ছেলেটি আঙুল উঁচিয়ে কিছু একটা বলে যা সে বুঝতে পারে না। এগিয়ে গিয়ে ছেলের পাশে বসে পড়ে সে। মেঝেতে নানা রকম জীবজন্তুর পুতুল নিয়ে একমনে খেলছিল মইনুদ্দিনের মেয়ে সুমি। তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হঠাৎ সে উঠে পড়ে রান্নাঘরের দিকে যেতে যেতে বলে, বউ কী করতাছ?
রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে সে বলল আবার, তোমার কাজ বেশি হইলে কিছু করতে হইলে আমারে বইলো।
-না। আপনে কী আর করবেন! কাজই শেষ আমার, এখন গোসলে যামু। আপনে গোসল করবেন কোন সময়?
-যাও তুমি। আমার ভাল লাগলে করমু। তোমার ঘরটা ঠাণ্ডা বেশি।
তখনই মইনুদ্দিন বলে, রুবি এদিকে আস, কথা কই। ভাইয়েরে ফোন কইরা জানাইছিলা?
মইনুদ্দিনের কথা শুনেই যেন তার মনে পড়ে নিজের ফোনের কথা। কাল ট্রেন থেকে নামার কিছুক্ষণ আগ দিয়ে হঠাৎ আপনা আপনিই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফোনটা। ফের চালু করতে গিয়ে টের পেয়েছিল ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেছে। সে ফিরে গিয়ে ব্যাগ থেকে চার্জার সমেত ফোনটা হাতে করে মইনুদ্দিনের দিকে তাকাতেই সে উঠে এসে বলে, আমার কাছে দাও।
সে রুবির ফোন চার্জে দিয়ে আবার বলে, আস কথা কই।
তখনই দেখা যায় হাসিনা কাপড়-চোপড় নিয়ে বাথরুমে ঢুকে সশব্দে দরজা বন্ধ... continue reading
Comments (15)
বেশ লাগলো
ধন্যবাদ সরোয়ার ভাই ।।