*নিজের গায়ের রঙের থেকে অনেক হালকা রঙের ফাউন্ডেশন লাগালে নিজের বয়স আরও ১০ বছর বেশি লাগে। আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা ভুল ধারণা আছে যে ফর্সা হলেই খুব সুন্দর লাগবে। তাই অনেকেই নিজের গায়ের রঙের থেকে অনেক হালকা রঙের ফাউন্ডেশন লাগান। কিন্তু আমাদের এটা ভুললে চলবেনা যে ফাউন্ডেশন নিজেকে ফর্সা করার জন্য নয় বরং নিজের মুখের কোনও খুঁত থাকলে সেটাকে ঢাকতে সাহায্য করে। মানে ফাউন্ডেশন একটা কভারিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
*অনেক বেশি পরিমানে ফাউন্ডেশন লাগালে মুখের সুক্ষ দাগ বা বলিরেখা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আর আমাদের মত আবহাওয়াতে মুখে অনেক বেশি ঘাম হতে থাকে তাই অধিক ফাউন্ডেশন লাগালে তা বিভিন্ন জাগায় আরও ফুটে উঠবে।
*এখনও অনেকেই আছেন যারা ফাউন্ডেশন না লাগিয়ে অনান্য মেকআপ করে ফেলেন। মনে রাখতে হবে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে মুখের বিভিন্ন দাগ, আনইভেন স্কিন টোন ইত্যাদি ঢাকা হয়। তাই যদি ফাউন্ডেশন না লাগানো হয় তাহলে এই সমস্যাগুলো কিন্তু দেখা দিবেই।
*অনেকেরই ধারণা আছে যে আইব্রো ভীষণ সরু হলে বোধ হয় খুব ভালো দেখাবে। সেটা কিন্তু একদমই না। বরং তার ফলে বয়স অনেক বেশি দেখাবে। যদি আপনার আইব্রো নরমালি খুব সরু হয় তাহলে সেটাকে আইব্রো পেন্সিল দিয়ে কভার করে দিন।
*যখনি বাইরে বের হবেন সানস্ক্রিন লাগাতে ভুললে একদম চলবেই না। কারণ সূর্য ত্বকে খুব তাড়াতাড়ি বার্ধক্য এনে দেয়। তাই বাইরে বের হবার অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাতে হবেই।
*শুষ্ক আর রুক্ষ চুল থাকলে বয়স অনেক বেশি দেখায়। মনে রাখতে হবে শুষ্ক আর রুক্ষ চুল বার্ধক্যের অন্যতম লক্ষণ।
*চুলের স্টাইল মাঝে মধ্যেই বদলাতে হবে। এর ফলে আপনার একটা নতুন ধরনের লুক আসবে। একই ধরনের হেয়ার স্টাইল সারা বছর ধরে করলে আপনাকে খুব বোরিং দেখাবে আর বয়স্ক দেখাবে।
*চোখের নিচে কমবেশি সবাই কাজল লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু সারাদিনে কাজল স্মাজ হয়ে যায় আর মুখটাকে আরও ডার্ক করে দেয়। শুধু চোখের নিচে কাজল লাগালে ডার্ক সার্কেল আরও অনেক বেশি প্রমিনেন্ট হয়ে যায়। তাই চোখের উপরে ডার্ক করে কাজল বা লাইনার লাগিয়ে নিচের পাতায় তা ব্যালান্স করে দিলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যাবে।
*ডার্ক লিপস্টিক বয়সকে আরও বেশি বাড়িয়ে দেয়। তাই ফ্রেস রোজ বা ওয়ার্ম কালারের লিপস্টিক ব্যাবহার করা যেতে পারে।
...মেকআপ নারীর নিজের সৌন্দর্যকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই নিজেকে নিজের ছোট খুঁতগুলোকে ঢাকতে মেকআপ করা দরকার।