রেফ্রিজারেটর আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইলেকট্রিক পণ্য। আমরা এখন একটি দিনও এই পণ্যটি ছাড়া ভাবতে পারি না। ব্যস্ত জীবনে যেখানে প্রতিদিন বাজার করার সময় কারো নেই সেখানে অনেকেই মাসের বাজার একসাথে করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। এছাড়াও বেঁচে যাওয়া খাবার পরের দিন পর্যন্ত ঠিক রাখতেও অনেকে তা ফ্রিজে রেখে দেন। এতে খাবারটি নষ্ট হয় না। কিন্তু ফ্রিজে খাবার রাখার ব্যাপারে আমরা অনেক সময় অনেক ভুল করে থাকি যার ফলে খাবারের স্বাদ তো নষ্ট হয়েই যায় সেই সাথে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ে। তাই ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
১) ফ্রিজে খাবার রাখার আগে অবশ্যই খাবার পুরোপুরি ঠাণ্ডা করে নেবেন। খাবার ঠাণ্ডা না করে নিলে ফ্রিজে রাখার পরও খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কারণ তখন উপরের অংশ যতোটা ঠাণ্ডা হয়ে আসবে ভেতরে ঠাণ্ডা হবে না এতে করে খাবার নষ্ট হয়।
২) আপনি যদি ইলেক্ট্রিসিটি বাঁচাতে চান তাহলে ফ্রিজ খালি রাখবেন না। কারণ যখন ফ্রিজ ভর্তি থাকে তখন ভেতরে ঠাণ্ডা জমে যায় এবং অটোম্যাটিক ফ্রিজ ইলেক্ট্রিসিটি নেয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু খালি ফ্রিজে ঠাণ্ডা বাতাস বেশী সঞ্চালন হয় বলে ঠাণ্ডা দ্রুত কমে যায় এবং ইলেক্ট্রিসিটি বেশী খরচ হয়।
৩) ফ্রিজে খাবার খোলা রাখবেন না একেবারেই। ফলমূল রাখতে চাইলে কাগজের প্যাকেটে মুড়িয়ে রাখুন এবং অন্যান্য রান্না করা খাবার বক্সে বা ঢেকে ফ্রিজে রাখুন। এতে ফলমূল তাজা থাকবে অনেকটা সময় এবং খাবার কম নষ্ট হবে।
৪) মনে রাখবেন, ফ্রিজ কখনোই ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে না। ঠাণ্ডায় অনেক ব্যাকটেরিয়া জীবিত থাকতে পারে। তাই যদি দীর্ঘসময় খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণের চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। এবং যদি কোনো খাবার নিয়ে দ্বিধা থাকে কবে ফ্রিজে রেখেছিলেন তাহলে সে খাবার না খেয়ে ফেলে দেয়াই ভালো।
৫) যখন দ্রুত কোনো কিছু ঠাণ্ডা করতে চাইবেন তখন অল্প অংশে রাখবেন। কারণ একসাথে বেশী খাবার ঠাণ্ডা হতে বেশী সময় নেয়। বিশেষ করে যদি পানি দ্রুত ঠাণ্ডা করতে চান তাহলে ছোট ছোট বোতলে রাখলে দ্রুত ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
৬) কিছু কিছু খাবার যেমন চীজ, দই, মুলা, গাজর, তরমুজ, শসা, কমলা, ফ্রাইড ফুড ইত্যাদি ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কারণ এগুলোর স্বাদ একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ডিমও ফ্রিজে না রেখে বাইরে রাখাই ভালো।