*গরম পানি শরীরের বিপাক ক্রিয়া খুব ভালভাবে সম্পন্ন করে। যার ফলে বাড়তি মেদ কমবে। তবে আরো বেশি কাজ দিবে যদি সকালে খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবু মিশ্রিত করে পান করেন। এটা বডি ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করবে।
*ঠাণ্ডা লাগা, কফ জমে যাওয়া এবং গলা ব্যাথায় গরম পানি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটা কফ তরল করে বের করে দেয়। গলা ব্যথা কমায়। এছাড়া নাসারন্দ্রের পথ পরিষ্কার রাখে।
*গরম পানি মেয়েদের মেয়েলী সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। এটা পেটের পেশীকে শান্ত ও কোমল করে। যার ফলে মেয়েলী সমস্যা দূর হয়।
*গরম পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ঘাম ঝরবে। ঘামের সাথেই শরীরের অনেক ধরনের বর্জ্য বের হয়ে যাবে। এতে শরীর সুস্থ্য থাকবে।
*শরীরের বর্জ্য বের হতে না পারলে ত্বকের কোষ নষ্ট হয়। ফলে অকালে বয়সের ছাপ পড়ে। গরম পানি এই নষ্ট কোষগুলোকে ঠিক করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ফলে ত্বক কোমল হয় এবং বয়সের ছাপ দূর হয়।
*গরম পানি বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে ত্বক পরিষ্কার রাখে। এতে ব্রণ ও ফুস্কুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তাই যারা ব্রণের সমস্যায় কাতর, তাদের উচিত গরম পানি পান করা।
*গরম পানি চুলের গোড়ায় থাকা স্নায়ু কার্যকর করে চুল শক্ত করে। ফলে চুল নরম ও উজ্জ্বল থাকে। এটি ফিরে পায় স্বাভাবিক জীবনীশক্তি।
*চুলের গোড়ার স্নায়ু সক্রিয় থাকায় চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। গরম পানি প্রতিদিনকার কার্যক্রম চালু রেখে চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
*গরম পানি মাথার খুলি জলযোজিত করে মাথায় খুশকি হওয়া রোধ করে। অনেক সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করেও ফল হয় না, তবে নিয়মিত গরম পানি পান করলে সুফল পাওয়া যাবে নিশ্চিত।
*গরম পানি পানের আরেকটি উপকারিতা হল এটা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে পেশী ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। পাশাপাশি বাড়তি চর্বি ভেঙ্গে ফেলায় এগুলো যথেষ্ট উন্নত হয়।
*খাদ্য গ্রহণের পর ঠাণ্ডা পানি পান করলে খাদ্যের সাথে থাকা চর্বিগুলো জমিয়ে ফেলে। এতে পাকস্থলীর গাত্রে চর্বির স্তর জমতে থাকে। যা শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু গরম পানি তার উল্টোটা করে। এটা চর্বি ভেঙ্গে তা হজম বা নিঃসরণে সহায়তা করে। ফলে হজম প্রক্রিয়া ভাল হয়।