Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

অ্যাজমার লক্ষণ ও করণীয়



অসুখ কার না হয়? দেহ থাকলে রোগ হবেই, আর আমাদেরকেও চেষ্টা করতে হবে সেই রোগ প্রতিকারের। অসুখের লক্ষণগুলো যদি আমরা আগে থেকে বুঝতে পারি,তা হলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিকার করা সম্ভব আরও ভালো ভাবে। আবার ছোট কিছু ব্যাপার মেনে চললে অনেক শারীরিক সমস্যাকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিজের শরীরের কথা শুনুন মন দিয়ে।

কোন সমস্যা হচ্ছে মনে হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ছোটখাটো অসুখের লক্ষণগুলি যদি নিজে আগে থেকেই বুঝতে পারেন, কিংবা মেনে চলেন কিছু সাধারণ ব্যাপার তাহলে অনেকাংশেই বাঁচতে পারবেন সমস্যার কবল হতে। চলুন, আজ আলোচনা করা যাক অ্যাজমা নিয়ে।

অ্যাজমা শ্বাসতন্ত্র এবং ফুসফুস ও শ্বাসনালী জনিত সমস্যা। অ্যাজমা হলে মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হয়। যতক্ষণ না মারাত্মক আকার ধারন করছে ততক্ষণ পর্যন্ত অনেকেই জানতে পারেন না যে তাদের এই অসুখটি আছে।

লক্ষন সমূহ–

- নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
- বেশ কাশি থাকে। বিশেষ করে রাতের বেলা কাশি বেড়ে যায়।
- ঘুমানোর সময়ে কাশি বেশি হয় অনেকের।
- কফ থাকতে পারে।
- অনেক সময় বুকে চাপ অনুভব হয়।
- শারীরিক কর্মকাণ্ড করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। কিছুক্ষন হাঁটলে বা সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা করলে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়।
আক্রান্ত হলে যা করতে পারেন-

- অ্যাজমা ও অ্যালার্জির ওষুধ সব সময় হাতের কাছে রাখুন। যাতে দরকার হলে সহজেই খুঁজে পান।
- ভিটামিন –এ জাতীয় খাবার যেমন, কলিজা ও গাজর খাবেন।
- সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক ও মধু অ্যাজমার জন্য উপকারি। তাই এগুলো বেশি খাবেন।
- নিয়মিত চেকআপ করাবেন।
- শ্বাস কষ্ট শুরু হলে বা নিঃশ্বাস নেবার সময় শিসের মতো শব্দ হলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।
- নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে পারেন ।
- ধূমপান করলে অ্যাজমা বেড়ে যায়। তাই ধূমপান করবেন না। আশেপাশে কেউ ধূমপান করলে সেই স্থান থেকে সরে আসুন।
- ধুলোবালি যুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।