ক
তারপর, আমাদের আর দেখা হয়নি কোথাও, সহস্র বছরের পুরনো একটা আশ্চর্য্য নদী বয়ে গেছে আমাদের মাঝ দিয়ে। তুমি নদীর জল ছুঁলেনা, জলে গা ধূলেনা, জলে ডুবে মরবার ইচ্ছেটাও আমার পূর্ণ হলোনা। নদীর ওপারে তোমার কেমন বসত? জানা হলোনা। আমার জানলায় ঝুলে থাকে অসংখ্য মৃত আকাশ আর নদীর সাথে সহবাস, এই হলো আমার বিশদ...... এপারে বৃষ্টি নেই ওপারে কী হূলস্থুল, এপারে ভুলের চাষ ওপারে কী ফুটে ফুল।
খ
কোমার্য্য ভেঙ্গে কামাদ্র হলে কুমারী, পঞ্চমীর রাতে অমরত্ব নিশ্চিত করে কতিপয় যুবক। আগুনে পুড়বে জেনেও কুমারী বৃন্তে মুক্ত গাঁথে দুরুদুরু বুকে, কেঁপে কেঁপে সুখে। উরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যুবক মরে কুমারী মরে, শাদা শাদা মালতি ফুল পড়ে থাকে অবহেলায়, উরুক্ষেত্রে।
গ
নিস্তব্দতার একটা ভাষা আছে
অনন্ত আশাবাদের ভাষা
ঘ
আর মরতে ইচ্ছে করেনা
ঘুমতে ইচ্ছে করে
মা'র আঁচলের হাওয়া খেতে খেতে
চৈত্রের বৈকালিক ঘুম
ঙ
জলেরা আগুন হতে চাইলে আমি স্বাগত জানাই
জলেরা জানেনা গোপন লীলা
অশেষ পোড়াও তুমি, অগ্নীলা
চ
বিকেলের কোল ঘেঁষে সন্ধ্যা এসে দাঁড়ালে
জগতের সমস্ত প্রজাপতি ঘুমিয়ে থাকে তোমার খোঁপায়
আমি প্রাকৃতিক বিদ্যার চলে
একটা রঙ্গন খুঁজে ফিরি আঁধারে, আড়ালে
ছ
এতটা নির্লিপ্ততা, যেন সহস্র বছরের কফিন
অথচ মানবী, মহাজাগতীক রহস্য হয়ে মিশে যাও অসীম শূণ্যতায়
আর দন্ডিত যুবক তখনো মহাদৃষ্টিতে দেখে রোদের বিন্যাস
জ
মেঘ নয় যেন উড়ে যাও হংসিনী
আর কারো কারো স্বপ্নে তুমি "আফ্রোদিতী"
ঝ
ঝীর্ণ মলাট, কবিতার কচড়া
উইপোকারা এসে
আমার প্রিয় কবিতাগুলো থেকে
মুছে দিয়ে গেছে কতেক শব্দ
continue reading
তারপর, আমাদের আর দেখা হয়নি কোথাও, সহস্র বছরের পুরনো একটা আশ্চর্য্য নদী বয়ে গেছে আমাদের মাঝ দিয়ে। তুমি নদীর জল ছুঁলেনা, জলে গা ধূলেনা, জলে ডুবে মরবার ইচ্ছেটাও আমার পূর্ণ হলোনা। নদীর ওপারে তোমার কেমন বসত? জানা হলোনা। আমার জানলায় ঝুলে থাকে অসংখ্য মৃত আকাশ আর নদীর সাথে সহবাস, এই হলো আমার বিশদ...... এপারে বৃষ্টি নেই ওপারে কী হূলস্থুল, এপারে ভুলের চাষ ওপারে কী ফুটে ফুল।
খ
কোমার্য্য ভেঙ্গে কামাদ্র হলে কুমারী, পঞ্চমীর রাতে অমরত্ব নিশ্চিত করে কতিপয় যুবক। আগুনে পুড়বে জেনেও কুমারী বৃন্তে মুক্ত গাঁথে দুরুদুরু বুকে, কেঁপে কেঁপে সুখে। উরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যুবক মরে কুমারী মরে, শাদা শাদা মালতি ফুল পড়ে থাকে অবহেলায়, উরুক্ষেত্রে।
গ
নিস্তব্দতার একটা ভাষা আছে
অনন্ত আশাবাদের ভাষা
ঘ
আর মরতে ইচ্ছে করেনা
ঘুমতে ইচ্ছে করে
মা'র আঁচলের হাওয়া খেতে খেতে
চৈত্রের বৈকালিক ঘুম
ঙ
জলেরা আগুন হতে চাইলে আমি স্বাগত জানাই
জলেরা জানেনা গোপন লীলা
অশেষ পোড়াও তুমি, অগ্নীলা
চ
বিকেলের কোল ঘেঁষে সন্ধ্যা এসে দাঁড়ালে
জগতের সমস্ত প্রজাপতি ঘুমিয়ে থাকে তোমার খোঁপায়
আমি প্রাকৃতিক বিদ্যার চলে
একটা রঙ্গন খুঁজে ফিরি আঁধারে, আড়ালে
ছ
এতটা নির্লিপ্ততা, যেন সহস্র বছরের কফিন
অথচ মানবী, মহাজাগতীক রহস্য হয়ে মিশে যাও অসীম শূণ্যতায়
আর দন্ডিত যুবক তখনো মহাদৃষ্টিতে দেখে রোদের বিন্যাস
জ
মেঘ নয় যেন উড়ে যাও হংসিনী
আর কারো কারো স্বপ্নে তুমি "আফ্রোদিতী"
ঝ
ঝীর্ণ মলাট, কবিতার কচড়া
উইপোকারা এসে
আমার প্রিয় কবিতাগুলো থেকে
মুছে দিয়ে গেছে কতেক শব্দ
continue reading
Comments (21)
সুন্দর কবিতা কারো ভাল লাগা নেই কেন? কবিতায় গভীরে গল্প পেলাম ৷
অসম্ভব ভাললাগা। চোখে জল নেই বলে কাঁদতে পারি নি।