Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Sports Image

মেসির জীবনের অজানা ১১টি তথ্য



বিখ্যাত ফুটবলার মেসি সম্পর্কে ১১টি অজানা তথ্য, যা আপনি আগে আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার মেসিকে কে না চেনে বলুন? আর্জেন্টিনা হোক কিংবা বার্সেলোনারই হোক, মেসি ভক্তরা কখনই মেসির খেলা মিস করেন না। মেসি মাঠে নামলেই যেন খেলার মোর ঘুরে যায় মুহূর্তেই। আর তাই মেসিকে ফুটবলের জাদুকর বলে থাকেন অনেকেই। মেসির জীবন সম্পর্ককেও ভক্তদের জানার আগ্রহের শেষ নেই। জেনে নিন মেসির জীবনের অজানা ১১টি তথ্য সম্পর্কে।

১. মেসি ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তার বাবা একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন আর মা ছিলেন পার্ট টাইম ক্লিনার।

২. মেসি ছোটবেলায় এতোটাই লাজুক ছিলেন যে প্রথম পরিচয়ে অনেকেই তাকে বোবা কিংবা অটিস্টিক ভাবতেন। এমনকি তার শিক্ষকরা তাকে মানসিক ডাক্তার দেখানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন।

৩. ১১ বছর বয়সে মেসির শরীরে গ্রোথ হরমোন জনিত জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু তার বাবা মায়ের সেটার চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য ছিলো না। এই চিকিৎসার খরচ ছিলো প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ ডলার।

৪. মেসি এবং আর্জেন্টিনার বিখ্যাত চে গুয়েভারার জন্মস্থান একই। তাঁরা দুজনেই আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহন করেছিলেন।

৫. বার্সেলোনার সাথে মেসির প্রথম চুক্তি লেখা হয়েছিলো কিসের জন্য আপনারা জানেন কি? একটি টিস্য পেপারে! বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাচ মেসির প্রতিভা দেখে এতোটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তখনই চুক্তি করিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। হাতের কাছে কোনো কাগজ না পাওয়াতে টিস্যু পেপারেই লিখিত চুক্তি করে ফেলেন তিনি।

৬. বার্সেলোনা মেসির ফুটবলের কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে ক্লাবে নেয় এবং তার পারিশ্রমিক হিসেবে মেসির চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার নিয়ে নেয়। মেসির বাবা মা এই সময়ে আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে চলে আসে।

৭. মেসিকে স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু মেসি সেই প্রস্তাব নাকোচ করে দেয়। কারণ মেসির স্বপ্ন ছিলো আর্জেন্টিনার নীল সাদা জার্সি
পরে খেলার। ২০০৪ সালে প্রথমবার সেই সুযোগটা পেয়েছিলো মেসি।

৮. মেসির দুই দেশের দুটি পাসপোর্ট আছে। একটি আর্জেন্টিনার ও একটি স্পেনের। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে স্পেনের নাগরিকত্ব পায় এই তারকা।

৯. মেসির বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার জার্সির নম্বর ১০। বার্সেলোনায় মেসির আগে ১০ নম্বর জার্সিটি পরতেন আরেক কিংবদন্তী ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় রোনালদিনিও।

১০. প্রায় প্রতিটি গোল করেই তিনি আকাশের দিকে আঙ্গুল উচু করেন কেন জানেন? কারণ তিনি তার গোল গুলোকে উৎসর্গ করেন তার প্রয়াত দাদীকে। তার দাদী তাকে ফুটবলের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন এবং মেসির যখন ১০ বছর বয়স তখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন যা মেসির মনে আজও দাগ কেটে আছে।

১১. ব্রাজিল আর্জেন্টিনা দিয়ে যতই দ্বন্দ থাকুক, মেসির সবচাইতে কাছের বন্ধুদের সবাই ব্রাজিলিয়ান।বিশেষ করে বার্সেলোনায় আসার পরে ডেকো এবং রোনালদিনিও ছিলেন তার সবচাইতে কাছের বন্ধু। ডেকোর জার্সি ছিলো ২০ এবং রোনালদিনিও এর জার্সি ছিলো ১০। এই দুটির যোগফল হয় ৩০। তাই তিনি প্রথমে ৩০ নম্বর জার্সি বেছে নিয়েছিলেন।