Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মাহাফুজুর রহমান কনক

১০ বছর আগে লিখেছেন

গুচ্ছকাব্য


তারপর, আমাদের আর দেখা হয়নি কোথাও, সহস্র বছরের পুরনো একটা আশ্চর্য্য নদী বয়ে গেছে আমাদের মাঝ দিয়ে। তুমি নদীর জল ছুঁলেনা, জলে গা ধূলেনা, জলে ডুবে মরবার ইচ্ছেটাও আমার পূর্ণ হলোনা। নদীর ওপারে তোমার কেমন বসত? জানা হলোনা। আমার জানলায় ঝুলে থাকে অসংখ্য মৃত আকাশ আর নদীর সাথে সহবাস, এই হলো আমার বিশদ...... এপারে বৃষ্টি নেই ওপারে কী হূলস্থুল, এপারে ভুলের চাষ ওপারে কী ফুটে ফুল।

কোমার্য্য ভেঙ্গে কামাদ্র হলে কুমারী, পঞ্চমীর রাতে অমরত্ব নিশ্চিত করে কতিপয় যুবক। আগুনে পুড়বে জেনেও কুমারী বৃন্তে মুক্ত গাঁথে দুরুদুরু বুকে, কেঁপে কেঁপে সুখে। উরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যুবক মরে কুমারী মরে, শাদা শাদা মালতি ফুল পড়ে থাকে অবহেলায়, উরুক্ষেত্রে।

নিস্তব্দতার একটা ভাষা আছে
অনন্ত আশাবাদের ভাষা

আর মরতে ইচ্ছে করেনা
ঘুমতে ইচ্ছে করে
মা'র আঁচলের হাওয়া খেতে খেতে
চৈত্রের বৈকালিক ঘুম

জলেরা আগুন হতে চাইলে আমি স্বাগত জানাই
জলেরা জানেনা গোপন লীলা
অশেষ পোড়াও তুমি, অগ্নীলা

বিকেলের কোল ঘেঁষে সন্ধ্যা এসে দাঁড়ালে
জগতের সমস্ত প্রজাপতি ঘুমিয়ে থাকে তোমার খোঁপায়
আমি প্রাকৃতিক বিদ্যার চলে
একটা রঙ্গন খুঁজে ফিরি আঁধারে, আড়ালে

এতটা নির্লিপ্ততা, যেন সহস্র বছরের কফিন
অথচ মানবী, মহাজাগতীক রহস্য হয়ে মিশে যাও অসীম শূণ্যতায়
আর দন্ডিত যুবক তখনো মহাদৃষ্টিতে দেখে রোদের বিন্যাস

মেঘ নয় যেন উড়ে যাও হংসিনী
আর কারো কারো স্বপ্নে তুমি "আফ্রোদিতী"

ঝীর্ণ মলাট, কবিতার কচড়া
উইপোকারা এসে
আমার প্রিয় কবিতাগুলো থেকে
মুছে দিয়ে গেছে কতেক শব্দ
continue reading
Likes ২১ Comments
০ Shares

Comments (21)

  • - জোকার ৫৩

    সুন্দর কবিতা কারো ভাল লাগা নেই কেন? কবিতায় গভীরে গল্প পেলাম ৷

    - গাজী নিষাদ

    অসম্ভব ভাললাগা। চোখে জল নেই বলে কাঁদতে পারি নি।

মাহাফুজুর রহমান কনক

১০ বছর আগে লিখেছেন

গল্প: অবনী

 
 আমি মরে যেতে চাই! এত অবলীলায়  অবনী  কথাটা বললো, মনে হলো মৃত্যুর মত সহজ গন্তব্য জগতে আর কিছু নেই। ইচ্ছে হলেই বাইরে যাচ্ছি বলার মত করে বলে দেয়া যায় আমি মরতে যাচ্ছি। ফোনের এপাশে বসে আমি স্তম্ভিত হয়ে বসে আছি। কান পেতে আছি, ওপাশে কোন সাড়াশব্দ নেই, মনেহচ্ছে ওপাশে কবরের নীরবতা। যদিও কবরে যাবার কোন সুযোগ আমার হয়নি, তবু অনুমান করছি- অবনীর রুমটা এখন একটা স্যাতস্যাতে অন্ধকার কবর বৈ আর কিছু নয়। আর কিছু না বলে অবনী লাইনটা কেটে দিয়ে  ফোনের সুইচ অফ করে দিলে, মনেহলো আসলে আমিই কবরের মধ্যে বসে আছি। আমার জানলা দিয়ে যে আলো আসছে ওটা আসলে অন্ধকারের স্রোত, এতক্ষণ ভুলকরে আমি আলো ভেবেছিলাম। খানিক আগে বারান্দায় সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে রাস্তায় যে গাড়ীর স্রোত দেখেছিলাম, ওগুলো আসলে কবরের কীট। যে ইটের দেয়ালগুলো ঘিরে আছে আমাকে, আসলে ওগুলো মাটির দেয়াল। ক্ষণিক আগের দরজা, জানলা, ফাঁকফোকর আচমকা ক্ষণিক বিভ্রম মনেহতে লাগলো, মনেহলো অন্ধকার কবরে বসে আছি সহস্র বছর ধরে।  
আমার বেরুনো দরকার। মনিপুরিপাড়ায় অবনীর চাচার বাসায় পৌছতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, অবনী সেখানেই থাকে। অথচ আমি অসাঢ় হয়ে বসে আছি, আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। চারপাশের মাটির দেয়ালগুলো আমার দিকে এগিয়ে আসছে, মনে হতে লাগলো কিছুক্ষণের মধ্যে ওগুলো আমাকে পিষ্ট করে ফেলবে। আমি দৌড়ে বেরিয়ে এসে বাইকটা স্টার্ট করি। অফিস সময় শুরু হয়েছে প্রায় দুই ঘন্টা আগে ,তবু রাস্তাজুড়ে প্রচুর ট্রাফিক। আমাকে একবার ফুটপাতে আবার রাস্তায় নামতে হচ্ছে। মনেহচ্ছে ইস্কাটন থেকে এতটুকু পথ যেন পৃথিবীর দীর্ঘতম পথ, কখনোই শেষ হবার নয়। অথচ, অবনীকে বিশ্বাস নেই। হুট করে কিছু একটা করে ফেলতে পারে।
গতকালও অবনীর সাথে দেখা হয়েছিল, বিকেলে... continue reading
Likes ১১ Comments
০ Shares

Comments (11)

  • - মাসুম বাদল

    দারুণ...

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    - চারু মান্নান

    কবিকে আমার মহান একুশের শুভেচ্ছা,,,,,

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ কবি

    - আহমেদ রব্বানী

    আমি হাঁটি
    আমার পিছে হাঁটে সমস্ত বাংলাদেশ.......

     

    চমৎকার উচ্চারণ প্রিয়।

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ রব্বানী ভাই

    Load more comments...

মাহাফুজুর রহমান কনক

১০ বছর আগে লিখেছেন

জমজ গল্প একটি কবিতা

 
 
 
(২০০৬ এর শেষ কী ২০০৭ এর শুরুতে যখন লেখালেখির শুরু তখন কত উচ্ছাস কত উদ্দীপনা ভয় কাজ করেছিল। আহা সেইসব সময়। সেই সময়ের দুটি গল্প সাথে একটা কবিতা আপনাদের পাতে তুলে দিলাম।)
বেদেকণ্যা
সাপ হাতে বেদেকণ্যা, দুলে
যেনো শরীরের ফণা তুলে
লোভ দেখায়, ক্ষোভ দেখায়
রঙ্গীলা সাপ ফোঁসফোঁসায়
হাঁক দিয়ে কয়, নিহত- ছোবল
নিবি নে, সস্তাদরে, বিনেপয়সায়
দুধরাজ, শঙ্খচুড়ার মিহিন ছোবল
গুপ্তস্থানে গুপ্তসাপের মাথায়
মণি আছে, নাভীকুপে লুকায়
দেহের ভাঁজে গোখরা আছে
নিবি নে, এক মধুর ছোবল
স্বর্গ পাবি, সুখের মত অনল
রেনুকা
প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। একেবারে দস্যি বৃষ্টি। রেনুকাদের উঠোনে রীতিমত স্রোত বইছে জলের। খোলা জানলা দিয়ে রেনুকা দেখছে রাতের বৃষ্টির সৌন্দর্য্য। ইলেকট্রিক বাতীর আলোয় যেনো রুপ ঠিকরে বেরুচ্ছে বৃষ্টির শরীর হতে। গত কয়েকদিন মধ্যরাতে বৃষ্টি হওয়াটা একটা নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে। রেনুকা এতে আনন্দিত। নিঃসঙ্গ রাতে তার কাছে এই বৃষ্টি আরোধ্য। সমস্ত প্রকৃতি যখন ঘুমে, রেনুকা তখন বৃষ্টি সঙ্গী করে রাত জাগে। এমন না যে রেনুকা শুধু বৃষ্টি হলেই রাত জাগে, গত কয়েক মাস রাতে তার ঘুম আসেনা। সবাই যখন ঘুমোতে ব্যাস্ত, রেনুকার ভিতরে তখন রাত জাগার প্রস্তুতি শুরু হয়। বিক্ষিপ্ত ভাবনা আর জমাট বাধা কষ্ট তাকে ঘুমুতে দেয়না। স্বপ্ন ভাঙ্গার কণাগুলো তার চোখের সামনে অনবরত উড়াউড়ি করে চোখের পাতা এক করতে দেয়না।
 
আজ রেনুকার চোখের কোণেও স্রোত বইছে। বৃষ্টির মতোই দস্যি। এতদিনের বাঁধ আজ ভেঙ্গেছে, রেনুকা কাঁদছে আর মনে মনে বলছে আমাকে ভাসিয়ে নাও বৃষ্টি আমাকে ভাসিয়ে নাও কান্না। না রেনুকা ভেসে যায়না। ভেসে যায় তার বিশ্বাস, ভালবাসা, আর অচ্ছুত মাতৃত্ব। উঠোনো যে জলের স্রোত বইছে রেনুকার মনে হচ্ছে সে জলে অসংখ্য মানব শিশুর অবয়ব ভেসে উঠছে। রেনুকা তার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - ধ্রুব তারা

    নারীদের ব্যাপারে আপনাকে অনেক অভিজ্ঞ মনে হল। লাভ গুরু হইতে পারেন। 

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    ভাইয়ের দেহি অনেক গিয়ান।

    - ঘাস ফুল

    নারীগো লইয়া পোষ্ট অথচ কোন নারীর এখানে উপস্থিতি নাই দেইখ্যা ধইরা নিছি আফনার কতাই সইত্য। 

মাহাফুজুর রহমান কনক

১০ বছর আগে লিখেছেন

গল্প: ইশটুবেরি হল (প্রতিযোগিতার জন্য নয়)

 মরতে মরতে এর আগেও একবার বেঁচে গেছে রহিমুদ্দি। বছর দুয়েক আগে মুয়াজ্জিন ত মসজিদের মাইকে প্রফুল্লকন্ঠে শোক সংবাদ জানিয়ে রহিমুদ্দির জানাজায় হাজির হয়ে, রহিমুদ্দির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করার জন্য গ্রামবাসীকে বিশেষভাবে অনুরোধও করে ফেলেছিল। পরে যখন খবর এলো রহিমুদ্দি নড়েচড়ে উঠেছেন তখন অবশ্য মুয়াজ্জিনকে আবার মাইকে আরেকটা বিশেষ ঘোষনা দিতে হয়েছিল অনেকটা হতাশকন্ঠে।
আজ সকালবেলা নেপচুন পাগলা এক্সরে ফিল্মকে চোঙ্গা বানিয়ে, সে চোঙ্গায় রহিমুদ্দির রুহ টিকটিক করার কথা গ্রামময় ঘোষনা করে এলে, কিছুটা দ্বিধান্বিতচিত্তে শেষদেখাটা দেখার জন্য রুহিতপুরবাসী রহিমুদ্দির বাড়িতে ভিড় করে। এই গনগনে চৈত্রে, নিথর নিস্তেজ রহিমুদ্দিকে, সৌদি থেকে তার বড়ছেলে সফিকুলের পাঠানো নরম কম্বলের নীচে একফাঁকে উঁকি দিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছে লোকজন। দুই একজন বিশেষ করে পুরনো রুহিতপুরবাসী উঠোনে দাঁড়িয়ে, তলপেট থেকে তুলে আনা নিঃশ্বাস বিপুল আফসুসে ফেলে, রহিমুদ্দির নতুন দালানে দৃষ্টি আটকে রেখে বলেন- আহ আল্লা! এই শানশকত থুই বুঝি আইজ মাডির ঘর চলি যাইব। তারা এসব আলোচনা তুলতেও ভুলেনা, যে একসময় রহিমুদ্দির কি দুর্দশা ছিল। আসাফ মিয়াই স্মরণ করেন- এমনদিন আছিল, রহিমুদ্দি একবেলাও খাইত হাইত্যনা। আর আইজ?
কথাটা অবশ্য মিথ্যে নয়। বকলমি রহিমুদ্দি মানুষের ঘর তৈরী করলেও তার ছিল ভাঙ্গাঘর। রহিমুদ্দির পরিবার জয়নাব বেগমের ভাষায়- ছৈয়ালের ভাঙ্গাঘর। বছর পঞ্চাশের রহিমুদ্দি সুখের মুখ দেখেছেন বছর সাতেক ধরে। সৌদি পাঠানোর শর্তে তার বড়ছেলে সফিকুল যখন কালাম মুন্সির কুচকুচে কালো, নিন্দুকের ভাষায়- কুইচ্চাকালা মাইয়া হাছিনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল তখন থেকে। বড়ছেলের সৌদি গমনের পরের বছর ছোটছেলে কবিরুলও বিমানে ছেপে বসলে গ্রামবাসী হিংসায় পুড়লেও রহিমুদ্দির তখন ঘরেবাইরে সুখ। একদিন গ্রামবাসী অবাক হয়ে দেখলো রহিমুদ্দির ভাঙ্গাঘরে ইটের গাঁথুনি শুরু হয়েছে। তখনও গ্রামবাসী হিংসায় যতই বলেছিল- সব... continue reading
Likes ২১ Comments
০ Shares

মাহাফুজুর রহমান কনক

১০ বছর আগে লিখেছেন

ভোটাভুটি

 
 
উদ্যোগটা দুর্দান্ত। ভোটাভুটি শুধু হার জিৎ নির্ধারন করেনা বরং একটা সুষ্ঠ প্রতিদ্বন্ধিতার প্রেক্ষাপটও  তৈরী করে। সৃষ্টিশীলতায় কোন পরাজয় নেই। সব সৃষ্টিই অমূল্য এবং কালের প্রাপ্তিতে জমা হয়। লেখালেখির ক্ষেত্রে পাঠকও সৃষ্টিশীলতায় জড়িয়ে পড়েন, যেহেতু পাঠপরবর্তী একটা প্রতিক্রিয়া পাঠকের মনের মধ্যে জাগে। সে প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ যদি কোন প্রবন্ধ বা ছোট মন্তব্য, অথবা ভোটে হয় সেটাও সৃষ্টিশীলতা। তারমানে এই নয়, যে ভোটে হারা লেখাগুলো তুলনামূলক খারাপ লেখা। এ আলোচনা সম্পূর্ণ অন্য। যে জন্য এ লেখা সেখানে যাই।
 
 
 
একসাথে এতগুলো লেখা দেখে ত আমি ভীত। এম্নিতে সময়ের টানাটানি, ব্লগেও সময় দিতে পারিনা।  কখন পড়ব আর কখন ভোট দিব এ ভেবে অস্থির। সবগুলো ক্যাটাগরিতে ভোট দিতে পারবকিনা বুঝতেছিনা। বিচারকরা তালিকাটা আরেকটু ছোট করে দিলে আমার অন্তত ভালো হত। যাই হোক এখন ত কিছু করার নাই।  ভোট দিতে এসে ত বিরাট ঝামেলায় পড়ে  গেলাম। দেখি কি হয়..........
 
 
 
কারো কাছে কোন বুদ্ধি থাকলে বইলেন।
 
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    ভালো লাগলো লেখাটি শুভ কামনা রইল

    • - নাজনীন পলি

      সবগুলো পর্ব পড়েছেন ? 

    - কে এম রাকিব

    অনেকদিন পরে প্রেমাস্পদকে পেয়ে মোটামুটি এলোমেলো হয়ে যাবার উপক্রম হয়ে উঠেছে মেয়েটির জীবন।
     এবং পরের পর্বে সারপ্রাইজ থাকবে সেটাই বোঝা যাচ্ছে।

    এই একটি পর্ব পড়ে এতটুকু বুঝতে পেরেছি। বাকীগুলো পড়লে হয়ত বাকী কাহিনীও বুঝতে পারতাম। ভাল লেগেছে লেখা।
    শুভেচ্ছা রইল।

    • - নাজনীন পলি

      একটা পর্ব পড়েই এত কিছু বুঝে ফেললেন 

      সবগুলো পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইলো 

    - আলমগীর সরকার লিটন

    বেশ লাগল গল্পটা

    • - নাজনীন পলি

      অনেক ধন্যবাদ 

    Load more comments...
Load more writings...