Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আবু সাঈদ আহমেদ

৮ বছর আগে লিখেছেন

ফুলকি

 
: বেপারী, কামটা বালা করতাছো না।
: আমি কি কইছি কামটা বালা করতাছি- তালি বাজায়া নাচো!
: আমি পোলাপানগো হাতে দইরা কাম শিখাই। তুমি তাগো ভাগায়া লিয়া যাও।
: আমি ভাগামু, তুমি হালায় কিমুন ওস্তাদ অইলা যে তাগো আটকায়া রাখতে পারো না!
: বেপারী, খোচা দিতাছো! দাও।
: দিমুনা কেলা! কও! আপন বায়েরা তোমার ভিটি বাড়ি দখল কইরা লিলো। মাগার কিচ্ছু কইলা না। জোয়ান বয়সে বাচ্চা হইতে গিয়া বৌটা মইরা গেলো। পোলার কথা চিন্তা কইরা আবার বিয়া করলা না। ঐ পোলা অহনে তোমার খোজ খবর'ভি লয় না।
: বেপারী, এই সব গান্দা প্যাচাল বাদ দাও। চা খিলাও।
: বাদ দিমু কেলা! মালাই মারা চা খিলামু আর ঝালাই মারা কথা শুনামু।
: বেপারী, নতুন কি আর শুনাইবা কও!
: ওস্তাদ, তুমি হালায় মুক্তিযুদ্ধ করলা। মাগার যুদ্ধের থেকা ফিরা একটা বাড়ি'ভি দখল করলা না। রেডকরসের দুধ, রেসনের চিনি ব্লাক কইরা কালাবাজারে বেচলা না। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকিট'ভি লিলা না। অহনে চোখে টিনের চশমা পিন্দা সারটিফিকিট দিয়া চাল্লু ব্যাবসা করতে পারতা।
: বেপারী, চ্যাতো কেলা! তুমিওতো যুদ্ধ করছো- সারটিফিকিট লিছো!
: আমার কথা বাদ দাও। সারটিফিকিট দিয়া আমি বাল কি করমু! খাট্টা খামু!!
: এইবার লাইনে আইছো। বেপারী, এমুন দ্যাশের লেগা কি যুদ্ধ করছিলাম! পোলাপানগো কুন দোজগে রাইখা যাইতাছি। আরেকবার অস্ত্র লয়া আগাছাগুলিরে পরিসকার করা দরকার। হাতটা উসপিস উসপিস করে।
: ওস্তাদ, উসপিস করলে'ভি উপায় নাইক্যা। আমরা মইরা গেছি। মরা ঘোড়ারে যতই পোন্দাও লৌড়াইবোনা।
: বেপারী, তেইলে চলো জিতা জিতা ঘোড়াগুলিরে পোন্দাই। জিতা ঘোড়ার পালরে না পোন্দাইলে দোজগের আগুন নিভবো না।
কাপের চা শেষ হয়ে আসে।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - চারু মান্নান

    বাহ দারুন কবি, শরৎ ভালোবাসা!!

    • - মাসুম বাদল

      emoticonsemoticonsemoticons

    - ওয়াহিদ মামুন

    emoticonsemoticons

আবু সাঈদ আহমেদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

রোগী আসিবার পূর্বেই ডাক্তার মরিয়া গিয়াছেন

১। গোপাল ভাঁড় মহাশয়ের ভাড়ামীর পাত্র নি:শেষ হয় নাই। কিন্তু তাহাকে হইলোকের মায়া ত্যাগ করিয়া যমালোকের দিকে যাত্রা শুরু করিতে হইল। তিনি ইহলোক আর যমালোকের মধ্যবর্তীস্থানে প্রথমবারের মতন অনুধাবন করিলেন যমদূতের সহিত রসিকতার ফলাফল কখনই ভালো হয়না।
২।
গোপাল ভাড় মহাশয় যমরাজের চেম্বারের বাহিরে লাইনে দাড়াইয়া আছেন। যমালোকের একজন সুন্দরী কাস্টমার কেয়ার অফিসার হাস্যমুখে তাহার হাতে একখানা ফাইল ধরাইয়া দিলেন। গোপাল ভাড় দেখিলেন ফাইলের উপরে লাল কালিতে ‘চূড়ান্ত হিসাব’ এবং হিসাব সম্পাদনকারীর ঘরে ‘চিত্রগুপ্ত এন্ড এসোসিয়েট’-এর নাম লিখা রহিয়াছে। বিশাল লাইনের সহিত গোপাল ভাড় মহাশয় আগাইয়া যাইতে যাইতে যমরাজের চেম্বারে প্রবেশ করিবার অনুমতি পাইলেন। যমরাজ গোপালের হাতের ফাইলটি গ্রহন করিয়া পড়িতে পড়িতে প্রশ্ন করিতে লাগিলেন।
 
যমরাজ : তোমার পেশা হইল ভাড়ামী। তাহা বলিয়া তুমি যমদূতের সহিতও রসিকতা করিবে?
গোপাল : মহারাজ, যমদূতের সহিত রসিকতা ইচ্ছা করিয়া করি নাই। ভুলে হইয়া গিয়াছে। মহারাজ, সকল মায়া ত্যাগ করিয়া নিজের ইচ্ছায় কে আর যমালোকে আসিতে চাহে?
 
গোপালের দার্শনিক প্রশ্নে যমরাজের মন বেদনায় আর্দ্র হইয়া আসিল।
যমরাজ : মন খারাপ করিওনা গোপাল। তোমার একটা ইচ্ছা বল। আমি তাহা পূরণ করিব।
গোপাল : মহারাজ, আমি পৃথিবীতে গরীবের জীবন যাপন করিয়াছি। অনেক কষ্ট করিয়াছি। সামান্য অর্থ আর খাদ্যের জন্য নিজের ইচ্ছায় অনিচ্ছায় তোষামোদ করিয়াছি আর ভাড়ামী করিয়াছি। আমি অন্য রকম একটা জীবন পৃথিবীতে কাটাইতে চাই।
যমরাজ : অন্যরকম একটা জীবন মানে কি?
গোপাল : আমি এমন একটা জীবন কাটাইতে চাই যে জীবনে আমি রাজা বা মন্ত্রী থাকিব।
যমরাজ : ঠিক আছে। তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হইবে। সময় আসিলে আমি তোমাকে মন্ত্রীর জীবন দান করিব। ততদিন তুমি যমালোকে আরাম আয়েশ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (9)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    বাহ সুন্দর অনুভূতির কবিতা

    • - ইঞ্জিঃ আহম্মেদ রফিক

      শুভ কামনা আপনার জন্য ।

    - মাসুম বাদল

    হ্যাং হয়ে যাই  ।

    ঝুলে থাকি মানসপট ছেড়ে,

    কেউ তার খবর নেয়নি কোন কালে।

     

    মামু, বেশ ভালো লাগলো...

    • - ইঞ্জিঃ আহম্মেদ রফিক

      ধন্যবাদ মামু ।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    আসলে আমরা হ্যং হয়ে গেছি। পেন্ডুলামে ঝুলতেছি।

    • - ইঞ্জিঃ আহম্মেদ রফিক

      সত্যি তাই ।

    Load more comments...

আবু সাঈদ আহমেদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

আগুন লাগিয়ে দেই

এক.
আমরা ভালো নেই। আমরা মানে যারা সাধারন মানুষ। আমরা মানে যারা এখনও দুই নেত্রীর অন্ধ মুরিদ হতে পারি নাই। আমরা মানে যারা এই দেশ ছেড়ে অন্য কোন দেশে চলে যেতে অক্ষম। আমরা মানে যারা সাধ্যের কারনে সাদা মাটা জীবন-যাপনে বাধ্য। আমরা মানে যারা সামান্য প্রাপ্তীতে সন্তুষ্ট।আমরা মানে যারা সকালে দুটা আটার রুটি,আলু ভাজি আর মাঝে মধ্যে বিলাসিতা হলে ওমলেট খেয়ে তুষ্ট। আমরা মানে যারা দুইবেলা সাদা ভাত, ডাল, পাতলা করে কাটা পাঙ্গাশ মাছের সাথে সাধারন তরকারী, বিলাসিতা হলে সপ্তাহে একদিন মাংস খেতে পেলেই তৃপ্ত। আমরা মানে যারা দুই ঈদের আগে বাড়তি খরচের চিন্তায় মশগুল হয়েও কিভাবে কিভাবে সব ম্যানেজ করে ফেলি। আমরা মানে যারা সব কিছু বিনাবাক্যে মেনে নিবার বিশাল ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছি। আমরা মানে যারা এই দেশে সংখ্যাগরিষ্ট। আমরা মানে যারা এই দেশে শূল্যহীন।সেই আমরা আজ ভালো নেই।
দুই.
বর্তমান সরকারকে আমরাই ভোট দিয়েছিলাম। আমরা সরকারের পরিবর্তন বদলে পুরো সিস্টেমের পরিবর্তন চেয়েছিলাম। এটা আমাদের অপরাধ ছিল। কারন. নব্বই-এর পরবর্তী কোন সরকারই গণতান্ত্রিক সরকার ছিলনা। প্রতিটা সরকারই ছিলো আগের সরকারের চাইতে অধিক স্বৈরাচারী। আমরা সামরিক স্বৈরাচারের পরিবর্তে পেয়েছি পারাবারিক ও দলীয় স্বৈরাচার। বর্তমান সরকার নব্বই পরবর্তী সরকারগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশী স্বৈরাচারী।তারা এতটাই আত্নমগ্ন যে তারা ভূলে গেছে শুধু নিজেদের নিরাপত্তা নয়, জনগনের নিরাপত্তা বিধান করাও সরকারের কাজ। অথচ বর্তমান সরকার জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বিরোধী পক্ষকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত।অন্যদিকে বিরোধী দলও জনগনের চিন্তা বাদ দিয়ে ক্ষমতার লোভে মশগুল।
তিন.
মানুষ পুড়ছে আর সেই পোড়া নিয়ে চলছে নোংরা রাজনীতি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট করার জন্য মানুষকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও বাসে যারা আগুন দিচ্ছে তাদের... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - মেজদা

    মানুষ যে প্রথম মানুষ ভালবেসেছে
    মানুষ যে প্রথম মানুষকে মেরেছে
    আহার আর যৌনতাই
    তার মূলে রয়েছে।

     

    একেবারে সত্যি কথা। আদমের দুই ছেলের মরণ তার প্রমান। ধন্যবাদ

    • - গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

      সালাম ও শ্রদ্ধা জানবেন প্রিয় মেজদা!

    - মরুভূমির জলদস্যু

    এক নর আর এক নারী থেকে
    আজ যে সাতশ কোটি জনগণ
    যৌনতাই তার একমাত্র কারণ।

    খাঁটা কথা

    • - গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

      ধন্যবাদ!

      মরুভূমিতে জলদস্যু হয় কি করে? মরুদস্যু হতে পারে।

       

    - মাসুম বাদল

    নিরঙ্কুশ সত্য উপলব্ধি 

    • - গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

      ধন্যবাদ প্রিয় মাসুম ভাই।

    Load more comments...

আবু সাঈদ আহমেদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

১+১ অথবা ১১

<strong>মাননীয় শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়া,</strong>
গত দুই দশক ধরে আপনারা বাংলাদেশের অসম্ভব জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। আপনাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসার পরেও আমরা আপনাদের মাঝেই আস্থা খুঁজেছি। আপনাদের উপরই আস্থা রেখেছি। কিন্তু এই আস্থার পরিপূর্ণ মূল্যায়ন আপনারা করতে পারেন নাই। আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার পরেই গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেন। আপনাদের ঘিরে থাকে সুবিধাবাদী তোষামোদকারীর দল। আমরা বিরক্ত হই। ক্ষোভে ফেটে পরি। দুই দলকে গালিগালাজ করি। তারপরে ভোটের দিনে সব অভিমান ভুলে সেই নৌকা বা ধানের শীষেই ভোট দেই।
আপনারা দুজন যদি দেশের শান্তি শৃঙ্খলা, সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা, পরিপূর্ণ গণতন্ত্রায়ন, দূর্ণীতি দমন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান, সুবিধাবাদী অপ-রাজনীতিক এবং অপ রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের বিষয়ে একমত হয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করেন তবে আমরা আমজনতারা অত্যন্ত আনন্দের সাথেই মেনে নিবে। ঐক্যমতের ভিত্তিতে আপনারা যদি দশ বছরও দেশ পরিচালনা করেন তবে আমাদের কারো কোন আপত্তি থাকবেনা এই কথা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।
আপনারা ক্ষমতায় আসীন হবার পরে আমাদের মানে সাধারন মানুষদের ভুলে যান। কেন যান সেটা বোধগম্য নয়। আমাদের একে অন্যের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কিছু বোঝাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমাদের সাধারন মানুষদের অসচেতন ভাবার কোন কারন নাই। আমরা বিশ্বাস করি আপনারা দু'জন একত্রিত হলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অভিধানে 'অসম্ভব' বলে কোন শব্দ থাকবেনা। এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশের জন্য হবে অল্প সময়ের বিষয়।
আমরা জানি, ১-এর সাথে ১ যোগ করলে ২ হয়। আমরা এটাও জানি যে, ১-এর পাশে ১- থাকলে এগারো হয়। ১+১=২ থেকে ১-এর পাশে ১ থেকে ১১-এর ক্ষমতা ও মূল্য অনেক অনেক বেশী। আপনারা আমাদের নেত্রী হিসাবে ১+১=২ হবেন অথবা ১-এর পাশে ১ থেকে ১১... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান

    - ইকবাল মাহমুদ ইকু

    • - অ্যাব্স সোহেল

      চোখে চশমা পরে থাকলে হবে? :P 

    - আল ইমরান

    মন্তব্য করে আর কি হবে............

    • - অ্যাব্স সোহেল

      এই সব লিখেও বা কি আর হবে? :(

আবু সাঈদ আহমেদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

খোকার মায়া, মায়ার খোকা.. ----------------------------- সাদেক হোসেন খোকা। পুরোদস্তুর সুবিধাবাদী নেতা। ওয়ান ইলেভেনের সময় তিনি বিএনপিতে ছিলেন আবার ওয়ান ইলেভেনেও ছিলেন। বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হবার পরে তিনি বিএনপি'তে আছেন আবার মহাজোটেও আছেন। ওয়ান ইলেভেন আমলে তার বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য দূর্নীতির জন্য কোন মামলা হয় নাই। এই আমলেও হয় নাই। তার শিষ্যদের ধারনা অনুযায়ী আন্দোলন থেকে দূরে থাকার জন্য বক্তব্য দিয়ে তিনি আড়ালে চলে গেছেন। আড়ালে তিনি ব্যালেন্সের রাজনীতি করছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে আবার তিনি যথাসময়ে উদয় হবেন। অনুতথ্য: বিএনপি'র সাদেক হোসেন খোকার খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু হলেন আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন মায়া। দুই আমলে দুইজন দুইজনকে ছায়ার মত আগলে রাখেন, আগলে থাকেন। পুরান ঢাকায় দুই নেতার ঘনিষ্ট জনেরা এই বিষয়টা ওপেন বা সিক্রেট যে কোন অবস্থায়ই বলেন। অর্থাৎ, বিষয়টা ওপেন সিক্রেট নয়।

Likes Comments