এ প্রজন্মের এক ধরনের অনীহা যেমন রয়েছে। তেমনি তাদের সম্পর্কে সঠিক প্রচারণার অভাবও রয়েছে যথেষ্ট। প্রতি বছর বিজয় দিবস বা স্বাধীনতা দিবসে অনেকের কথাই ফলাও করে প্রচার করা হয়। আবার অনেক বীর সেনানি এই প্রচারণার বাইরে থেকে যান। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি ও কাদা ছোড়াছুড়িও কম হয় না। ক্রিকেটাঙ্গনে এ দু’জন খেলোয়াড়ের নামে বিজয় দিবসে একটি প্রীতিম্যাচ আয়োজন করা হয় স্বাধীনতার পর থেকেই। এর বাইরে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ জুয়েল ও মোস্তাকের নামে। স্বাধীনতার পর থেকে এটুকু আনুষ্ঠানিকতা দিয়েই দুই শহীদের প্রতি দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন এ দেশের দুই বীর ক্রিকেটার। শহীদ আবদুল হালিম চৌধুরী (জুয়েল) আর শহীদ মুস্তাক আহমেদ। এই দুই শহীদের অবদানকে কখনওই খাটো করে দেখে না এদেশের ক্রিকেট সমাজ। এ কারণেই ১৯৭২ সাল থেকে নিয়মিত স্মরণ দুই শহীদ ক্রিকেটারকে।




শহীদ জুয়েলের জন্ম ১৯৫০ সালের ১৮ জানুয়ারি তার পৈতৃক বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার দক্ষিণ পাইকশা গ্রামে। তার বাবার আবদুল ওয়াজেদ চৌধুরী এবং মা ফিরোজা বেগম। রাজধানী ঢাকার টিকাটুলির ৬/১ কে এম দাস লেনেও তাঁর বাবার বাড়ি ছিল, সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

১৯৭১ সালের পূর্বে শহীদ জুয়েল ঘরোয়া লীগে আজাদ বয়েজে ও মোহামেডান ক্লাবে খেলেছেন। আজাদ বয়েজ ক্লাবের আক্রমণাত্মক ওপেনার ছিলেন শহীদ জুয়েল। উইকেটকিপার হিসেবেও আলাদা অবস্থান ছিল তার। ১৯৬৯ সালে তিনি মোহামেডানে যোগ দেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের শেষ ক্লাব। তিনি ঢাকা, ইষ্ট পাকিস্তান ও ইষ্ট পাকিস্তান হোয়াইটের হয়ে প্রথম শ্রেণীর সাতটি ম্যাচ খেলেন।

১৯৬৬ সালের ২১ মে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে জুয়েলের অভিষেক হয়। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে আইয়ুব ট্রফিতে পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের বিপক্ষে ঢাকার হয়ে তিন দিনের ম্যাচ খেলেন। প্রথম ইনিংসে ৩৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রান করেন। তাঁর ৩৮ ছিল দুই দলের মধ্যে সর্বাধিক রানের ইনিংস। ম্যাচটি ড্র হয়।

১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর হায়দরাবাদের নিয়াজ ষ্টেডিয়ামে কায়দ-ই-আজম ট্রফিতে হায়দরাবাদ, খায়েরপুর ও কোয়েটার বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচে তিনি ইষ্ট পাকিস্তান দলের হয়ে খেলেন। প্রথম ইনিংসে ৪ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ রান করেন। এ ম্যাচে ইষ্ট পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী হয়। ১৯৬৯ সালের ২২ আগষ্ট করাচির ন্যাশনাল ষ্টেডিয়ামে খেলেন করাচি হোয়াইট-এর বিপক্ষে। কায়দ-ই-আজম ট্রফির তিন দিনের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রান করেন। ম্যাচটি ড্র হয়।
একই টুর্নামেন্টে ১৯৬৯ সালের ২৯ আগষ্ট করাচির ন্যাশনাল ষ্টেডিয়ামে খায়েরপুরের বিপক্ষে খেলেন। তিন দিনের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৫ রান করেন। ইষ্ট পাকিস্তান এ ম্যাচে ইনিংস ও ৫ রানে জয়ী হয়। ১৯৬৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর কায়দ-ই-আজম ট্রফিতে করাচির ন্যাশনাল ষ্টেডিয়ামে হায়দরাবাদ হোয়াইট-এর বিপক্ষে তিনি খেলেন। তিন দিনের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ রান করে। ইষ্ট পাকিস্তান এ ম্যাচে ১৩৫ রানে জয়ী হয়।

১৯৭১ সালের ১৫ জানুয়ারি ঢাকা ষ্টেডিয়ামে বিসিসিপি ট্রফির তিন দিনের ম্যাচে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ইষ্ট পাকিস্তান হোয়াইট-এর হয়ে খেলেন। প্রথম ইনিংস ৪৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রান করেন। এটি ছিল তাঁর সেরা পারফরম্যান্স। ম্যাচটি ড্র হয়। ২৬ জানুয়ারি ঢাকা স্টেডিয়ামে একই টুর্নামেন্টে তিনি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের বিপক্ষে খেলেন। প্রথম ইনিংসে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রানে অপরাজিত থাকেন। তিন দিনের ম্যাচটি ড্র হয়। সাতটি ম্যাচ খেলে তিনি ২১ দশমিক ৫৮ গড়ে ২৫৯ রান করেন। পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি ক্রিকেটারদের পক্ষে এই রান ছিল উল্লেখযোগ্য।

জুয়েল জাতীয় অনূর্ধ-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছেন। ১৯৭০ সালের ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা ষ্টেডিয়ামে ইষ্ট পাকিস্তান স্পোর্টস ফেডারেশনের হয়ে ঢাকা এডুকেশন বোর্ডের বিপক্ষে খেলেন। তিন দিনের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২৫ রান করেন। ম্যাচটি ড্র হয়। ১৯৭০ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা ষ্টেডিয়ামে তিনি লাহোর দলের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচ খেলেন। তিন দিনের ফাইনালে প্রথম ম্যাচে ২৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ রান করেন। ম্যাচটি ড্র হয়।

১৯৭০-৭১ মৌসুমে ক্রিকেট লিগে তিনি দুর্দান্ত খেলেন। প্রায় প্রতি ম্যাচেই বড় স্কোর গড়েন। কারদার সামার ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু তারপরও তাঁর মূল্যায়নটা যথাযথভাবে করা হয়নি। তবে পূর্ব পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অপরিহার্য সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। সে সময় পূর্ব পাকিস্তান দলেও ছিল অবাঙালিদের প্রাধান্য। তারমধ্যে যে ক’জন বাঙালি পূর্ব পাকিস্তান দলে স্থান করে নেন, তিনি তাঁদের একজন। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সফরে আসে নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল। এ সফরে কিউইরা তিনটি টেষ্ট খেলে। এ সিরিজে খেলার জন্য জুয়েল পাকিস্তান ক্যাম্পে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু মূল দলে তিনি সুযোগ পাননি।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মে মাসের শেষ দিকে ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘরে যান শহীদ জুয়েল। সেখানে তাঁকে মুক্তিবাহিনীর ক্র্যাক প্ল্যাটুনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকায় এসে গেরিলা অপারেশন শুরু করেন। ফার্মগেট ছাড়াও এলিফ্যান্ট রোডের পাওয়ার স্টেশন, যাত্রাবাড়ী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে গেরিলা অপারেশনে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দেন তিনি।




ঢাকার ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম ক্লাব আজাদ বয়েজ ক্লাব। এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মুশতাক নিজ হাতে ক্লাবটি গড়ে তুলেছিলেন। মুশতাক সাহেবের ছিল মানুষকে সম্মোহন করার অদ্ভুত গুণ। সে অনেক ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং ক্রীড়া সংগঠকদের ধরে, দেনদরবার করে আজাদ বয়েজ ক্লাব তৈরী করেছিল, সে সময়ে আজাদ বয়েজ ক্লাব বেশ কয়েকবার ঢাকা ক্রিকেট লীগ এবং অন্যান্য টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ওর সাথে খাতির ছিল তৎকালীন ঢাকা শহরের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের। সে সময়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে বা স্টেডিয়াম এলাকায় বিখ্যাত লোকদের যত নামাজে-জানাজা হয়েছে তার সবগুলিতেই সে উপস্থিত থেকেছে। দু’ একটাতে আমরাও উপস্থিত ছিলাম।

নিয়তির পরিহাস ওর মৃত্যুর পর ও নিজে কোন জানাজা পায়নি। ফজরের নামাজ পড়ে ওর আস্তানা আজাদ বয়েজ ক্লাবের দিকে যাচ্ছিল। সে সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ওকে তাড়া করে আজাদ বয়েজ ক্লাবের পাশে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার চত্বরের মধ্যে গুলি করে হত্যা করে। ওর মৃতদেহ পরবর্তী কয়েকদিন ওখানে পড়েছিল। পরে পৌরসভার লোক দিয়ে সেই মৃতদেহ ওখান থেকে সরানো হয়। যে লোকটি বহু নামকরা লোকের জানাজা পড়েছে, তার জানাজা কেউ পড়তে পারলো না। এর চেয়ে দুঃখ আর কি হতে পারে? বছর কয়েক আগে মিরপুর স্টেডিয়ামের একটি গ্যালারির নাম রাখা হয় এই শহীদ ক্রীড়ানুরাগী মুশতাকের নামে। সাধারণত প্রতি বিজয় দিবসে জাতীয় ক্রিকেট দল দু’ ভাগ হয়ে শহীদ জুয়েল-শহীদ মুশতাক একাদশ নামে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে থাকে। মুশতাক, জুয়েলরা দেশের জন্য রক্ত দেয়, জীবন দেয় আর বেঁচে থাকে পাকি খেলোয়াড়দের বাং-পাকি গেলমানরা। কি অদ্ভুত!

২৫ শে মার্চের কালরাতের পর থেকে ক্রিকেট অন্তপ্রান মুশতাক নিখোঁজ। অনেক খুঁজেও তাকে পাচ্ছেন না প্রানপ্রিয় বন্ধু জুয়েল। ২৭ শে মার্চ আশরাফুল ভাই(বর্তমান এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুল হক) কে নিয়ে ঢাকা জেলা ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে এসে স্তব্ধ হয়ে যান জুয়েল। প্রানপ্রিয় বন্ধু মুশতাকের নিষ্প্রাণ ঝাঁজরা দেহটা পড়ে আছে খোলা আকাশের নিচে। হাতদুটো উপরে ধরা। খেলা ছাড়া যে লোকটা কিছু বুঝত না, কাউকে কোনদিন কষ্ট দিয়েছে কেউ বলতে পারবে না। অথচ তাকেও ছাড়েনি নিকৃষ্ট শুয়োরগুলো। প্রিয়বন্ধুর মুখটার দিকে তাকিয়ে চোয়ালবদ্ধ শপথ নিলেন জুয়েল। যে শপথে মিশে থাকলো প্রিয়জন হারাবার প্রচণ্ড যন্ত্রনা আর ওই জারজ শুয়োরগুলোকে গোঁড়া থেকে উপড়ে ফেলবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।

দেশের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে আজ কেন অবহেলিত হবে শহীদের পরিবার। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ক্রীড়াবিদদের পরিবারের আজ খোঁজ নেন না কেউ আর । অথচ দেশের প্রয়োজনে খেলা ফেলে অস্ত্রহাতে নিয়েছিলেন তারা। শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুস্তাক ছাড়া ন্যূনতম স্বীকৃতি পাননি কোনো শহীদ ক্রীড়াবিদরা। অনেকের নামই তো শহীদের তালিকায় ওঠেনি!

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব আবদুল হালিম চৌধুরী ও মুস্তাক আহমেদ। হালিম পরিচিত শহীদ জুয়েল নামে। এছাড়া শহীদদের তালিকায় রয়েছেন ফুটবলার মিজানুর রহমান, হকি খেলোয়াড় মোহাম্মদ মীর, দাবাড়ু কাজী সাদিক হাসান। শহীদের তালিকায় রয়েছেন পোলভল্টের পূর্ব পাকিস্তান সেরা মিরাজ আহমেদ, ৮০০ মিটার স্প্রিন্টের অন্যতম শাহেদ আলী, সুলতানা কামালের ভাই চৌকস অ্যাথলেট বাবুল, দাবাড়– মুফতি মোহাম্মদ কাসেদ। কিন্তু স্বাধীনতার পর অদ্যাবধি কেউ তাদের পরিবারের খোঁজ নেননি এমন কি স্বাধীনতার ৪৩ বছর পেরোলেও শহীদ ক্রীড়াবিদদের নামের তালিকা তৈরি হয়নি কোথাও!

শহীদ দাবাড়ু– মুফতি মোহাম্মদ কাসেদ ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকা অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যোগ দেন মুফতি। স্বাধীন হওয়ার তিন-চার দিন আগে ময়মনসিংহে যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হন তিনি। কিন্তু শহীদদের তালিকায় তার নাম নেই।