Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

ফুড পয়জনিং হতে পারে ভয়ংকর



ফুড পয়জনিং একটি পরিচিত অসুখ। এটি সকলের জন্য বিব্রতকর এবং অস্বস্তিদায়ক রোগ হিসাবে পরিচিত। এই রোগকে আমরা তেমন গুরুত্ব দিতে চাই না। তবে অবহেলার কারণে এই রোগ মারাত্নক আকার ধারণ করতে পারে। তাই অতি পরিচিত এই রোগটি সম্পর্কে হতে হবে সচেতন।

ফুড পয়জনিং কেন হয়?
- আমরা যারা বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করি তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। বিশেষ করে বাইরের পানি পানের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
- এছাড়া অনেকের মধ্যে বাসি খাবার খাওয়ার প্রবণতা আছে, অনেকে আবার ফ্রিজে ঠিকভাবে খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না। এগুলোও ফুড পয়জনিংয়ের কারণ হতে পারে।
- ফলমূল সবজি ঠিকভাবে না ধুয়ে খেলে, ফুড পয়জনিং হতে পারে।
- মাছ, মাংস, শুটকি মাছ ঠিকভাবে সিদ্ধ না করে গ্রহণ করলে এই সমস্যা হতে পারে।
- হাত যথাযথভাবে পরিষ্কার না থাকলেও এই রোগ হতে পারে।”

ফুড পয়জনিংয়ের কিছু লক্ষণ:
“রোগীর শরীর থেকে প্রচুর ফ্লুইড বের হতে থাকে। তিনদিন বা তার বেশি পর্যন্ত ডায়রিয়া হতে পারে। মুখের মধ্যে শুকনো খটখটে মনে হতে পারে। ১০০ এর বেশি জ্বর থাকতে পারে। এছাড়া প্রচুর বমিও হতে পারে।”

সমাধান:
“প্রথমেই আমাদের সচেতন হতে হবে। খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুতে হবে। বাইরের খাবার এবং পানি গ্রহণ থেকে দূরে থাকতে হবে। ফলমূল শাকসবজি ঠিকভাবে ধুয়ে রান্না করতে হবে। বাসি খাবার কোন অবস্থাতেই খাওয়া যাবে না।”

প্রথমত, যারা ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। রোগীকে ওরস্যালাইন এবং প্রচুর তরল খাবার দিতে হবে। নরম ভাত, কাঁচা কলা, পেঁপে রোগীর জন্য আদর্শ খাবার।

দ্বিতীয়ত, দুই তিনদিনেও রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি রোগীর হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়, প্রেসার কমে যায়, চোখে ঝাপসা দেখতে থাকেন তবে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

তৃতীয়ত, এই সমস্যায় শিশু এবং বৃদ্ধদের প্রতি বেশি যত্নবান হতে হবে। কারণ শিশুদের শরীরে ৯০ ভাগ পর্যন্ত পানি থাকে। তাই তাদের জন্য এই রোগ মারাত্নক হতে পারে। আর বৃদ্ধদের এই রোগে কিডনি বিষয়ক বিভিন্ন জটিলতা হতে পারে।