বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব গড়েন তিনি। তার ব্যাটিং ও কিপিং নিয়ে যতটা প্রশংসা পেয়েছেন ঠিক তার অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করেন অনেকজনেই। লাল সবুজ জার্সিতে ১৫ নাম্বার (সাবেক ৯) নিয়ে খেলেন তিনি। বাংলাদেশের রান মেশিন উপাধী পেয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফির কাছ থেকে। ২০১১ সাল থেকে টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক তিনি। ছোট্ট এই মানুষটি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্ট্যাম্পের পিছনে বকবক করার জন্য সর্বদা উম্মুখ থাকেন। বলছি বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের নিয়মিত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মিতুর কথা।
বাংলাদেশের হয়ে সবধরনের ক্রিকেটে (টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও টেস্ট) রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন মুশি। সবধরনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে ৬,৭৪৮ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি ৮ম উইকেট-রক্ষক যিনি টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন এবং ৯ম ব্যাটসম্যান যিনি টেস্টে ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।
আসন্ন ভারত সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে বিএসপিএন২৪.কম পাঠকদের জন্য ধারাবাহিক প্রতিবেদনে ২য় পর্বে আজ থাকছে বগুড়ার ছেলে মুশফিকুর রহিম মিতু।
ভারত নাস্তানাবুদ মানেই মুশফিক। ২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর প্রথম বার ভারত বোধে দলে ছিলেন না তিনি দেখেছেন টেলিভিশনে বসে অথবা নিজের ঘরের মাঠে শহিদ চান্দু স্টেডিয়াম (বগুড়া) এর গ্যালারীতে বসে। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর জন্য দলের পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করে ব্যাটিংয়ে মুল কাজটি করেন তিনি। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে জয়ের রানটি নিজের ব্যাটে নিয়ে আবারও ভারত বোধের নায়ক তিনি। মুশফিকুর রহিম একমাত্র খেলোয়াড় যিনি বাংলাদেশের হয়ে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে ও ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন। সেই সাথে মুশির ওয়ানডে সর্বোচ্চ ১১৭ রান এই ভারতের বিপক্ষেই।
মুশি ভারতের সাথে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন দুইটি। ৪টি ইনিংস খেলে ১৮৫ রান করেছেন। ব্যাটিং গড় ৬১.৬৬ প্রতি ইনিংস। সেঞ্চুরি করেছেন ১টি, টেস্টে ১০১ ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তার।
মুশফিকুর রহিম ওয়ানডেতে ভারতের সাথে ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন। ১৪টি ইনিংস খেলে ৪০.৭২ গড়ে ৪৪৮ রান করেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট ৭৭.১০ উল্লেখ করার মত। ভারতের বিপক্ষে ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ১১৭ রান তাদের বিরুদ্ধেই।
আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করবে ভারত। বাংলাদেশের রান মেশিন তার ব্যক্তিগত রানের চাকা সচল রাখতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়?