Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Entertainment Image

মহারথীদের বিব্রতকর সিনেমা



হলিউডের অনেক বিখ্যাত পরিচালককেই ক্যারিয়ারের শুরুতে নানা কারণে ধুঁকতে হয়েছে। কাউকে ধুঁকতে হয়েছে অভাবের তাড়নায়, কাউকে ভুগতে হয়েছে সুযোগের অভাবে। আর সে সব কারণে অনেকেরই প্রথম সিনেমা বেশ বিব্রতকর। তাদের অন্যান্য সিনেমার তুলনায় বেশ দুর্বল।

অনেককেই ক্যারিয়ারের শুরুতে বানাতে হয়েছে বি-গ্রেডের সিনেমা। যে সিনেমাগুলোর মূল বৈশিষ্ট্যই হলো কম বাজেটের, স্থুল কৌতুকের আদিরসাত্মক সিনেমা। যেগুলোতে প্রায়ই কাহিনির চেয়ে বেশি মনোযোগ দেয়া হয় মেয়েদের শরীর আর যৌন-ইঙ্গিতের প্রতি।


ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা :

ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা বিখ্যাত তার গডফাদার ট্রিলজির জন্য। এই ট্রিলজি সিনেমা জগতের অনেক হিসাব-নিকাশই উল্টেপাল্টে দিয়েছে। কেবল উল্টেপাল্টে দিতে পারেনি কপোলার অতীতকে। ক্যারিয়ারের শুরুতে কপোলা প্রায়-পর্নোগ্রাফিক সিনেমাও বানিয়েছিলেন। তাও একাধিক। ছাত্র থাকাকালীন বানান দ্য পিপার।১৯৬২ সালে বানান তখন বেশ প্রচলিত নিউডি-কিউটি ঘরানার বি-গ্রেডের সিনেমা মিট মি টুনাইট ফর শিওর। সে বছরই বানান ওই ধরনের আরেকটি সিনেমা দ্য বেলবয় অ্যান্ড দ্য প্লেগার্লস।

অলিভার স্টোন :

অলিভার স্টোনের খ্যাতি মূলত যুদ্ধভিত্তিক, খানিকটা রাজনৈতিক থিমের সিনেমার জন্য। তার প্রায় সব সিনেমাতেই এই অনুষঙ্গগুলো ঘুরেফিরে আসে। প্লাটুনের জন্য ১৯৮৬ সালে এবং বর্ন অন দ্য ফোর্থ অব জুলাই-এর জন্য ১৯৮৯ সালে অস্কার জিতেন তিনি। এ ছাড়াও তার বিখ্যাত সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে ওয়াল স্ট্রিট, ন্যাচারাল বর্ন কিলার, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, ওয়াল স্ট্রিট : মানি নেভার স্লিপস ইত্যাদি। তবে তার এসব অসাধারণ সিনেমার পাশে তার প্রথম পরিচালিত সিনেমাটি রীতিমতো বিবর্ণ। সেইজার (১৯৭৪) নামের হরর সিনেমাটি রীতিমতো হাস্যকরই বলা চলে।

রন হাওয়ার্ড :

২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া এ বিউটিফুল মাইন্ড-এর জন্য রন হাওয়ার্ড অস্কার জিতেন। তার অন্যান্য বিখ্যাত সিনেমাগুলোর মধ্যে আছে স্প্ল্যাশ, অ্যাপোলো ১৩, দ্য ডা ভিঞ্চি কোড, এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস ইত্যাদি। এই রন হাওয়ার্ডের সিনেমায় হাতে খড়ি হয় আরেক পরিচালক রজার করম্যানের হাত ধরে। করম্যান তাকে দ্বিতীয় সারির একটি সিনেমার পরিচালনার কাজ জুটিয়ে দেন। হাওয়ার্ড করম্যানের কার-চেজ কমেডি ইট মাই ডাস্ট-এ অভিনয় করেন। বিনিময়ে করম্যান তাকে জুটিয়ে দেন গ্র্যান্ড থেফট অটো-র পরিচালনার ভার। বি-গ্রেডের এই সিনেমাটির কাহিনিও বেশ সুড়সুড়িদায়ক ছিল।

জেমস ক্যামেরন :

টাইটানিক, অ্যাভাটার, টার্মিনেটর-এর যে কোনো একটি সিনেমাই জেমস ক্যামেরনকে অমর করতে যথেষ্ট। অথচ তার পরিচালনার প্রথম সিনেমাটির কথা ক্যামেরন পারলে ভুলেই যেতে চান। তখনও ক্যামেরন কাজ করতেন মূলত স্পেশাল ইফেক্টস ডিরেক্টর হিসেবে। পিরানহা টু: দ্য স্পনিং-এও সে হিসেবেই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাহী প্রযোজক ওভিডিদ আসোন্তিস সিনেমার মূল পরিচালককে সরিয়ে দেন। দায়িত্ব দেন ক্যামেরনকে। তিনিও অবশ্য সিনেমাটি শেষ করতে পারেননি। আড়াই সপ্তাহ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর প্রযোজকদের পক্ষ থেকে তাকেও সরে যেতে বলা হয়। পরিচালনার দায়িত্ব নেন আসোন্তিস নিজেই। পরে অবশ্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পরিচালক হিসেবে বিদেশি কারও নাম দেয়ার ঝুঁকি নেয়নি। শেষ পর্যন্ত তাই পরিচালক হিসেবে ক্যামেরনের নামই থেকে যায়।

জোনাথন ড্যাম :

হলিউডের অন্যতম সেরা সাইকোলজিক্যাল-থ্রিলার দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস। সিনেমাটি পরিচালনার জন্য জোনাথন ড্যাম ১৯৯২ সালে অস্কার জিতেন। এই জোনাথন ড্যামেরও ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল বি-গ্রেডের প্রায়-পর্নোগ্রাফি সিনেমা পরিচালনা করে।১৯৭৪ সালে তার পরিচালনায় মুক্তি পায় কেজড হিট। তারও আগে দ্য হট বক্স (১৯৭২) এবং ব্ল্যাক মামা, হোয়াইট মামা (১৯৭৩) এর কাহিনি ও চিত্রনাট্য রচনার কাজও তিনি করেন।পরে হ্যান্ডল উইথ কেয়ার (১৯৭৭), মেলভিন অ্যান্ড হাওয়ার্ড (১৯৮০) সিনেমাগুলো তাকে হলিউডের মূল ধারায় জায়গা করে দেয়।

ওয়েস ক্র্যাভেন :

ওয়েস ক্র্যাভেনকে বলা হয় মাস্টার অব হরর। হরর সিনেমা জগতের দুই বিখ্যাত চরিত্র ফ্রেডি ক্রুগার আর কোর্টনি কক্স— দুটোরই স্রষ্টা ক্র্যাভেন। অথচ এই ক্র্যাভেনই সিনেমা জগতে হাত পাকান পর্নো সিনেমা বানিয়ে। প্রথমে তিনি পর্নো সিনেমায় স্টোরি-রাইটার ও এডিটর হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে ১৯৭৫ সালে এবি স্নেক ছদ্মনামে একটি পর্নো সিনেমা পরিচালনা করেন। তখন বেশ জনপ্রিয় পর্নো চিক ধারার সিনেমাটির নাম ছিল দ্য ফায়ারওয়ার্কস ওম্যান।