Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য যেসকল খাবার খাওয়া খুব প্রয়োজন



মানুষের সুস্থভাবে বেশীদিন বেচে থাকতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন। যেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সবসময় সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। কিন্তু আজকার ফাস্টফুড, বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এর তীব্র সাদযুক্ত খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কস ইত্যাদির ভিড়ে পুষ্টিকর খাবারের কথা যেনো আমার প্রায় ভুলতে বসেছি। কিন্তু এইসব খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। পুষ্টিকর খাবার একদিকে যেমন আমাদের সুস্থভাবে বেশীদিন বেচে থাকতে সাহায্য করে তার সাথে সাথে মানুষের তারুণ্যও অনেকদিন ধরে রাখে। আজ আমরা এমন কয়কটি খাবার নিয়ে আলোচনা করব যার সাহায্যে আমারা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক তৈরী করতে পারি এবং আমাদের সুস্থ থাকার জন্য যেগুলো অতন্ত জরুরী।

ওজন কমাতে বেরির ভুমিকা অতন্ত গুরুত্তপুর্ন। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের রঙ্গিন বেরী যেমন ব্লাকবেরী, স্ট্রবেরী এগুলোর প্রচুর পরিমান এন্টিঅক্সাইড বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধ্যে এন্টিবডি তৈরী করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন নাস্তায় এক কাপ করে বেরি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

দুগ্ধ যুক্ত খাবার থেকে শুধু ক্যালসিয়ামই পাওয়া যায় না বরং এটি প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং মিনারেল এর সবচেয়ে বৃহৎ উৎস। এগুলো আপনার হাড়কে শক্ত করে এবং আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। অনেক গবেষনার ফলাফল থেকে দেখা গেছে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ধরনের দুগ্ধ যুক্ত খাবার পেটের মেদ কমাতে ও অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই, মিল্ক সেক হতে পারে আপনার নাস্তার একটি প্রধান উপাদান।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টক জাতীয় ফল যেমন বাতাবি লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি রাখুন। কারন এসব ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধ্যে লড়তে সাহায্য করে। এছাড়া যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তারা লেবু এক গ্লাস পানিতে চিপে চিনি অথবা লবন ছাড়া খেয়ে নিন। এতে হজম শক্তি বাড়বে।
বাদামে প্রচুর চর্বি থাকেলেও এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। বাদাম প্রটিন, ফাইবার, স্যালেনিয়াম, ভিটামিন ই ও ভিটামিন এ এর বৃহৎ উৎস যা লোয়ার কলেস্ট্রলের লেবেল বাড়ানো এবং হৃদরোগ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিছু বাদাম আপনার হার্ট এটারক এর সম্ভাবনাকে ৪০% পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে।

এছাড়া সুস্থ থাকতে সবজির বিকল্প নেই। এই শীতের বাধাকপি, ফুলকপি এই সবের গুনের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। ফুলকপিতে রয়েছে গ্লুটাথিয়ন জাতীয় ভিটামিন যা শরীরে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখে। তাছাড়া ব্রুকলি, বেবি কর্ন, বিন এইসব সবজি শরীরে সুস্থতা বজায় রাখতে অনেক উপকারী। তাই প্রতিদিন সালাদ হিসেবে অথবা রান্না করা সবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।

বয়স ধরে রাখতে অলিভ ওয়েল ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমাণ অলিভ ওয়েল গ্রহণ করলে ৩১ শতাংশ ক্ষেত্রে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। কারন অলিভ ওয়েলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান হিসেবে ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। যদিও ডিমের কুসুম একটু উচ্চ চর্বি যুক্ত কিন্তু তার পরেও এটি অনেক প্রোটিন সমৃদ্ধ। ডিমের কুসুমের জিঙ্ক, সেলিনিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ লবন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমের নিউট্রিশন বৃদ্ধ বয়সে চোখে ছানি পরা কমাতে সাহায্য করে।