শীতের কষ্ট আর অনিদ্রাকে উপেক্ষা করে যতটা উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ নিয়ে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে বেড়াতে এসেছিল রুবি, মইনুদ্দিনের বউ হাসিনার গম্ভীর আর অপ্রসন্ন মুখের সম্ভাষণ শুনতে পেয়েই যেন তার যাবতীয় আগ্রহ আর উচ্ছ্বাসে ভাটা পড়ে গিয়েছিল। ভেবেছিল বাপের বাড়ি যাবার পথে দু’চারদিন মইনুদ্দিনের বাড়ি বিশ্রাম নিয়ে গেলে দীর্ঘ পথযাত্রার ক্লান্তি ততটা স্পর্শ করবে না তাকে। তা ছাড়া আখাউড়া যাবার পথে আরেকটি রাতের অনিদ্রা আর শীতের কষ্টকে বরণ করে নিতে পারত অনায়াসেই। গ্রামের বাড়িতে মাঝে মধ্যে দেখা হওয়া হাসিনার আচরণে তার ভেতরগত ভাবনা ততটা টের পাওয়া যায়নি তখন। যদিও দেখা হলে অনেকবার সে বলেছে, আপা , ভাইয়েরে নিয়া জয়দেবপুর যাইয়েন আমাদের বাসায় বেড়াইতে! সে কথায় কতটা আন্তরিকতা ছিল আর কতটা লোক দেখানো আচরণ ছিল তা বাইরে থেকে বোঝা বেশ কঠিন। কিন্তু সত্যি সত্যিই রুবি যখন ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেছিল, কেমন আছগো বউ?
রুবিকে ছেলে কোলে দরজায় দেখতে পেয়ে তেমন কোনো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে না হাসিনা। কেমন নিরুত্তাপ কণ্ঠে বলেছিল, ভাল আছি। ভাই না আইসা আপনেরে একলা ছাড়তে পারলো?
-ছুটি পাইলো না। কইলো এইবার একলাই যাও! মইনুদ্দিনের বাসায় দুইদিন বিশ্রাম নিয়া যাইও।
কথা বলতে বলতে রুবি অপেক্ষায় ছিল হাসিনা হয়তো তার হাত ধরে ঘরে টেনে নেবে। কিন্তু হাত ধরা তো দূরের কথা তার অপ্রসন্ন মুখ আর নিরুত্তাপ কণ্ঠস্বর দেখেই তার মন বলে উঠেছিল যে, এখনই দরজা থেকে ফিরে যায়। কিন্তু এভাবে এসে হঠাৎ ফিরে যাওয়াটাকে ভাল কোনো অর্থে গ্রহণ করতে পারবে না সে। হয়তো আরো রঙ চড়িয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে প্রচার করবে এ ঘটনার কথা।
পেছন থেকে তাড়া দেওয়ার ভঙ্গিতে মইনুদ্দিন হঠাৎ বলে উঠল, যাও না ঘরে, বাইরে দাঁড়াইয়াই কথা কইবা নাকি?
খানিকটা শ্লথ পায়ে ঘরে প্রবেশ করতে করতে রুবির মনে হচ্ছিল যে, হাসিনাকে ডেকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করে, বাইরের মানুষ দেখলে যার মুখ কালো হয়ে যায়, তেমন মানুষ কেন মিথ্যে ফুটানি দেখাতে বলে, বেড়াতে আসতে? এমন মিথ্যে আর লোক দেখানো কুটুম্বিতা না দেখালেই কি চলতো না? নাকি মানুষের সামনে বড় মুখ করে কথা বলতে আন্তরিকতার প্রয়োজন পড়ে না?
রুবি ঘরে ভেতর ঢুকলে তার জন্য বসার জায়গা থেকে শোয়া-ঘুমানোর জায়গা সহ সবই দেখিয়ে দেয় মইনুদ্দিন। অন্যান্য দিন এ সময়টাতে হাসিনা নাস্তা বানানো শেষ করে একসঙ্গে নাস্তা খাওয়া শেষ করে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যায়। তারপর ঘন্টা খানেক পর ফিরে এসে ঘরের অন্যান্য অসম্পূর্ণ কাজগুলো সেরে ফের গিয়ে স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে আসে। বাইরে কোনো কাজ না থাকলে এ সময়টাতে মইনুদ্দিন সোফাতে হেলান দিয়ে বসে সেন্টার টেবিলে দু পা তুলে দিয়ে রিমোট হাতে নানা চ্যানেল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে। কিন্তু আজ হাসিনার কী যে হয়, সে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে এসে রুবির উদ্দেশ্যে বলে, আপা , বাইরের কাপড় ছাড়বেন না? পারলে গোসল কইরা একটা ঘুম দেন। তার আগে নাস্তা দিতাছি কইরা নেন!
মইনুদ্দিন টিভির পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে হাসিনাকে জানায়, আমরা তো ইস্টিশনে নাস্তা কইরা আসছি!
-তাইলে তো ভালোই করছ!
হাসিনার দু চোখ যেন দপ করে জ্বলে ওঠে মুহূর্তের জন্যে। কণ্ঠে খানিকটা শ্লেষ মাখিয়ে বলে আবার, আমার লাইগ্যা নিয়া আইতে পারলা না নাস্তা? তাইলেই তো আমার নাস্তা বানানির বাড়তি কষ্ট করতে হইতো না!
হাসিনার মুখে এমন কথা প্রত্যাশায় ছিল না মইনুদ্দিনের। তবু সে স্ত্রীকে বোঝানোর ভঙ্গিতে বলতে চেষ্টা করে, ট্রেন থাইক্যা নাইম্যা রুবি কইলো খিদা লাগছে। তারে নাস্তা করাইতে গিয়া আমিও সাইরা ফালাইলাম!
-তা তো করবাই। বাইরে বার হইলে কি আর ঘরের কিছু মনে জাগা পায়?
রুবির ছেলেটা নতুন জায়গায় এসেছে বলে দৃষ্টিতে অপার কৌতূহল ফুটিয়ে খানিকটা টলতে টলতে এ ঘর ওঘর ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে বিভিন্ন জিনিসের প্রতি কখনো অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। কৌতূহল মিটে গেলে ফের আরেকটি জিনিসের দিকে এগিয়ে যায়। দৃশ্যটা হয়তো ভাল লাগে না হাসিনার। বাইরের একটি মানুষ ঘরময় ঘুরে বেড়াবে তা যেন ঘরের মানুষদের প্রতি নীরব উপেক্ষার মতোই মনে হয় তার কাছে। আর সে কারণেই হয়তো মইনুদ্দিনের প্রতি প্রচ্ছন্ন রাগটুকু গিয়ে পড়ে রুবির ছেলের ওপর। তার পায়ে লাল রঙের প্লাস্টিকের বা চামড়ার জুতো দেখতে পেয়ে চড়া কণ্ঠে বলে ওঠে, বাচ্চা দেখি সারাডা ঘর হাইট্যা বালু বালু করতাছে! আমি আবার কষ্ট কইরা মুছতে হইবো না? নাকি আমার বাড়তি কাজগুলা কেউ কইরা দিয়া যাইব?
হাসিনার কথা শুনেই হয়তো রুবি তার ছেলেকে ডাকে, মামুন, এদিকে আস বাবা!
ছেলেটি হয়তো মায়ের ডাক শুনতে পায় না বা নিজস্ব কৌতূহল নিবৃত্তির লক্ষ্যে সে ডাক উপেক্ষা করে। কিন্তু তার কোনো সাড়া না পেয়ে রুবি নিজেই মইনুদ্দিনের পাশ থেকে উঠে এসে ছেলেকে কোলে তুলে নিয়ে ফিরে যায়। এবং সঙ্গে সঙ্গে ছেলের পা থেকে জুতো জোড়া খুলে ফেললে মইনুদ্দিন হা হা করে বলে উঠলো, কর কি, জুতা খুইল্যা ফালাইলে তার ঠাণ্ডা লাইগ্যা যাইবো মিনিটেই!
-কিছু হইবো না। মৌজা তো আর খুলতাছি না! বলতে বলতে রুবি জুতো জোড়া উলটো করে একটার সঙ্গে আরেকটা চেপে ধরে ব্যাগের ভেতর রেখে দেয়।
মইনুদ্দিন বলল, পিন্দাইয়া রাখতা! ঘর আর কতটুক ময়লা হইবো?
তারপর সে উঠে বললো, আইচ্ছা পরিষ্কার জুতা পাই কিনা দেখি!
মইনুদ্দিন খুঁজে পেতে বাতিল জিনিসপত্রের বাক্স থেকে এক জোড়া সাদা রঙের জুতো বের করে এনে রুবির সামনে রেখে বলে, এইগুলা পিন্দাইয়া দাও। বাচ্চা পোলাপানের ঠাণ্ডা লাগাইলে বিপদ!
রুবি জুতো জোড়া ছেলের পায়ে পরিয়ে দিতেই সে কেমন হাসি হাসি মুখে জুতো দুটোর দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ।
রান্না ঘরের দরজা দিয়ে মাথা বের করে হাসিনা পুরো ব্যাপারটি দেখতে পেয়ে বলে উঠল, সুমি আইসা দেখলে কাইন্দা দুনিয়া উলটাইবো!
হাসিনার কথা ক’টি শুনতে পেয়ে কেমন করে যেন মইনুদ্দিনের দিকে তাকায় রুবি। যেন যাবতীয় দোষ তারই। আর সে কারণেই হয়তো কঠিন কোনো একটা কথা তার বলা সঙ্গত প্রতি উত্তরে। তার আগেই মইনুদ্দিন বলে উঠল, তর মাইয়া যখন কান্দে তখন দেখা যাইব। এখন তুই খ্যাচ খ্যাচ থামা!
-হ, আমি কথা কইলেই তো তোমার কাছে খ্যাচ খ্যাচ মনে হইব! বলতে বলতে হাসিনা ফের বেরিয়ে আসে রান্না ঘর থেকে। রুবির দিকে তাকিয়ে আবার বলে, আপা আপনে বইসা আছেন দেখি, শুইয়া কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন না তাইলে!
মাথা ঘুরিয়ে সে একবার দেয়ালে আটকানো ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে, বাড়তি কাপড় না আনলে আমি দেই?
-না না। আনছি বাড়তি কাপড়। তুমি অস্থির হইয়ো না।
-তাইলে ওই ঘরে গিয়া কাপড় বদলাইলে বদলান। নাইলে কিছুক্ষণ শুইয়া থাকেন। গোসল না করলে হাত-মুখ ধোওনের পানি আছে বাথরুমের বালতিতে।
রুবির কাপড় পালটানো বা হাত-মুখ ধোয়ার ঝামেলায় যেতে ইচ্ছে হয় না। তার ইচ্ছে হচ্ছিল শুয়ে ঘুমিয়ে পড়তে। কিন্তু তার সন্দেহ তার ছেলেটাকে সহ্য করতে পারছে না হাসিনা। সে ঘুমিয়ে পড়লে কিছু একটা ভেঙে ফেললে আরো বাড়তি কিছু কথা শুনতে হতে পারে তার। তাই ঘুমে দু চোখ জ্বালা করলেও সে ঘুমানোর পরিকল্পনা বাদ দেয়। তবে মইনুদ্দিনের পাশ থেকে তার উঠে যাওয়াটাও যেন কেমন মনে হয় তার। মইনুদ্দিন কি ভাববে না যে, সে এসেই শুয়ে পড়ল কোনো কুশল-বার্তা না জানিয়েই? একবার হাই চেপে সে বলে উঠল, চোখ দুইটা কেমন জানি জ্বলতাছে।
মইনুদ্দিন বলল, যাও, শুইয়া থাক। ওই ঘরে বিছনা পাতা আছে।
রুবি উঠে ছেলের হাত ধরে তাকে টেনে নিতে নিতে পাশের ঘরে গিয়ে দেখতে পায় মেঝেতে একটি তোষক পাতা আছে। যে চাদরটি বিছানো আছে তা কতদিন ধোয়া পড়ে না কে জানে! আবার এমনও হতে পারে রঙ উঠে গিয়ে এমন দেখাচ্ছে। কোনো বালিশ দেখতে না পেয়ে রুবি হাসিনার দিকে তাকিয়ে বলল, বালিশ আছে না বাড়তি?
-দিতাছি! বলেই, হাসিনা এগিয়ে এসে নিজেদের বিছানা থেকে একটি বালিশ এনে ছুঁড়ে দেয় মেঝেতে পাতা বিছানার ওপর।
তারপরই সে মইনিদ্দিনের দিকে ফিরে বলল, তোমার আত্মীয়রে ভালো-মন্দ কিছু খাওয়াইতে হইলে বাজারে যাও। ভাল মাছ-গোস্ত আর তরি তরকারি যাই পাও নিয়া আস। আর ফিরার সময় সুমিরেও নিয়া আইস।
ভেতরে ভেতরে বেশ কিছুটা অবাক হলেও মইনুদ্দিন কিছু বলে না। ঘরের বাজার হাসিনা নিজের হাতেই করে সব সময়। যদিও মইনুদ্দিন মাঝে মধ্যে শখ করে কখনো বাজার নিয়ে এসেছে তখনও তাকে শুনতে হয়েছে, দেখে-শুনে কিছু কেনার অভ্যাস নাই যখন, তখন বাজারের নামে হাবিজাবি কিনে আনার শখ হয় কেন তার? অথচ সে এখন নিজের মুখেই বলছে বাজারের কথা। সেই সঙ্গে মেয়েটাকে আনতে বলছে স্কুল থেকে। নাকি সে এমন একটি ভাব দেখিয়ে রুবিকে বোঝাতে চাচ্ছে স্ত্রী হিসেবে স্বামীর ওপর তার দাপট কতখানি, নাকি সংসারের বাজার খরচ পুরুষকেই মানায়?
মইনুদ্দিন বলল, তাইলে চা বানাস না বউ! সেই সঙ্গে রুবির উদ্দেশ্যে গলা উঁচিয়ে বলে, চা খাইবা রুবি ?
হাসিনা মইনুদ্দিনের কথা শুনে বলল, হোটেলে নাস্তা করনের সময় চা খাইয়া আস নাই?
-তর যা কথা! আজকে তর হইছে কি? বিরক্তি লুকিয়ে রাখতে পারে না মইনুদ্দিন। আবার বলে, হোটেলের চা আর ঘরের চা এক হইল?
-দিতাছি চা। চা খাইয়া বাজারে যাও। দেরি হইলে পাইবা না কিছু!
হাসিনা চা বানানোর উদ্দেশ্যে রান্না ঘরের দিকে যাওয়ার আগে একবার পাশের রুমে উঁকি দিয়ে রুবিকে জিজ্ঞেস করে, চা খাইবেন আপা ? ভালো লাগব!
কাত হয়ে শুয়ে চোখ বুঁজে ছিল রুবি। পাশে ছেলেটিও শুয়েছিল চুপচাপ। হাসিনার কথা শুনে সে চোখ মেলে বলল, নাহ। চা খামু না। পেটটা ব্যথা করতাছে। বাজারে গেলে তোমার জামাইরে একটু শুনতে কইও আমার কথা।
কথাগুলো শুনতে পেয়ে মইনুদ্দিন নিজেই এগিয়ে আসে। দরজায় দাঁড়িয়ে সে জিজ্ঞেস করে, কী লাগব কও!
-কয়টা পান আইনো। আর দুইটা পেট ব্যথার ট্যাবলেট।
-খালি পান?
-চুন-সুপারী সব আছে আমার।
-ট্যাবলেটের কী নাম?
-দোকানে যাইয়া কইলেই হইবো গ্যাস্টিকের ট্যাবলেট।
-পেট বেশি ব্যথা করলে আগেই ট্যাবলেট দুইটা আইন্যা দিতাছি।
-না না। দেরি হইলে অসুবিধা নাই।
-আইচ্ছা। বলে, রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে মইনুদ্দিন বলে, চা হইল?
হাসিনা জানায়, আমার তো চাইরটা হাত না। অল্প কিছুক্ষণ দেরি কর!
হাসিনার কাজ-কারবার দেখে ভেতরে ভেতরে বেশ কিছুটা উষ্ণ হয়ে আছে সে সকাল থেকেই। কিন্তু ঘরে একজন বাইরের মানুষ আছে বলে সে তেমন কঠিন কিছু বলতে পারছে না। আর সেই সুযোগটির পুরো সুবিধাই যেন আদায় করে নিতে পণ করে বসে আছে হাসিনা।
(চলবে...)
Comments (6)
হুজুর কী বুঝতে কী বুঝালেন হুজুরই ভালো জানেন। বয়সে ছোট হওয়ার পরও অনেক হুজুর অনেক কিছু জানেন। আপনার হুজুরের বেলায় ঘটেছে ঠিক ঠিক। মানে বয়সে, ছোট আবার জানেন ও কম। স্বপ্নটা রয়ে গেলো কিন্তু হুজুর পাল্টে গেলো। তারমানে আপনি মার কাছে মিথ্যা বলেছেন হুজুর সম্বন্ধে? যদি তা না হয়, তবে আপনার তো জানার কথা না হুজুর কোরআন শুদ্ধ পড়াচ্ছেন না ভুল পড়াচ্ছেন, যেহেতু আপনি নিজেই এখনো শিখছেন?
গল্পে আপনার নিজেরই স্বীকারোক্তি আছে আপনি তেমন ভাবেন না। অথচ আপনার স্বপ্নে চলে এলো নিতান্তই অপরিচিত দুটো প্রতিবেশী শিশুর কথা। মনে হয় আপনার নিজের জীবনটাই ছিল কিছুটা রুটিন বাঁধা বা বন্দী। তাই হয়তো বন্ধু বান্ধবের সাথে আপনার মেলামেশা কম ছিল। এটা আপনার মনে এক ধরণের প্রভাব বিস্তার করেছিল, যা থেকে আপনার অবচেতন মন নিজের অজান্তেই ওই শিশু দুটোকে নিজের বন্ধু বানিয়ে ফেলেছে। তাই বন্ধুদের চলে যাওয়া আপনি মেনে নিতে পারেন নাই। হয়তো তাই স্বপ্নেই বন্ধু হারানোর কষ্টে কেঁদে উঠেছিলেন।
বেশ কিছু বানান ভুল আছে। ঠিক করে নিলে ভালো হবে। ছোট গল্প হিসাবে বাক্য গঠন এবং শব্দের গাঁথুনিতে আরও একটু বেশী মনোযোগী হওয়া দরকার ছিল। ধন্যবাদ শাহ্আজিজ ভাই।
হুজুরের গল্পটাতো দারুণ লাগল। দোষটা হুজুরের না আপনার ভেবে দেখার বিষয়।
স্বপ্ন স্বপ্নই এবং তা বাস্তব থেকে বহুদুরে অবস্থান করে। অবচেতন স্বপ্নের কোন ব্যাখ্যা নেই । এটি একটি রম্য ছোট গল্প । হুজুর যা করেছিল তা ধর্মীয় প্রভাব স্বপ্নের উপর খাটাতে চেয়েছিল , এখন যা বুঝি । ছোট থাকতে কিন্তু এই বোধ ছিলনা । ছিল এই যে আমি তো অনৈতিক কোন কিছু করিনি তবে একেবারে তাওবা পড়িয়ে টড়িয়ে বিরক্ত করে দিয়েছিলেন । তাই মধুর প্রতিশোধ হয়েছিল হুজুরের উপর । ভালো লাগলো প্রামানিক যে আপনার ভালো লেগেছে গল্পটা ।
বাহ বেশ লাগল,
স্বপ্ন সব লুট হয়ে যায়,মাঘের কনকনে শীতে!!