Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

জাহাঙ্গীর আলম

১০ বছর আগে লিখেছেন

পথিক

পথিক
প্রভূভক্ত ধূসররঙা কুকুরটি ফুটপাত দিয়ে হাটছিল -
হঠাৎ বাঁধন ফেলে দৌড় দিল;
অতঃপর ৷
রাস্তার মাঝের ডিভাইডারে অপেক্ষারত ৷
গাড়ীর চাকার গর্জনের শব্দ,
রক্ত ৷
মূহুর্তে দাড়ালাম শিড়োদাঁড়া বেয়ে বরফের শীতল অনুভূতি !
হাঁটার সংকেত দিল সবুজ বাতি ৷
(অনুগল্প)
কৃতজ্ঞতাঃ অর্জুন
 
continue reading
Likes ১৩ Comments
০ Shares

জাহাঙ্গীর আলম

১০ বছর আগে লিখেছেন

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী

৮১
অব ম্যাঁয় হুঁ অওর
মাতমে ইক্ শহরে আরজু,
তোড়া যো তুনে আইনা,
তিমসালদার থা ৷
( এখন ভগ্নহৃদয় আমি আছি আর আমার শোক, যেন আশা-আকাঙক্ষায় ভরা একটি শহর ৷ ভাঙলে সেই আয়নাই তুমি,
যাতে প্রতিবিম্বিত ছিল ছবি তোমারই ৷ )

৮২
ম্যাঁয় সাদা-দিল,
আর্জুদগী-এ-ইয়ারসে খুশ হু
য়ানী সবকে-শৌক
মুকর্রব ন হুয়া থা ৷
( আমি সাদা সরল-হৃদয়, প্রিয় তমার উদাসীনতা নিয়েই খুশী ৷ হায় রে,
মানে এখনো প্রেম আসক্তির পাঠ যে সম্পূর্ণ হয়নি আমার ! )
৮৩
বাগ পা কর খফ্ কানী,
ওহ ডরাতা হ্যায় মুঝে,
সায়া-এ-শাখ-এ-গুল
অফ ই নজর আতা হ্যায় মুঝে ৷
( তার ভালবাসায় পাগল পেয়ে আমায় দেখো, বাগিচাও কেমন
ভয় দেখায় সুবাসিত ফুলের শাখার ছায়াও যেন সর্পময় মনে হয় আমার ৷ )

৮৪
খূঁ হো কে জিগর
আঁখসে টপকা নহীঁ এয় মর্গ
রহনে দে মুঝে য়াঁ
কি অভী কাম বহুত হ্যায় ৷
( আমার বেদনাহত কলজেটা পর্যন্ত এখনো রক্ত থেকে ঝরে পরেনি হে মূত্যু, বেঁচে থাকতে দাও আমায়, কাজ আমার এখনো শেষ হয়নি ৷ )

৮৫
দুশমনীনে মেরী
খোয়া গৈরকো,
কিস্ কদর দুশমন হ্যায়
দেখা চাহিয়ে ৷
( আমার প্রতি তার এ হেন শত্রুতায়, সে যে হারিয়ে
ফেলেছে নিজেকে ৷ হায় হায় , এ কেমন শত্রুতা কেউ বলে দাও
আমায় ৷)

৮৬
ওহ্ আয়ে ঘরমে হমারে,
খুদা কী কুদরত্ হ্যায়
কভী হম উনকো,
কভী আপনে ঘরকো দেখতে হ্যায় ৷
( সে আজ আমার ঘরে এলো, ঈশ্বরের লীলা সত্যি... continue reading
Likes Comments
০ Shares

জাহাঙ্গীর আলম

১০ বছর আগে লিখেছেন

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী

৭১
কসম জনাজেপে আনেকী
মেরে খাতে হ্যায় , ‘গালিব’ ,
হমেশা খাতে থে জো,
মেরী জানকী কসম, আগে ৷
( আমার মৃত্যুর র আমার শবাধারের সামনে আসারই শপথ নিয়েছে
সে এখন পূর্বে প্রায়শই যে আমারই প্রাণের নামে দিব্যি
করতো ৷ )
৭২
দর্দসে মেরে হ্যায়
তুঝকো বেকরারী হায় হায়,
ক্যা হুই জালিম তেরী
গফলত্-শিয়ারী হায় হায় ৷
( আমার বেদনাই কিনা হলো শেষ পর্যন্ত তোমার অশান্তির
কারণ হায় হায় হে নিষ্ঠুরা রমণী, কি কাজেই বা লাগলো
তোমার আমার প্রতি সেই উদাসীন অবহেলা হায় হায় !!)
৭৩
হর চন্দ হর ইক্ সয়মে
তু হ্যায়,
পর তুঝসী তো কোই
সয় নহীঁ হ্যায় ৷
( হে ঈশ্বর, আমি জানি এই দুনিয়ার প্রতিটি বস্তু, প্রতিটি অস্তিত্বে
তুমি আছো তবু তোমার তুলনা পা না কোথাও ৷ )
৭৪
দেখ কর গৈর কো
হো কিঁউ না কলেজা ঠন্ডা,
নালা করতা থা,
বলে তালিবে-তাসীর ভী থা ৷
( অপর-জনের দুরবস্থা দেখে কেনই-ই বা ঠান্ডা হবে
না কলজেটা আমার ? এমন প্রতিক্রিয়াই তো
হোক আমি চাইতাম ৷ প্রিয়ার প্রত্যাখ্যানে ,অশ্রু সাগরে
যখন আমি ডুবে থাকতাম ৷ )
৭৫
যাতে হুয়ে কহেতে হো
কয়ামত্ কো মিলেঙ্গে
ক্যা খুব, কয়ামত্ কা হ্যায়
গোয়া কোঁই দিন অওর ৷
( তুমি যাবার সময় বলে গেলে, আবার দেখা হবে ৷ শেষ-বিচারর দিনে ৷
আচ্ছা ভালো, তাহলে এখনও আর একটি দিন নির্দিষ্ট আছে শেষ বিচারের জন্য ?)
৭৬
মওত্ কী রাহ না দেখুঁ
কি বিন আয়ে ন রহে,
তুমকো চাহুঁ,... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - চারু মান্নান

    বসন্ত রং এ রাঙা নিরন্তর!!
    কবির সবটুকু সময় হউক ভালোবাসার!!!!

    • - অব্যয় অনিন্দ্য

      ভাই

    - মাসুম বাদল

    তোমার প্রেমের আগুনে অগ্নিশুদ্ধ হতে হতে

    মন যে কয়লা হতে বসেছে

    আর বেশী দেরী করলে মন-পোড়া ছাই দিয়ে

    অ্যাসেজ-ক্রিকেট-সিরিজ খেলতে হবে তোমাকে ।

     

    খুব ভালো লিখেছেন...

    • - অব্যয় অনিন্দ্য

জাহাঙ্গীর আলম

১০ বছর আগে লিখেছেন

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী-৬
৬১
দিলসে নিকলা,
পর ন নিকলা দিলসে,
হ্যায় তেরে তীর কা
পৈকান অজীজ ৷
( হৃদয় চিরে বেড়িয়ে গেল, তবু না গেল হৃদয় থেকে তোমার নিক্ষিপ্ত
তীরটির প্রান্তভাগ, সেও যে সমান প্রিয় আমার ৷ )

৬২
হমকো উনসে,
বফা কী হ্যায় উম্মীদ,
যো নহীঁ জানতে,
বফা ক্যা হ্যায় ৷
( আমি তার কাছ থেকে প্রেমে বিশ্বাস আশা করি, যে
জানে না বিশ্বাস কথাটার অর্থ-ই বা কি !! )

৬৩
গৈর ইঁউ করতা হ্যায় মেরী পুরসিশ
উসকে হিজরোমে
বেতকল্লুফ দোস্ত হো জৈসে কোই
গমখারে দোস্ত ৷
( অপরলোকে এমনভাবে জিজ্ঞাসা করে, তার বিরহের বিরহী-দশায় কুশল বার্তা আমার যেন কোনো অভদ্র বন্ধুও হঠাৎ হয়ে উঠেছে সমব্যথী বন্ধু আমার ৷ )
৬৪
ন কহিয়ো তা’ ন সে ফির তুম
কি হম সিতমগর হ্যায়,
মুঝে তো খুঁ হ্যায়
কি জো কুছ কহো, বজা কহিয়ে ৷
( বিদ্রুপ করেও তুমি যেন আবার বলো না আমায় নিষ্ঠুর
আমার তো অভ্যাস আছে, যা বলবে তুমি, তার সত্যি-ই কোনো কারণ আছে বলে ভাবা ৷ )

৬৫
তেরে ওয়াদে পর জীমে হম
তো ইয়ে জান ঝুট জানা,
কে খুশিসে মরনা যাতে
অগর এতবার হোতা ৷
( বেঁচে আছি আমি তোমার প্রতিশ্রুতিতে, তাই আমার প্রাণ
আমার কাছে আজ মিথ্যে হয়তো খুশীতে মরেই যেতাম,যদি
তোমার প্রতি আমার এই বিশ্বাসের উপর একটু ভরসা
করতে পারতাম ৷ )
৬৬
মওত্ কা
ইকদিন মুইঈন হ্যায়
নীঁদ কিঁউ রাতভর
নহীঁ আতী ৷
( মৃত্যর জন্য তো একটা দিন... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    প্রথমেই তাপস কিরণ রায়কে অভিনন্দন।

    আপনি বাংলাদেশী জেনে বেশ ভালো লাগছে।

    ১। আপনি অনেকে ছোট বেলায় বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আপনার কি মনে আছে জন্মস্থান কোথায় ছিল?

    ২। আপনি কি কখনো এদেশে এসেছেন?

    • - তাপস কিরণ রায়

      ১। হ্যাঁ,খুব ছোট বেলায় দেশ ছাড়তে হয়ে ছিল। সে ঘটনার কথা ভাল ভাবে মনে আছে। নিজের জন্মভূমির কথা কি করে ভুলি ! মনে আছে--সে ছিল--ছোট্ট এক গ্রাম,নাম তার খিদির পুর,মনোহরদি থানা,নারায়ণগঞ্জ সাবডিবিশান,জেলা ঢাকা।  

      ২। সেটাও বেশ ছোট বেলারই কথা--তখন আমি ক্লাস টুতে পড়ি,গিয়ে ছিলাম জন্ম ভূমির দেশে। তারপর আরও একবার গিয়েছি--সেও শৈশবেরই কথা--সে স্মৃতি ছিল সবুজের মাখামাখি স্বপ্নিল আবেশে মোড়া।       

    - রোদের ছায়া

    দাদা আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু জানার আগ্রহ আছে । আপাতত বলবেন আপনার ছোটবেলার কথা । কোথায় কেটেছে? কিভাবে কেটেছে?  আপনার বাড়ির লোকজন  সম্পর্কেও  কিছু বলবেন।

    • - তাপস কিরণ রায়

      দেশ ছেড়ে উঠে আসি পশ্চিম বঙ্গের জেলা শহর,বর্ধমানে। বর্ধমান রাজবাড়ি স্কুলে ইনফ্যান্টে পড়েছি। সেখান থেকে চলে যেতে হয় কলকাতায়--কলকাতার টালিগঞ্জে বছর তিন ছিলাম। বাবার চাকরির পেছনে আবার আমাদের ছুটতে হল নদীয়া জেলার রাণাঘাটে। বাবার চাকরি স্থায়ী ছিল না। শেষে বাবার চাকরি হল বাংলার বাইরে--মধ্য প্রদেশের দণ্ডকারণ্য প্রজেক্টে। আমি কলকাতা বোর্ড থেকে স্কুল ফাইনাল পাশ করি। তারপর কলকাতা উনিভারসিটি থেকে প্রাইভেট বি.এ. পাস করি। এর পর প্রাইভেটে এম.এ.করি। হাইস্কুলে শিক্ষকতা করার সময় বি.এড.করি। সে সময় চান্স পাই সরকারী চাকরির। এ চাকরি সূত্রেই আজও আমি মধ্য প্রদেশের জবলপুরে থেকে গেছি।

      ইতিমধ্যে বিবাহ ও সংসার ধর্ম চলতে থাকে। আমার দুই মেয়ে,তাদের বিবাহ হয়ে গেছে অনেক দিন আগে। ছেলে ব্যাঙ্গালরে চাকরি করছে। বাবা আমাদের ছেড়ে গত হয়েছেন বেশ কিছু বছর আগে। আমি,স্ত্রী আর মা বর্তমানে জবলপুরের বাড়িতে বাস করি।                 

    • Load more relies...
    - কামাল উদ্দিন

    ১, বাংলাদেশ ছেড়েছেন কেনো ?
    ২, বাংলাদেশের কথা মনে হলে আপনার কেমন অনুভুতি হয় ?
    ৩, একবার ছেড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে কি আর এসেছিলেন ?
    ৪, আর কোন কোন ব্লগে আপনি লিখেন ?
    ৫, আপনার কি মনে হয় বাংলা ব্লগ গুলো সব বাঙালীকে একত্র করার জন্য ভালো একটা প্লাটফরম।

    • - তাপস কিরণ রায়

      ১। তখনকার সময়ের দেশের অস্থিরতার কারণেই জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম।

      ২। এক স্বপ্নের দেশ বলে মনে হয়।

      ৩। হ্যাঁ--ছোটবেলাতেই দু'বার গিয়ে ছিলাম।

      ৪। সোনেলা,চলন্তিকা,গল্পকবিতা,জলছবি বাতায়ন ইত্যাদিতে।

      ৫। অনেকটা তাই।         

    Load more comments...

জাহাঙ্গীর আলম

১০ বছর আগে লিখেছেন

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী-৫
৫১
মুঝসে কহা যো ইয়ারনে,
যাতে হ্যায় হোশ কিস্ তরহা্,
দেখকে মেরী বেখুদী
চলনে লগী হবা, কি ইঁউ ৷
(জিজ্ঞাসা করলো যখন বন্ধু আমায়, হুঁশ চলে যায় কি ভাবে ? আত্মহারা অবস্থা দেখে আমার, বাতাশে নিজেই উড়ে গিয়ে দেখিয়ে দিলো এমনিভাবে ৷ )
৫২
বু-এ-গুল, নালা-এ-দিল,
দুদে-চিরাগে-মহফিল
যো তেরী বজমসে নিকলা
সো পরীশাঁ নিকলা ৷
( ফুলের সুগন্ধ, হৃদয়ের দীর্ঘ-নিশ্বাস, আসরের দীপের ধোয়া যারাই তোমার জলসাঘর থেকে বার হলো, দিকভ্রান্ত হয়েই বার হলো ৷ )
৫৩
বেখুদী বেসবব
নহী ‘গালিব’
কুছ তো হ্যায়
জিসকী পর্দাদারী হ্যায় ৷
( বিনা কারণে হয় না ‘গালিব’, আত্মহারা অবস্থা এমন কিছু
তো রহস্য আছেই, যার জন্য এই আড়ালের অবগুন্ঠন ৷ )
৫৪
ইশ্ক সে তবীয়তনে
জীন্ত কা মজা পায়া
দর্দ কী দবা পাই,
দর্দ বে-দবা পায়া ৷
ভালবেসে আমি জীবনের মজা পেলাম ৷ বেদনার ঔষধ
পেলাম ৷ হৃদয়-বেদনায় ঔষধকে বিফল হতেও দেখলাম ৷ )
৫৫
বারস্তা উসসে হ্যায়
কি মুহব্বত হী কিঁউ নাহো
কীজে হামারে সাথ,
অদাবত্হী কিঁউ না হো ৷
তার ভালবাসা আমার মনের মুক্তির অবকাশ তাই
বলি শুধু ভালবাসাই কেন, শত্রুতাই বা শুধু আমারই
সাথে তার হবে না কেন ? )
৫৬
ফির উসী বেবফাপে
মরতে হ্যায়,
ফির ওহী জিন্দগী
হামারী হ্যায়
( আবার সেই হৃদয়হীনা বিশ্বাসহন্তার জন্য আমার সে-ই পুরোনো জীবনই আবার ৷)
৫৭
মুঝ তক্ কব, উনকী বজমমে
আতা থা দৌরে জাম
সাকীনে কুছ মিলা না দিয়া হো
শরাবমে ৷
( তার জলসাঘরে আমার কাছে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - আসাদুস জামান বাবু

    পিরিতির পরান মাঝি বলে

    চিনলে না স্বচ্ছ জলের নাও

    মহেশখালীর পান খাইয়ে

    মধুর কণ্ঠে গাইয়ে গেলে গান-

     

    অনেক ভালো লেগছে

    • - আলমগীর সরকার লিটন

       

      বেশ ভাল লাগার জন্য
      অশেষ ধন্যবাদ
      ভাল থাকুন–

    - মাসুম বাদল

    কবিতায় ভাললাগা...

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      দাদা

      আপনাকেও ভালবাসা 

    - রুদ্র আমিন

    ভাল লিখেছেন দাদা।

    • - আলমগীর সরকার লিটন

       

      বেশ ভাল লাগার জন্য
      অশেষ ধন্যবাদ
      ভাল থাকুন–

Load more writings...