Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Lifestyle Image

সুস্থ থাকুন



*বাইরে থেকে এসে প্রথমেই খুব ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলা প্রয়োজন। তা না হলে বাইরের জীবাণুগুলো খুব সহজেই ঢুকে পড়তে পারে আপনার শরীরে।

*কাঁচা মাংস কাটার পর কাটিং বোর্ডে অন্য কিছু কাটাকাটি করলে তাতে মাংসের জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই কাঁচা মাছ, মাংস কাটার জন্য আলাদা বোর্ড ব্যবহার করুন। ব্যবহারের পর অবশ্যই বোর্ড, ছুড়ি, দা এবং হাত দুটো ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া বেসিন ও রান্নাঘরের কাঁচা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে প্রতিদিন৷ ক্ষতিকর ইদুর তেলাপোকাও যাতে উপদ্রব করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

*অনেকেই শখ করে ঘরে গাছ লাগান। এ সব গাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি দেওয়া হলে, তা জমে জীবাণুর জন্ম হয়, যা কিনা সেসব জায়গায় জন্মানো মশা, মাছি বা পোকামাকড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

*টুথব্রাশের ভেতরও জমে থাকতে পারে নানা রকম ব্যাকটেরিয়া। তাই ২ মাসে অন্তত একবার টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। তা না হলে নিজের ব্রাশের জীবাণুই নিজেরই ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে একবার টুথব্রাশটি গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রাখা জরুরি।

*আজকের দিনে প্রায় সব জায়গাতেই রয়েছে কম্পিউটারের ব্যবহার। চাকরির প্রয়োজনে যাঁদের ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়, তাঁদের জন্য পরামর্শ কাজ শুরুর আগে হাত দুটো ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ দিয়ে মুছে নেবেন এবং কাজ শেষ হওয়ার পর ঐ একই পদ্ধতিতে হাত পরিষ্কার করে ফেলবেন। এছাড়া বাড়িতে ঢুকেও প্রথম কাজ হতে হবে ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে ফেলা।

*রাস্তা বা ফুটপাথে মজার মজার লোভনীয় খাবারের দোকানগুলো আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। খাবারগুলো লোভনীয় হলেও এ সব থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা উচিত। কারন বাইরে খোলা অবস্থায় রাখা খাবারগুলোয় মাছি, ধুলোবালি পড়ে। অনেকক্ষণ আগে কেটে রাখা ফল বা সালাদ তো একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। তবে ফুটন্ত বা রান্না করা খাবার গরম অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে।

*পানির আরেক নাম জীবন। পানি পান করা ছাড়াও প্রায় সব কাজেই প্রয়োজন হয় পানির। তবে যে কোনো জায়গার পানি পান না করাই ভালো। পানিবাহিত রোগের কথা কে না জানে, তাই প্রয়োজনে এক বোতল ফুটন্ত পানি বাড়ি থেকে সাথে নিয়ে বের হন। অথবা পথেই ‘মিনারেল ওয়াটার’-এর বোতল কিনে নিন। গোসলের সময়ও লক্ষ্য রাখা উচিত যাতে পানি পেটে না চলে যায়।

...প্রতিদিন কত কাজই না করতে হয় আমাদের। নানা যন্ত্রপাতির ব্যবহার আর ধুলাবালিতে লুকিয়েথাকে নানা জীবাণু। যা আমরা হয়ত লক্ষ্যই করি না, বা এড়িয়েও চলি অনেক সময়। সামান্য এ অবহেলায় আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি প্রায়ই। অথচ একটু সচেতন হলেই এই সব জীবাণু থেকে নিজেকে সুস্থ রাখা সম্ভব।