Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Sports Image

অতীতের ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে মজার মজার কিছু তথ্য



প্রতিটি খেলায় যেমন ক্রিকেট, ভলিবল, ফুটবল, টেনিস এরকম অনেক খেলাই আছে সাথে আছে এসব খেলা নিয়ে মজার মজার তথ্য বা ইতিহাস। আজ তাই ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে অতীতের কিছু রোমাঞ্চকর তথ্য উপস্থাপন করা হলঃ

১। বিশ্বকাপের খেলা প্রথম টেলিভিশনে সম্প্রচার হয় ১৯৫৪ সালে। এ সময় সারাবিশ্বে এটি ছিল সর্বাধিক প্রচারিত ক্রীড়া ইভেন্ট।

২। ইতালীয় গোল রক্ষক ও অধিনায়ক দিনো জফ হচ্ছেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপে নিজ দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৮২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে তিনি ইতালীয় দলের নেতৃত্ব দেন।

৩। বিশ্বকাপে প্রথম পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারা খেলোয়াড়টি হচ্ছেন ব্রাজিলের ভালদেমার ডি ব্রিটো। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের প্রথম আসরে তিনি ওই ব্যর্থতার পরিচয় দেন।

৪। পেনাল্টি থেকে বিশ্বকাপে প্রথম গোলদাতা হচ্ছেন মেক্সিকোর ম্যানুয়েল রককুইটাস রোসাস। ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি।

৫। কিংবদন্তী ক্রিকেট তারকা স্যার ভিব রিচার্ড হচ্ছেন একমাত্র ক্রীড়াবিদ যিনি ফুটবল ও ক্রিকেট উভয় বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করেছেন। ১৯৭৪ সালে এনটিগুয়ার হয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

৬। বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে প্রথম অংশগ্রহণকারী এশীয় দল হচ্ছে ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ (বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া)। ১৯৩৮ সালে তারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে।

৭। আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে প্রথম খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মিশর। ১৯৩৮ সালে ইতালীতে অনুষ্ঠিত টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল দলটি।

৮। রাশিয়ার ওলেগ সালেংকো হচ্ছেন প্রথম কোন ফুটবলার যিনি বিশ্বকাপের একম্যাচে ৫ গোল করার নজীর স্থাপন করেছেন। ১৯৯৪ সালে ক্যামেরুনের বিপক্ষে গোলগুলো করেছিলেন তিনি।

৯। ১৯৫০ সালে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল পরাজিত হবার শোকে অন্তত ৪ ব্যক্তি শোকাহত হয়ে মারা গেছে বলে নজির রয়েছে।

১০। একটি ম্যাচও না খেলে বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইসরাইল। ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে তাদের ৫টি প্রতিপক্ষ দল নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। যাতে ইসরাইল ওই সুবর্ণ সুযোগটি লাভ করে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত একটি প্লে অফ ম্যাচে খেলতে হয়েছে তাদেরকে। ওয়েলসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে তারা হেরে যায়।

১১। ২০০৬ সালে জার্মানীতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ম্যাচে রেফারী গ্রাহাম পুল একবার নয়, দুবার নয়, তিন দফা হলুদ কার্ড দেখানোর পর লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠছাড়া করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড় জসিপ সিমুনিককে।

১২। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচের আগমুহূর্তে চুরি হয়ে গিয়েছিল জুলিয়েস রিমেট (সাবেক বিশ্বকাপ) টফি। ওয়েস্ট মিনিস্টারের সেন্ট্রাল হল থেকে ট্রফিটি চুরি হয়। একটি ছোট্ট কুকুর শেষ পর্যন্তু চুরি যাওয়া ট্রফিটি সনাক্ত করে। পরে ১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পুরস্কার হিসেবে ট্রফিটি একেবারেই দিয়ে দেয়া হয় ব্রাজিলকে। তবে ১৯৮৩ সালে সেটি আবারো চুরি হয়ে যায়, যেটি আজ পর্যন্ত আর উদ্ধার করা যায়নি।

১৩। ১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ম্যাচ চলাকালে মার্কিন ট্রেইনার রেফারীকে একটি প্রতিবাদ জানাতে সোজা মাঠের মাঝখান দিয়ে দৌড় দেন। এসময় তিনি তার ডাক্তারী ব্যাগটি মাটিতে ছুড়ে মারেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত ক্লোরফর্মের বোতলটি ভেঙ্গে গেলে এর প্রভাবে মাঠে লুটিয়ে পড়েন তিনি।