ভিনেগার জিনিসটির সাথে আমরা প্রায় সকলেই কমবেশি পরিচিত। তবে রাঁধুনিরা বেশ ভালো করেই চেনেন এবং ভিনেগারের কাজ সম্পর্কে জানেন। কারণ ভিনেগার মূলত খাবারেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু ভিনেগারের ব্যবহার সুধ্মাত্র খাবারেই সীমাবদ্ধ নেই। ভিনেগারের রয়েছা নানান ব্যবহার। দৈনন্দিন জীবনে ভিনেগারের অনেক অজানা ব্যতিক্রম ব্যবহার রয়েছে যা নিঃসন্দেহে বেশ অবাক করবে আপনাকে। চলুন তাহলে ভিনেগারের সেই সকল অজানা ব্যবহার জেনে নেয়া যাক।
১) পিঁপড়ে তাড়াতে ভিনেগার
গরম কালে পিঁপড়ের যন্ত্রণায় খাবার রাখাই দায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সমপরিমান ভিনেগার ও পানি একসাথে মিশিয়ে পিঁপড়ের ঘরে ঢোকার মূল স্থানগুলোতে স্প্রে করে দিন। ব্যস, সমস্যার সমাধান।
২) কাপড়ের দাগ তুলতে ভিনেগার
কাপড়ের দাগ একেবারেই উঠছে না? এককাজ করুন ভিনেগার ও বেকিং সোডার পেস্ট তৈরি করে কাপড়ে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পুরনো ব্রাশ দিয়ে ঘষে ফেলে দিন পেস্ট। তারপর কাপড় ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন দাগ উঠে গিয়েছে সহজেই।
৩) গলা খুসখুসে ভাব দূর করতে
গলায় খুসখুসে ভাব ও সেইসাথে শুকনো কাশি থাকলে ১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে গার্গল করে নিন। এভাবে দিনে ২-৩ বার করলেই ভালো ফলাফল পাবেন।
৪) ডিমের খোসা পারফেক্ট ভাবে ছাড়াতে
অনেক সময় ডিম সেদ্ধ করলে খোসার সাথে ভেঙে উঠে আসে ডিম। এই সমস্যার সমাধান পেতে ডিম সেদ্ধ করার সময় পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে দিন। ডিম আর ভাঙবে না খোসা ছাড়ানোর সময়।
৫) মরিচা দূর করতে
ভিনেগারের অ্যাসিডিক উপাদান আয়রন অক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করে মরিচা দূর করতে সহায়তা করে ছোটো ধাতব জিনিস থেকে। মরিচা পড়া ধাতব জিনিস ভিনেগারে ডুবিয়ে রাখুন খানিকক্ষণ এরপর কাপড় দিয়ে ঘষেই দূর করতে পারবেন মরিচা।
৬) খাবারের ঝাল কমাতে
ভুল করে খাবারে অনেক বেশি ঝাল দিয়ে ফেলেছেন? চট করে সমাধান পেতে খাবারে ১ চা চামচ সাদা ভিনেগার দিয়ে দিন। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে পরে আরেকটু যোগ করতে পারেন। দেখবেন ঝাল কমে যাবে।
৭) পায়ের ও নখের ফাঙ্গাস দূর করতে
অনেক সময় অপরিষ্কার ও ছত্রাকের আক্রমনে পায়ে এবং নখে ফাঙ্গাস ইনফেকশন হতে পারে। এই সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন ২০ মিনিট।