আপনার আদর্শ কে ?’__ এই প্রশ্নের জবাবে হেসে উত্তর দিলেন, ‘এডাম গিলক্রিস্ট। যদিও উইকেট কিপিংটা পারি না, ব্যাটিংটা তার মত খেলার চেষ্টা করি।’১৯৮৬ সালের ১৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের কোল্যাকে জন্ম হয় এক নবজাতকের। যার নাম রাখা হয় ‘অ্যারন ফিঞ্চ।’ ছোট বেলায়ই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রচুর। আর, এই কারণেই মাত্র ৭ বছর বয়সেই স্কুলজীবনে তুলে নেন নিজে আনঅফিশিয়াল ১ম সেঞ্চুরি। ক্রিকেটের টানে ছুটে যান অস্ট্রেলিয়ার অনুর্ধ ১৯ দলে। বর্তমানে ভিক্টোরিয়া,মেলবোর্ন রেনেগ্যাডস এবং অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলছেন।ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফিঞ্চ ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলেছেন।
মূলতঃ তিনি মাঝারী সারির ব্যাটসম্যান। কিন্তু ক্লাব ক্রিকেটে গিলংয়ের পক্ষে এর পূর্বেই মাঠে নামেন।
বর্তমানে তিনি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।২০০৯/১০ মৌসুমে নিজ রাজ্যদলের পক্ষে খেলার সুযোগ পান। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাসমানিয়ার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন ১০২ রান করে। ৩য় উইকেটে ডেভিড হাসি’র সাথে ২১২ রানের জুটি গড়েন। ১৪ জুন, ২০১১ তারিখে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ খেলায় অভিষেক ম্যাচে ব্যাগি-গ্রীন জার্সি জড়িয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার লাভ করেন। ২৯ আগস্ট, ২০১৩ তারিখে ফিঞ্চ টুয়েন্টি-২০ আন্তর্জাতিকে নতুন রেকর্ড গড়েন। সাউদাম্পটনের রোজ বোল মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৬৩ বলে ১৫৬ রান করে ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। ইনিংসটিতে ১৪টি ছক্কার মার ছিল যা একটি রেকর্ড ও ১১টি চার ছিল। এরফলে নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ১২৩ রানের পূর্বেকার রেকর্ডটি ম্লান হয়ে যায়। সল্প পরিসরের ক্রিকেটে ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে নিয়মিতই দেখা যায় এই অ্যারন ফিঞ্চকে। অল্প বয়সেই রেকর্ডধারী এই হার্ড হিটার এখন তার ‘স্বপ্নের গিলির’ পথে। যদিও তাকে ম্যাথু হ্যাডেনের মত মনে হয়।