Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

জন্মনিরোধক পিল খাওয়ার ক্ষেত্রে যা জানা জরুরি , পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া



অনাকাঙ্খিত গর্ভরোধে জন্মনিরোধক পিল সেবন বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত একটি পদ্ধতি। কিন্তু নানা কারণে পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। জন্মনিরোধক পিল সেবনের পরও এসে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত প্রেগনেন্সি। তাই জন্মনিরোধক পিল খেতে চাইলে কিছু বিষয় অবশ্যই জেনে রাখা উচিৎ।

পিল খেতে ভুলে গেলে যা করবেন: অনেকেই পিল নিয়মিত ব্যবহার করতে ভুলে যান। এটাই সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এতে অনাকাঙ্খিত প্রেগনেন্সি এসে যেতে পারে। পিল শুরু করার প্রথম সাত দিনের মধ্যে দুই থেকে তিন দিন ভুলে গেলে পিল কাজ না করার সম্ভাবনা বেশি।

জন্মনিরোধক পিল খাবার পরে বমি হলে: পিল খাওয়ার পর বমি হলে অনেক সময় বমির সঙ্গে পিল বেরিয়ে যেতে পারে। শরীর থেকে পিল বেরিয়ে যাওয়া আর পিল খেতে ভুলে যাওয়ার ফলাফল একই। এ রকম হলে দেখতে হবে পিল খাওয়ার কতক্ষণ পর বমি হল। পিল খাওয়ার ঘণ্টা দুই পরে বমি হলে কিছু করার দরকার নেই। তবে তার আগে হলে আরও একটি পিল খেয়ে নিতে হবে। এটিও খাওয়ার পরও যদি বমি হয়, তবে সুস্থ হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে। সুস্থ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি জন্মনিরোধক পিল খেয়ে নিতে হবে।

অন্য ওষুধের প্রভাব: বেশ কিছু ওষুধ পিলের কার্যকারীতা কমায়। তাই অন্য কোনও ওষুধ খেলে তা আপনার চিকিৎসককে জানান। নইলে পিল খেয়ে চললেও তা কাজ করবে না। এই ওষুধগুলি লিভারের মাধ্যমে কাজ করে। আর পিলও লিভারের মধ্যে দিয়ে যায় বলে অন্য ওষুধগুলি জন্মনিরোধক পিলকে শরীরে কাজ করতে দেয় না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: সব থেকে বেশি যে সমস্যা হতে পারে, তা হল পিল শুরু করার পর পিরিয়ডের ধরণ বদলে যাওয়া। এই নিয়ে অকারণ বিভ্রান্ত হবেন না। ভয় পেয়ে জন্মনিরোধক পিল ব্যবহার বন্ধ করে দেবেন না। তাতে প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পিলের ভেতরের হরমোনের প্রভাবে কয়েক মাস ধরে অনিয়মিত স্পটিং হতে পারে, কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই এই সমস্যা মিটে যায়। এ ছাড়া অনেকের ব্লিডিং-এর পরিমাণও কমে যায়।
যদি পিরিয়ড না হয়: ভাল করে ভেবে দেখা দরকার পিল খেতে কি কখনও ভুলে গিয়েছিলেন? বা সম্প্রতি পেটের গণ্ডগোল বা বমি হয়েছিল কি না। সে রকম হলে গর্ভনিরোধকের সুরক্ষা ক্ষমতা কমে যাওয়ার কথা। সুরক্ষার ফাঁক গলে কিছু হয়েছি কি না তা বুঝতে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করে দেখতে হতে পারে। অনেক সময় কম মাত্রার পিলে প্রেগন্যান্সি না এলেও প্রথম দুই থেকে তিন মাস পিরিয়ড বন্ধ থাকতে পারে। তবে জন্মনিরোধক পিল বন্ধ করা চলবে না। ২১ দিন খেয়ে ৭ দিন বন্ধ রেখে আবার ২১ দিন খেতে হবে।

বমি বমি ভাব: জন্মনিরোধক পিল খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। সমস্যা এড়াতে কিছু খাবার খেয়ে বা শোওয়ার আগে পিল খান। তাতে না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল। এই রকম ক্ষেত্রে কম ডোজের পিল নিলে সুবিধে হয়। সঙ্গে বমি ভাব কমানোর ওষুধ কিছু দিন খেতে হবে।
যৌনক্ষমতা:পিল ব্যবহারের পর কারও কারও যৌনক্ষমতা বেড়ে যায়। এর কারণ যাদের মিলনের সময় কিছু অসুবিধে তৈরি হয়, পিল ব্যবহারে তার থেকে মুক্তি ঘটে। আবার জন্মনিরোধক পিল ব্যবহারে কিছু নারীর সহবাসের ইচ্ছে কমে যায়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

যে উপসর্গ দেখা দিলে পিল বন্ধ করে ডাক্তারকে জানাবেন: যে কোনও পায়ের ডিমে বা কাফ মাসলে তীব্র ব্যথা, বুকের মাঝে বা দু-পাশে তীব্র যন্ত্রণা, নিশ্বাস নিতে গেলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া, কোনও কারণ ছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, তীব্র মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন, অতি উচ্চ রক্তচাপ, দৃষ্টিশক্তির অস্বচ্ছতা, শরীরের একাংশে অসাড়তা দেখা দিয়ে অবশ্যই পিল খাওয়া বন্ধ করে ডাক্তারকে জানাতে হবে।