গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী-৬
৬১
দিলসে নিকলা,
পর ন নিকলা দিলসে,
হ্যায় তেরে তীর কা
পৈকান অজীজ ৷
( হৃদয় চিরে বেড়িয়ে গেল, তবু না গেল হৃদয় থেকে তোমার নিক্ষিপ্ত
তীরটির প্রান্তভাগ, সেও যে সমান প্রিয় আমার ৷ )
৬২
হমকো উনসে,
বফা কী হ্যায় উম্মীদ,
যো নহীঁ জানতে,
বফা ক্যা হ্যায় ৷
( আমি তার কাছ থেকে প্রেমে বিশ্বাস আশা করি, যে
জানে না বিশ্বাস কথাটার অর্থ-ই বা কি !! )
৬৩
গৈর ইঁউ করতা হ্যায় মেরী পুরসিশ
উসকে হিজরোমে
বেতকল্লুফ দোস্ত হো জৈসে কোই
গমখারে দোস্ত ৷
( অপরলোকে এমনভাবে জিজ্ঞাসা করে, তার বিরহের বিরহী-দশায় কুশল বার্তা আমার যেন কোনো অভদ্র বন্ধুও হঠাৎ হয়ে উঠেছে সমব্যথী বন্ধু আমার ৷ )
৬৪
ন কহিয়ো তা’ ন সে ফির তুম
কি হম সিতমগর হ্যায়,
মুঝে তো খুঁ হ্যায়
কি জো কুছ কহো, বজা কহিয়ে ৷
( বিদ্রুপ করেও তুমি যেন আবার বলো না আমায় নিষ্ঠুর
আমার তো অভ্যাস আছে, যা বলবে তুমি, তার সত্যি-ই কোনো কারণ আছে বলে ভাবা ৷ )
৬৫
তেরে ওয়াদে পর জীমে হম
তো ইয়ে জান ঝুট জানা,
কে খুশিসে মরনা যাতে
অগর এতবার হোতা ৷
( বেঁচে আছি আমি তোমার প্রতিশ্রুতিতে, তাই আমার প্রাণ
আমার কাছে আজ মিথ্যে হয়তো খুশীতে মরেই যেতাম,যদি
তোমার প্রতি আমার এই বিশ্বাসের উপর একটু ভরসা
করতে পারতাম ৷ )
৬৬
মওত্ কা
ইকদিন মুইঈন হ্যায়
নীঁদ কিঁউ রাতভর
নহীঁ আতী ৷
( মৃত্যর জন্য তো একটা দিন নির্দিষ্ট হয়েই আছে ; তবু
কেন বিনিদ্র কাটে সারাটা রাত্রি ৷ )
৬৭
দিলসে তেরী নিগাহ
জিগর তক্ উতর গয়ী,
দোনোকোঁ ই অদামেঁ
রজামন্দ কর গয়ী ৷
( তোমার দৃষ্টির তীর হৃদয় ভেদ করে, কলিজায় গিয়ে
বিঁধেছে দুইজনকে একই আঘাতের ভঙ্গিমায় আহত
করে, মন দিতে রাজী করিয়ে গেছে ৷ )
৬৮
লাজিব থা কি দেখো মিরা রস্তা
কোই দিন অওর,
তনহা গয়ে কিঁউ,
তাব রহো তনহা্ কোই দিন অওর ৷
( উচিত ছিল তোমার প্রতীক্ষা করা কিছুদিন আরো ৷ একেলাই চলে গিয়েছো কেন এখন একেলাই থাকো কিছুদিন আরও ৷)
৬৯
নাদান হ্যায়, যো কহেতে হ্যায়
কিঁউ জীতে হ্যায় ‘গালিব’,
মুঝকো তো হ্যায় মরনেকী
তমান্না কোই দিন অওর ৷
( ছেলেমানুষ সে, যে বলে কেন বেঁচে আছে ‘গালিব’ আরে আমায়
তো আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতেই হবে মৃত্যুর কামনায় ৷ )
৭০
হ্যায় বস্ কে হর ইক্ উনকে ইশারেমেঁ
নিশাঁ অওর
করতে হ্যায় মুহব্বত তো
গুজরতা হ্যায় গুমাঁ অওর ৷
( তার প্রতিটি ইশারায় আলাদা এক একটি ইঙ্গিত তাই
সে যখন ভালবাসে, সন্দেহ হয় যেন অন্য কিছু ৷ )
(চলবে..)
Comments (2)
প্রথমেই তাপস কিরণ রায়কে অভিনন্দন।
আপনি বাংলাদেশী জেনে বেশ ভালো লাগছে।
১। আপনি অনেকে ছোট বেলায় বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আপনার কি মনে আছে জন্মস্থান কোথায় ছিল?
২। আপনি কি কখনো এদেশে এসেছেন?
১। হ্যাঁ,খুব ছোট বেলায় দেশ ছাড়তে হয়ে ছিল। সে ঘটনার কথা ভাল ভাবে মনে আছে। নিজের জন্মভূমির কথা কি করে ভুলি ! মনে আছে--সে ছিল--ছোট্ট এক গ্রাম,নাম তার খিদির পুর,মনোহরদি থানা,নারায়ণগঞ্জ সাবডিবিশান,জেলা ঢাকা।
২। সেটাও বেশ ছোট বেলারই কথা--তখন আমি ক্লাস টুতে পড়ি,গিয়ে ছিলাম জন্ম ভূমির দেশে। তারপর আরও একবার গিয়েছি--সেও শৈশবেরই কথা--সে স্মৃতি ছিল সবুজের মাখামাখি স্বপ্নিল আবেশে মোড়া।
দাদা আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু জানার আগ্রহ আছে । আপাতত বলবেন আপনার ছোটবেলার কথা । কোথায় কেটেছে? কিভাবে কেটেছে? আপনার বাড়ির লোকজন সম্পর্কেও কিছু বলবেন।
দেশ ছেড়ে উঠে আসি পশ্চিম বঙ্গের জেলা শহর,বর্ধমানে। বর্ধমান রাজবাড়ি স্কুলে ইনফ্যান্টে পড়েছি। সেখান থেকে চলে যেতে হয় কলকাতায়--কলকাতার টালিগঞ্জে বছর তিন ছিলাম। বাবার চাকরির পেছনে আবার আমাদের ছুটতে হল নদীয়া জেলার রাণাঘাটে। বাবার চাকরি স্থায়ী ছিল না। শেষে বাবার চাকরি হল বাংলার বাইরে--মধ্য প্রদেশের দণ্ডকারণ্য প্রজেক্টে। আমি কলকাতা বোর্ড থেকে স্কুল ফাইনাল পাশ করি। তারপর কলকাতা উনিভারসিটি থেকে প্রাইভেট বি.এ. পাস করি। এর পর প্রাইভেটে এম.এ.করি। হাইস্কুলে শিক্ষকতা করার সময় বি.এড.করি। সে সময় চান্স পাই সরকারী চাকরির। এ চাকরি সূত্রেই আজও আমি মধ্য প্রদেশের জবলপুরে থেকে গেছি।
ইতিমধ্যে বিবাহ ও সংসার ধর্ম চলতে থাকে। আমার দুই মেয়ে,তাদের বিবাহ হয়ে গেছে অনেক দিন আগে। ছেলে ব্যাঙ্গালরে চাকরি করছে। বাবা আমাদের ছেড়ে গত হয়েছেন বেশ কিছু বছর আগে। আমি,স্ত্রী আর মা বর্তমানে জবলপুরের বাড়িতে বাস করি।
১, বাংলাদেশ ছেড়েছেন কেনো ?
২, বাংলাদেশের কথা মনে হলে আপনার কেমন অনুভুতি হয় ?
৩, একবার ছেড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে কি আর এসেছিলেন ?
৪, আর কোন কোন ব্লগে আপনি লিখেন ?
৫, আপনার কি মনে হয় বাংলা ব্লগ গুলো সব বাঙালীকে একত্র করার জন্য ভালো একটা প্লাটফরম।
১। তখনকার সময়ের দেশের অস্থিরতার কারণেই জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম।
২। এক স্বপ্নের দেশ বলে মনে হয়।
৩। হ্যাঁ--ছোটবেলাতেই দু'বার গিয়ে ছিলাম।
৪। সোনেলা,চলন্তিকা,গল্পকবিতা,জলছবি বাতায়ন ইত্যাদিতে।
৫। অনেকটা তাই।