Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

জুলিয়ান সিদ্দিকী

১০ বছর আগে লিখেছেন

তুষ্টি

রুবি বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলেও তার ঘুম আসে না। মইনুদ্দিন ওষুধ এনে দেওয়ার পর একটি ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমুতে চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু চিন চিন করে ব্যথাটা হচ্ছিলই। এর চেয়ে আরও অনেক বেশি ব্যথা নিয়েও সে সংসারের যাবতীয় কাজ করে। তাই এখন ব্যথাটাকে তেমন পাত্তা না দিয়ে উঠে পড়ে একটি পান মুখে দিয়ে বেরিয়ে আসে। মইনুদ্দিনের পাশে টিভির দিকে হা করে তাকিয়ে থাকা ছেলের দিকে তাকিয়ে সে বলে ওঠে, মামুন কী দেখ?
ছেলেটি আঙুল উঁচিয়ে কিছু একটা বলে যা সে বুঝতে পারে না। এগিয়ে গিয়ে ছেলের পাশে বসে পড়ে সে। মেঝেতে নানা রকম জীবজন্তুর পুতুল নিয়ে একমনে খেলছিল মইনুদ্দিনের মেয়ে সুমি। তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হঠাৎ সে উঠে পড়ে রান্নাঘরের দিকে যেতে যেতে বলে, বউ কী করতাছ?
রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে সে বলল আবার, তোমার কাজ বেশি হইলে কিছু করতে হইলে আমারে বইলো।
-না। আপনে কী আর করবেন! কাজই শেষ আমার, এখন গোসলে যামু। আপনে গোসল করবেন কোন সময়?
-যাও তুমি। আমার ভাল লাগলে করমু। তোমার ঘরটা ঠাণ্ডা বেশি।
তখনই মইনুদ্দিন বলে, রুবি এদিকে আস, কথা কই। ভাইয়েরে ফোন কইরা জানাইছিলা?
মইনুদ্দিনের কথা শুনেই যেন তার মনে পড়ে নিজের ফোনের কথা। কাল ট্রেন থেকে নামার কিছুক্ষণ আগ দিয়ে হঠাৎ আপনা আপনিই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফোনটা। ফের চালু করতে গিয়ে টের পেয়েছিল ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেছে। সে ফিরে গিয়ে ব্যাগ থেকে চার্জার সমেত ফোনটা হাতে করে মইনুদ্দিনের দিকে তাকাতেই সে উঠে এসে বলে, আমার কাছে দাও।
সে রুবির ফোন চার্জে দিয়ে আবার বলে, আস কথা কই।
তখনই দেখা যায় হাসিনা কাপড়-চোপড় নিয়ে বাথরুমে ঢুকে সশব্দে দরজা বন্ধ... continue reading
Likes ১৫ Comments
০ Shares

Comments (15)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    বেশ লাগলো

    • - কবি ও দার্শনিক

      ধন্যবাদ সরোয়ার ভাই ।। 

জুলিয়ান সিদ্দিকী

১০ বছর আগে লিখেছেন

তুষ্টি

শীতের কষ্ট আর অনিদ্রাকে উপেক্ষা করে যতটা উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ নিয়ে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে বেড়াতে এসেছিল রুবি, মইনুদ্দিনের বউ হাসিনার গম্ভীর আর অপ্রসন্ন মুখের সম্ভাষণ শুনতে পেয়েই যেন তার যাবতীয় আগ্রহ আর উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়ে গিয়েছিল। ভেবেছিল বাপের বাড়ি যাবার পথে দু’চারদিন মইনুদ্দিনের বাড়ি বিশ্রাম নিয়ে গেলে দীর্ঘ পথযাত্রার ক্লান্তি ততটা স্পর্শ করবে না তাকে। তা ছাড়া আখাউড়া যাবার পথে আরেকটি রাতের অনিদ্রা আর শীতের কষ্টকে বরণ করে নিতে পারত অনায়াসেই। গ্রামের বাড়িতে মাঝে মধ্যে দেখা হওয়া হাসিনার আচরণে তার ভেতরগত ভাবনা ততটা টের পাওয়া যায়নি তখন। যদিও দেখা হলে অনেকবার সে বলেছে, আপা , ভাইয়েরে নিয়া জয়দেবপুর যাইয়েন আমাদের বাসায় বেড়াইতে! সে কথায় কতটা আন্তরিকতা ছিল আর কতটা লোক দেখানো আচরণ ছিল তা বাইরে থেকে বোঝা বেশ কঠিন। কিন্তু সত্যি সত্যিই রুবি যখন ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেছিল, কেমন আছগো বউ?
রুবিকে ছেলে কোলে দরজায় দেখতে পেয়ে তেমন কোনো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে না হাসিনা। কেমন নিরুত্তাপ কণ্ঠে বলেছিল, ভাল আছি। ভাই না আইসা আপনেরে একলা ছাড়তে পারলো?
-ছুটি পাইলো না। কইলো এইবার একলাই যাও! মইনুদ্দিনের বাসায় দুইদিন বিশ্রাম নিয়া যাইও।
কথা বলতে বলতে রুবি অপেক্ষায় ছিল হাসিনা হয়তো তার হাত ধরে ঘরে টেনে নেবে। কিন্তু হাত ধরা তো দূরের কথা তার অপ্রসন্ন মুখ আর নিরুত্তাপ কণ্ঠস্বর দেখেই তার মন বলে উঠেছিল যে, এখনই দরজা থেকে ফিরে যায়। কিন্তু এভাবে এসে হঠাৎ ফিরে যাওয়াটাকে ভাল কোনো অর্থে গ্রহণ করতে পারবে না সে। হয়তো আরো রঙ চড়িয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে প্রচার করবে এ ঘটনার কথা।
পেছন থেকে তাড়া দেওয়ার ভঙ্গিতে মইনুদ্দিন হঠাৎ বলে উঠল,... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - ঘাস ফুল

    হুজুর কী বুঝতে কী বুঝালেন হুজুরই ভালো জানেন। বয়সে ছোট হওয়ার পরও অনেক হুজুর অনেক কিছু জানেন। আপনার হুজুরের বেলায় ঘটেছে ঠিক ঠিক। মানে বয়সে, ছোট আবার জানেন ও কম। স্বপ্নটা রয়ে গেলো কিন্তু হুজুর পাল্টে গেলো। তারমানে আপনি মার কাছে মিথ্যা বলেছেন হুজুর সম্বন্ধে? যদি তা না হয়, তবে আপনার তো জানার কথা না হুজুর কোরআন শুদ্ধ পড়াচ্ছেন না ভুল পড়াচ্ছেন, যেহেতু আপনি নিজেই এখনো শিখছেন? 

    গল্পে আপনার নিজেরই স্বীকারোক্তি আছে আপনি তেমন ভাবেন না। অথচ আপনার স্বপ্নে চলে এলো নিতান্তই অপরিচিত দুটো প্রতিবেশী শিশুর কথা। মনে হয় আপনার নিজের জীবনটাই ছিল কিছুটা রুটিন বাঁধা বা বন্দী। তাই হয়তো বন্ধু বান্ধবের সাথে আপনার মেলামেশা কম ছিল। এটা আপনার মনে এক ধরণের প্রভাব বিস্তার করেছিল, যা থেকে আপনার অবচেতন মন নিজের অজান্তেই ওই শিশু দুটোকে নিজের বন্ধু বানিয়ে ফেলেছে। তাই বন্ধুদের চলে যাওয়া আপনি মেনে নিতে পারেন নাই। হয়তো তাই স্বপ্নেই বন্ধু হারানোর কষ্টে কেঁদে উঠেছিলেন।  

    বেশ কিছু বানান ভুল আছে। ঠিক করে নিলে ভালো হবে। ছোট গল্প হিসাবে বাক্য গঠন এবং শব্দের গাঁথুনিতে আরও একটু বেশী মনোযোগী হওয়া দরকার ছিল। ধন্যবাদ শাহ্‌আজিজ ভাই। 

    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    হুজুরের গল্পটাতো দারুণ লাগল। দোষটা হুজুরের না আপনার ভেবে দেখার বিষয়।

    • - শাহআজিজ

      স্বপ্ন স্বপ্নই এবং তা বাস্তব থেকে বহুদুরে অবস্থান করে। অবচেতন স্বপ্নের কোন ব্যাখ্যা নেই । এটি একটি  রম্য  ছোট গল্প । হুজুর যা করেছিল তা ধর্মীয় প্রভাব স্বপ্নের উপর খাটাতে চেয়েছিল , এখন যা বুঝি । ছোট থাকতে কিন্তু এই বোধ ছিলনা । ছিল এই যে আমি তো অনৈতিক কোন কিছু করিনি তবে একেবারে তাওবা পড়িয়ে  টড়িয়ে বিরক্ত করে দিয়েছিলেন । তাই মধুর প্রতিশোধ হয়েছিল হুজুরের উপর । ভালো লাগলো প্রামানিক যে আপনার ভালো লেগেছে গল্পটা ।  

    - চারু মান্নান

     বাহ বেশ লাগল,

    স্বপ্ন সব লুট হয়ে যায়,মাঘের কনকনে শীতে!!

জুলিয়ান সিদ্দিকী

১০ বছর আগে লিখেছেন

তুষ্টি

খুব ভোর ভোর শীতের কুয়াশা ঘন রাত্রি ফুরোলেও যেন সকালের ঘুম ভাঙতে দারুণ আলস্য থেকেই চারদিক কেমন আবছা মতন দৃশ্যমান হচ্ছিল রুবির চোখে। ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থেকে সে বুঝতে চেষ্টা করছিল। যদিও আশপাশের বেশ কয়েকজন যাত্রীর অস্থিরতা আর অনুসন্ধানের ফলে জানা হয়ে গিয়েছিল সামনের যে স্টেশনেই ট্রেন থামবে সেটাই জয়দেবপুর। মইনুদ্দিনের সঙ্গে এমন কথাই হয়েছিল ফোনে। আর তারা থাকে জয়দেবপুর সে কথা আরো আগে থেকেই জানা ছিল রুবির। মইনুদ্দিন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকবে। তাকে সঙ্গে করেই ফিরে যাবে ঘরে। এমন প্রতিশ্রুতির পরই আসতে সম্মত হয়েছিল সে। নয়তো সে সরাসরি আখাউড়া জংশনেই চলে যাওয়ার কথা। অচেনা এলাকা তার কোনোকালেই পছন্দ নয়। কিন্তু তার স্বামীর সমর্থন ছিল বলে এবং সে-ই তাকে নিশ্চিত করেছিল যে, মইনুদ্দিন স্টেশন থেকে নিতে আসবে তাকে। অথচ এত কথার পরও ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের কোথাও মইনুদ্দিনের দেখা না পেয়ে কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে।
একে তো শীত তারপর কুয়াশার জন্যে খুব বেশি দূর দেখা যাচ্ছিল না। তার কোলে ছেলেটা খুব বড় একটি কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে এ মুহূর্তে। নাকি লোকটি তার আসার সংবাদ বউকে জানাতে সাহস পায়নি? যে কারণে অতটা ভোর ভোর ঘর থেকে বের হওয়ার জন্যে কোনো অজুহাত তৈরি করতে পারেনি। মইনুদ্দিনের ওপর রাগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন তার যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে সমস্ত পুরুষ জাতির ওপর। যে কারণে স্টেশনের খোলা প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে তার মনে হয় যে, প্রতিটি পুরুষই আসলে ভণ্ড প্রকৃতির। ঘরের ভেতর বউয়ের সামনে যতক্ষণ থাকে তখন তার এক চেহারা আর যখন আশেপাশে বউটি না থাকে তখনই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসে। মনে মনে বেশ কিছুটা রুষ্ট হয়েই সে যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট... continue reading
Likes ২৪ Comments
০ Shares

Comments (24)

  • - সুমন আহমেদ

    দারুণ এঁকেছেন! কোন টা আসল? ধরতে পারছি না! ৮ অথবা ১১ এর একটি হতে পারে। না হলে শরম দিয়েন না।

    • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

      ধুর! শরম দেবো কেন?? কোন ইফেক্টটা ভালো লাগছে?? অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর একটা মন্তব্য ও প্রথম মন্তব্যের জন্য। 

    - কামরুন নাহার ইসলাম

    আমার ৬ নাম্বারটা ভাল লেগেছে। এগুলো কি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এঁকেছেন, না ফটোশপের কারসাজি? যেটাই হোক, আপনি কিন্তু আঁকেন ভাল !!! এত গুণ আপনার  

    • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

      ক্যানভাসের উপর একটা তৈল চিত্র করা। বাকি গুলো ইফেক্ট। ৬নম্বরটাও একটা ইফেক্ট। 

      ভালো লাগলো জেনে খুশি হোলাম, আপু। 

    - চারু মান্নান

    বেশ লাগল, 

    মাঘের শরীর যেন আজ সর্ষেফুল শিশিরে ধোয়া!

    • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

      বেশ লাগাতে ধন্য হোলাম।

      অনেক ধন্যবাদ জানবেন। 

    Load more comments...

জুলিয়ান সিদ্দিকী

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিস্মৃতির ক্ষণ

শরতের মধ্যরাতে জানালা দিয়ে জোছনা গলে গলে পড়ছে মমতার মুখের এক পাশে। জাহিদ বারান্দায় দাঁড়িয়ে তাকিয়ে ছিল নিঃসাড় ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রীর মুখের দিকে। এই মুখটাই এক সময় কতটা অসহায় হয়েছিল। একটি সংসারের স্থিরতা পেতে মনে মনে কতটা অস্থির ছিল। খড়কুটো আঁকড়ে ধরবার মতো যার তার সঙ্গেই প্রেমে জড়িয়ে যাওয়ার মতো ভুলগুলো করেছে। কিন্তু জাহিদ ভাবে যে,মমতার কি তখন একবারও মনে হয় নি বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া মানে সংসারের হাতছানি নয় বা জীবনের স্থিরতার আশ্বাস নয়?কোনো সংসারী পুরুষের কাছ থেকে তো তার সংসারের বাইরের নারীর জন্য একরাশ প্রতারণাই বরাদ্দ থাকতে পারে। মমতার মনে সে কথা উদয় হয় নি একবারও। যে কারণে নানা রকম বিপদে জড়িয়ে যেতে যেতে কোনো রকমে উদ্ধার পেয়ে গেছে।
 জাহিদের মনে হচ্ছিল একমাত্র মমতার জন্যেই পারে সব কিছু করতে। আর সে কারণেই প্রবল বিক্রমে অস্বীকার করতে পেরেছিল পারিবারিক নানা নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল। যদিও ভাই বোনেরা নানা যুক্তি তুলে ধরে চেয়েছিল তার সিদ্ধান্তকে ভিন্নমুখী করতে। কিন্তু সে জালে ধরা না দিয়ে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল,তার ভাই মন্টুর কথা। যে আজ অবধি প্রায় বিচ্ছিন্নই থেকে গেছে তাদের পরিবার থেকে। তার জীবনে তো কোনো সংকট তৈরি হয় নি ভাই-বোনের অভাবে? তাদের যদি অতটাই সমস্যা হয়,তাহলে সম্পর্কের সুতোটা কেটে দিতে পারে অনায়াসেই। এ নিয়ে সে কখনোই অভিযোগ করবে না। তবু মমতার কাছ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করবার ভাবনাটুকু মনে ঠাঁই দিতে পারে না। মমতার সঙ্গে প্রতিশ্রুত সে অনেক আগে থেকেই, তাকে নিরাশ করা মানে এক ধরনের আত্মপ্রতারণাই। না হয় সে একজন লোভের কাছে নতজানু না হলো। এতকাল যখন কোনো লোভের কূপে ঝাঁপিয়ে না পড়ে বেঁচে থাকতে তেমন অসুবিধা হয়নি,বাকি জীবনেও লোভের কাছে... continue reading
Likes ২১ Comments
০ Shares

Comments (21)

  • - মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান

    আমার অপেক্ষার একটা পোস্ট।

    সবগুলো পরেছি।

    অসাধারণ !

    • - জিয়াউল হক

      ধন্যবাদ আরিফুর ভাই। আমার পোস্টের জন্য আপনার অপেক্ষা আমার এগিয়ে যাবার প্রেরনা।

    - ঘাস ফুল

    প্রহসনের সালিশির রায়ের আগেই কল্পনা নিজের রায় নিজেই কার্যকর করে ফেলেছে। এমনি হয়ে আসছে আমাদের অসহায় মানুষদের জীবনে। যাদের ভাগ্যের চাবি থাকে রইচ কেরানি আর কালাচান শেখের মতো অমানুষদের হাতে, আর পিছনে কলকব্জা নারে এই গল্পের চেয়ারম্যানের মতো মানুষেরা। এই সব সমাজে ওমেদ আলীর মতো নীতিবান মানুষদের কথার কোন মূল্য নাই। বরং টাকাওয়ালা নীতিহীন মানুষদের বিবেকহীন কথা এই সমাজে বেশী গৃহীত হয় কিংবা গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। নিজেদের অসহায়ত্বের জন্য সমাজের মানুষগুলো সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পায়, পাছে না খেয়ে মরতে হয় যদি। ধিক্কার জানাই এই সব সমাজের অধিপতিদের। গল্পটা পুরোটাই পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আগাগোড়াই আপনি ভালো লিখেছেন। আমাদের সমাজের একটা পারফেক্ট সালিশির চিত্র পুরো গল্পে উঠে এসেছে। কল্পনাকে ঘিরে সালিশির কর্মকাণ্ড আপনি বেশ সুন্দর করে বিন্যাস করেছেন। কথাচ্ছলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে ইংগিত দিয়েছেন। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগলো জিয়াউল। সুন্দর গল্পটার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন। 

    • - জিয়াউল হক

      ধন্যবাদ ভাই ঘাসফুল! আপনি সাথে আছেন এটা আমি ইদানিং সবসময় অনুভব করি। কেন যে কে জানে! যখন উদাস মনে পথ চলি তখনও হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় আপনিও বুঝি সাথেই আছেন। সত্যি আছেন কি ?

    • Load more relies...
    - ইকবাল মাহমুদ ইকু

    প্রতিতি পর্ব ই পরেছি ... খুব ভালো লাগসে... 

    • - জিয়াউল হক

      গল্পটি ধৈয্য সহকারে পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ ইকবাল ভাই।

    Load more comments...

জুলিয়ান সিদ্দিকী

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমরা কোথায় যাবো?

একজন লেখকের যে সমস্ত দায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিজের কাঁধে বর্তায়, সে সব দায় আমার নয় অবশ্যই। আমি লেখক হলে তা হয়তো বিতর্কের সৃষ্টি করতো। যেহেতু নিজেকে লেখকই মনে করি না, সেহেতু লেখকের দায় আমাকে ছুঁতে পারবে না বলে এতকাল একটি শক্ত বিশ্বাস লালন করে এসেছি মনের ভেতর। কিন্তু নিজের অপছন্দ হলেও কথা সত্য যে, কয়েক মাস ধরে আমাদের জন্মভূমিতে যেসব ঘটনা ঘটে চলেছে, তা দেখতে দেখতে আর শুনতে শুনতে বেজায় ক্লান্ত হয়ে গেছি মনে হচ্ছে। সে সঙ্গে যোগ হয়েছে কিইছু করতে না পারা আর বলতে না পারার অক্ষমতাও।
একজন অক্ষম মানুষের পক্ষে কী করা সম্ভব? তা হচ্ছে নিজে নিজে কষ্ট পাওয়া। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন সহ চারদিকেই কেবল অসাধু মানুষের জয়জয়কার। যার সঙ্গে শক্তি আর বুদ্ধিতে যখন যাকে পারি মোকাবেলা করি। কিন্তু কোনো পরিস্থিতিতে যেমন দেশটার এমন একটি নাজুক পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারি না। হয় দর্শক নয়তো পরিস্থিতি বা ঘটনার শিকার হওয়া ছাড়া। দেশটাতে যেন রাজনৈতিক আর ধর্মীয় মতবাদ কার্যকলাপ ছাড়া কিছুই করা সম্ভব নয়। পারলে মারো নয়তো পালিয়ে যাও। প্রতিবাদ করতে এসো না। ন্যায় অন্যায় দেখাতে এসো না। যদিও মগ রাজত্ব ততটা বড় আর শাসন ততটা শক্তিশালী নয়, তবু কেন আমরা কোটি কোটি নিধিরাম সর্দার?
সব কিছুর মূলে আছে অক্ষমতা। তাই প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের বদলে আমরা মেতে উঠি আত্মপ্রতারণায়। কেউ প্রেমের কবিতা লিখি, কেউ বা নতুন প্রেম প্রস্তাবকে শানিত করতে আশপাশের বন্ধুদের পরামর্শ নেই, কেউ বা কোনো অতীতের স্খলিত প্রেমকে কুড়িয়ে নিয়ে আকৃতি দিতে চেষ্টা করি। বদমাশ স্বামী বা বদমাশ স্ত্রী ভিন্ন পথে একে অন্যকে শায়েস্তা করতে ব্যস্ত। সরকারী আর বিরোধী দলের কথা নাই বা... continue reading
Likes ১৮ Comments
০ Shares

Comments (18)

  • - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    ভাই খালিদ ওমর আপনাকে জানতাম জাহাজের লোক এখন দেখি আপনি ভুতের গল্পও ভাল লিখতে পারেন। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ

    • - মোঃ খালিদ উমর

      ধন্যবাদ ভাইয়া।

    • Load more relies...
    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    ভাই খালিদ ওমর, নান্নার জমিদার দেখতে গেলে কিভাবে যেতে হয়। একটু যাওয়ার বর্ননা দিলে কোন একদিন হয়তো ঘুরে আসব।

    - রোদেলা

    খুব মজা করে লিখেছেনতো,ভালো লাগলো।

    • - মোঃ খালিদ উমর

      ধন্যবাদ। ভয় পেয়েছেন কি?