অসুন্দর বলে ডাগর চোখ মেলে
আয়নায় দ্যাখো না মুখোশী রূপ,
অন্যের রূপেরঘটায় আত্মিক বেদনা ভেসে ওঠে
ঠোঁটে, গ্রীবায়, চন্দনী হাসিতে।
তারা অসুন্দর বলে দাবি করে গোপনে;
অথচ বোঝে না-
ঈশ্বরের কাছে অসুন্দর বলে কিছু নেই।
কালো-সাদায় অসুন্দরতা নয়,
স্রেফ পাওয়া যায় মানুষের পরিচয়।
সবচেয়ে অসুন্দর মানুষের মায়ের কাছে
জানা নেই অসুন্দরের ডাক টিকিট,
মায়েরা তাই অশ্রু ভেজা খাম দেখেই
চিনে নেয় সন্তানের সৌন্দর্যরূপ।।
পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর ছেলেটির চোখেও
থাকে স্বপ্নিল আকাশমণি মেঘ,
সেও ভালোবাসতে জানে, কাঁদতে জানে।
জানে প্রেমিকার হাসি দেখার জন্য
উজার করে দিতে সমস্ত পৃথিবীপৃষ্ঠাংশ।।
আর পৃথিবীর সবচেয়ে অসুন্দর মেয়েটি!
তার কোলেই জন্ম নেয় সুন্দরতার শ্রেষ্ঠত্ব,
তার পদতলে নুয়ে থাকে সমগ্র পৃথিবী,
সুন্দর ঘুমোয় অসুন্দরের স্তন্যপান করে।।
মানুষ তুমি, এই সৌন্দর্য তোমার।
রূপেরমোহ সৌন্দর্যতত্ত্ব বিরোধী,
পশু-পাখিরা নানা রঙা হয়, কালো-সাদা হয়।
সবচেয়ে অসুন্দর মানুষের রং হয় মনুষত্ব,
যেমন হয় সুন্দরতম মানুষের রং।
- জিহান আল হামাদী
continue reading
Comments (4)
প্রথম পোস্টের জন্য অভিনন্দন ভাই রিঙ্কু।
শুভকামনা সতত।
তবে হোক এ কামনাই...শুভ
কবিতার ভাবনাময় বেশ--------
ভাবনা হোক আরও...বুকের ভেতর
কবিকে মাঘের শুভেচ্ছা,,,,কবিতার গভীরতায় সেচ্ছায় ডুব সাঁতার,,,,
শুভেচ্ছা হৃদয়ে মেখে নিলাম...