Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

এ.টি. নূর শেখ লিটা

৭ বছর আগে লিখেছেন

সমাজ!!!

একজন মানুষ, ধনী কিংবা গরীব, ছোট অথবা বড় হতে পারে কিন্তু অনুভূতি প্রত্যেকের সমান।
আজ যারা অট্টালিকায় বাস করছে কিংবা বিএমডব্লিউতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অপমানবোধ কিংবা খারাপ লাগার অনুভূতি কেবল তাদের জন্যেই নির্দিষ্ট নয়। যারা দু'বেলা ঠিকভাবে খেতে পায় না, যাদের মাথা গোঁজার মত একটা ছাউনি নেই, এই খারাপ লাগার অনুভূতিটা তাদের মাঝেও সমানভাবেই কাজ করে। কারন সৃষ্টির এই শুরু থেকেই প্রত্যেক মানুষের মাঝেই অনুভব করার ক্ষমতা আল্লাহ দিয়ে দিয়েছেন, যার কাছে কেউ ছোট অথবা বড় নয় বরং সবাই সমান। কিন্তু নিজেকে অতিরিক্ত সামাজিকভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে এই সত্যতা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই।
এটা খুবই সহজ, ভিক্ষা চাইতে আসা বৃদ্ধ লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া অথবা রাস্তার পাশে দেখা কোন টোকাইকে নোংরা বলে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়া। হয়ত আপনি এটা করতে পেরে নিজেকে খুব বড় মনে করেছেন কারন নিচু জাতকে আপনি ঘৃণা করেন। আপনি ঘৃনা করেন সেই ছেলেটাকেও যে দু'পয়সা পাবে বলে আপনার দামী গাড়ীটা পরিষ্কার করে দিয়েছিল, অথচ আপনি ভেবেছিলেন ছেলেটার নোংরা হাত আপনার গাড়িটাকে নোংরা করে দিয়েছে! তাই আপনি ছেলেটাকে বকেছেন কারন আপনি ছেলেটাকে নিচু জাতের ভেবেছেন, আপনি ভেবেছেন নিচু জাতের লোকগুলো মানুষ নয়, তারা সমাজের উচ্ছিষ্ট ছাড়া আর কিছু নয় আর তাই তাদের অপমানিত হওয়ার মত মনও নেই। কি অদ্ভুত! এই একই ব্যাপারটা যখন আপনার সাথে ঘটে, যখন একটা সামান্য ভুলে আপনার বস আপনাকে কথা শোনায় তখন আপনার মন খারাপ হয়ে যায়। আপনার খারাপ লাগে কারন আপনি ভিতরে ভিতরে অপমানিতবোধ করেন। তখন 'খারাপ লাগা' কি জিনিস আপনি সেটা বোঝেন কিন্তু তখন বোঝেন না যখন আপনি নিজে অন্যকে ছোট করছেন। আপনি ভুলে যান স্ট্যাটাস... continue reading
Likes Comments
০ Shares

এ.টি. নূর শেখ লিটা

৮ বছর আগে লিখেছেন

"ফেলে আসা স্মৃতি"

সবার জীবনেই কম-বেশি অভিজ্ঞতা থাকে। প্রায় প্রতিনিয়তই কাউকে না কাউকে নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। আমিও হয়েছিলাম আর সেই অভিজ্ঞতার কথাই আজ বলব।  
(১) আমি তখন ক্লাস নবম শ্রেণীর ছাত্রী। যথানিয়মেই একদিন স্কুল থেকে বান্ধবীদের সাথে গল্প করতে করতে বাসায় ফিরছি। এমন সময় দেখলাম আমাদের পাশ কাটিয়ে তিন/চারটে ছেলে যাচ্ছে কিছুটা সন্ত্রাসীদের মত ভাব নিয়ে। অপেক্ষাকৃত সামনের ছেলেটি কি যেন বলছে আর কিছুক্ষণ পরপর সিগারেটে ফুঁ দিচ্ছে। এটা দেখে হতভম্ব আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়লাম কারন ছেলেটার বয়স বেশি হলেও ৯বছরের উপরে নয়। এতটুকু বয়সে কিভাবে মাদকের কালো থাবায় ছেলেটির সুন্দর জীবনটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেকথা হয়ত ছেলেটি নিজেও অনুভব করতে পারছে না। পরিস্থিতিটায় এক মুহূর্তের জন্য কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম। ভাবলাম ছেলেটির পরিবারের কথা, তাদের বাবা-মা কতটাই না কষ্টে আছেন এরকম একটি ছেলে নিয়ে। আর আমাদের সমাজটাও কতটা কঠিন তারা পারে শুধু মাদকাসক্তকেই ঘৃণা করতে মাদকদ্রব্যকে নয়! ছেলেটি যদি আমার ভাই হত তাহলে হয়তবা টেনে গালে দু’টো চড় বসিয়ে দিতাম কিন্তু ভাইয়ের মত ভাইতো না! আর তাছাড়া আমাদের দেশের স্বার্থপর মানুষগুলো (আমিও অবশ্যই ব্যাতিক্রম নই)মুখে যতই বলুক না কেন নিজে কতটা এগিয়ে এসেছে মানুষের কল্যানের জন্য বলুন?! বান্ধবীদের কথায় চিন্তার সেতুতে টান পড়ল, যেন সংবিৎ ফিরে পেলাম। একবার পিছনের দিকে তাকিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম। পথে আর কোন কথা বললাম না, সারাটাদিন মন খারাপ করেই কেটে গেল।  
(২) একদিন কোচিং ছুটির পর বান্ধবীরা মিলে বইয়ের দোকানে যাওয়ার জন্য মিরপুর-১০এ গেলাম। সেখানে ওভারব্রিজের ওপর উঠার পর অবাক হয়ে গেলাম এটা দেখে যে সেখানে প্রায় ৮/৯মাসের একটি শিশু শুয়ে আছে ভিক্ষার জন্যে। কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়ালাম, এদিক-সেদিক তাকিয়ে বাচ্চার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - ওয়াহিদ মামুন

    ভাল লিখেছেন

    - প্রলয় সাহা

    অনেক ভালো লেগেছে। 

    - তামান্না তাবাসসুম

    সুন্দর লেখনী :)

এ.টি. নূর শেখ লিটা

৮ বছর আগে লিখেছেন

"স্বপ্ন"

সৃষ্টির শুরু থেকে বর্তমান কিংবা অসীম
বেঁচে থাকাগুলো অদ্ভুত অথবা বদলে যাওয়া প্রতিনিয়ত,
চিরায়ত হাসির আড়ালে অশ্রুসিক্ত নয়ন
বেদনাদের উচ্ছল বসবাস হৃদয়ের আনাচে-কানাচে!

কখনো বিশাল আকাশের নীচে একটুখানি ছাউনী খোঁজা
বেঁচে থাকারা এগিয়ে চলে স্বপ্নের পথ ধরে।
কখনো মুখ থুবড়ে পড়ে বাস্তবতার কাছে
তবুও যেন থেমে থাকে না এই পথচলা...

আজ যেখানে নব জন্মের উৎসব, কাল সেখানে মৃত্যুর আহাজারী
গতকালের হাসি আজকের কান্নায় রুপান্তরিত,
তবুও জীবন নিজস্ব নিয়মে আগামীর স্বপ্নে মুখর।

যদিও আজন্ম গড়ে উঠা হৃদয়ের স্বপ্নে একদা সৃষ্টি হয় ধ্বংসস্তুপের।
কখনো হৃদয় বিদীর্ণ হাহাকার! অতঃপর, ধ্বংসে ধ্বংসে কাটাকাটি।
জীবন-সংগ্রামে বেঁচে থাকারা প্রাধান্য পায়।
স্বপ্নেরা গড়ে উঠে পুনরায়
আবার, সৃষ্টি হয় নতুন বিনাশ!
সস্তা ভাবনারা মুখ থুবড়ে পড়ে যায়, আবার উঠে দাঁড়ায়।

চলতে থাকে অভিনয়! বেঁচে থাকার অভিনয়
লোক দেখানো সামাজীকতায় সুখে থাকার অভিনয়
নাকি চলে নিজের সাথেই! অভিনয় কিংবা স্বান্তনাবানী...
জীবনের প্রয়োজনেই জন্ম হতে থাকে নব নব স্বপ্নের
যে স্বপ্নে রয়েছে প্রানচ্ছল বেঁচে থাকার আহ্বান।

তবুও স্বপ্নেরা বেঁচে থাকুক অনন্তকাল,
তবুও তার বাস্তবায়নের আশায় আশায় চলতে থাকুক পথচলা
তবুও সে পথচলা হয়ে উঠুক জীবন-সংগ্রামের প্রধান হাতিয়ার-

স্বপ্ন স্বপ্নে মুখরিত, তবুও তারা এগিয়ে চলুক আদি থেকে অন্ত
যেখানে প্রতিটি জীবনই হয়ে উঠেছে এক একটি গল্পগাঁথা! continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - ওয়াহিদ মামুন

    কবি যেমন মানুষ, তেমনই তাদেরকে তো মানুষের মাঝেই থাকতে হবে। কাব্য উপমা তো মানুষের মাঝেই রয়েছে, কোন আখড়ায় নয়।

    অর্থবহ মূল্যবান লেখা। অনেক ভাল লাগা জানানাম।

    emoticons

     

    • - মাসুম বাদল

      অনেক অনেক শুভকামনা... emoticons

    - চারু মান্নান

    কবি হয়ে উঠার গপ্পো বেশ ভাল,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

    • - মাসুম বাদল

      সালাম ও শুভকামনা...emoticons

এ.টি. নূর শেখ লিটা

৮ বছর আগে লিখেছেন

"প্রত্যাবর্তন"

তারপরের অনেক অনেক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর
তুমি পুনরায় আমাকে ডেকেছিলে,
শুনিয়েছিলে ভালোবাসায় আবদ্ধ হৃদ্যতাপূর্ণ কিছু বাণী!
আমাকে অবাক করে দিয়ে স্মরণে নিয়ে এসেছিলে ফেলে আসা কিছু
ধুসঢ় স্মৃতি। আমি বিস্মিত নয়নে তাকিয়েছিলাম,
কাজলহীন চোখ দু'টো কি ভাবিয়েছিল তোমায়?!
ওহ! আমি কি বলিনি তোমাকে-
সাজতে ভুলে গিয়েছিলাম অনেক আগেই,
তুমি চলে আসার পর থেকেই!
আমি জানি মায়ার বাঁধনে তুমি বাঁধতে চেয়েছিলে আবার আমায় হয়ত,
যেভাবে আমি হারিয়ে ছিলাম নিজেকে কখনও তোমার মাঝে!
কিন্তু তুমি বুঝনি এটা ছিল কেবলই এক ব্যার্থ চেষ্টা,
আজ অগ্রাহ্যে, অবহেলায়-অবহেলায় কত যুগ,
কত কাল কাটিয়ে দিয়েছি নিঃসঙ্গতায়।
জানোই তো পুড়ে পুড়ে যে মাটি আজ রূপান্তরিত হয়েছে কোন পাত্রে,
তার মাঝে কষ্টের বোঝা চাপিয়ে তাকে ভেঙ্গে ফেলা যায় খুব সহজেই
কিন্তু ফিরিয়ে তুমি দিতে পারবে না তার সেই মসৃনরূপ!
আমি হয়ত বলতে পারিনি তোমাকে,
আর কত সহসাই তুমি ভুলে গেছ মাটির সেই চিরন্তন বৈশিষ্ট্য!! continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - পিয়ালী দত্ত

    khub valo

    • - রুদ্র আমিন

      জেনে ভাল লাগল বন্ধু।

    - মাসুম বাদল

    বেশ ভাল লাগলো... 

    • - রুদ্র আমিন

      অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

এ.টি. নূর শেখ লিটা

৮ বছর আগে লিখেছেন

"কনফেসন অব আ সাইকো"

টেবিলের উপরে খবরের কাগজটা খুব ধীরে ছুঁড়ে দিয়ে সাংবাদিক লুতফুন নাহার অর্শা জিজ্ঞেস করেন-“তাহলে মিঃ রিফাত, খুনগুলো কিভাবে করতেন আপনি! আই মিন, স্বাভাবিকভাবে সিরিয়াল কিলারদের যেমনটা হয় আরকি সবারই নিজেস্ব একটা স্টাইল থাকে কিনা…!” একবার কেশে নিয়ে সামনের চেয়ারটা টেনে নিয়ে বসতে বসতে পুনরায় বলেন তিনি-“তা আপনার স্টাইলটা কেমন!? সেটাই জানতে চাইছিলাম আরকি।”
-“স্টাইল! হাহা…” টেবিলের অপর প্রান্তে বসা লোকটা হাসতে হাসতেই সামনের দিকে ঝুঁকে এসে বলে-“ আমি কেবল কনফার্ম করি ব্যাপারটা। ঠিক এইদিকটায়,(কপালের মাঝে আঙ্গুল ঠেকিয়ে দেখিয়ে দিয়ে) কপালের মাঝ বরাবর বন্দুকটা ঠেকাই আমি, নাহ! ওটাকে বন্দুক নয়, বরং আমার প্রিয় সঙ্গী বার্সা বললে বেশ হয়। যাই হোক কপালে ঠেকিয়েই আমি কাজটা করি, যেন এক সুটেই শেষ! দ্বিতীয়বার চিন্তার কোন বিষয় নেই।” ছোট্ট রুমটার হালকা আলো-আঁধারের মাঝে যেখান থেকে অপর প্রান্তে বসা লোকটার মুখায়বও ঠিক ভালোভাবে বোঝা যায় না, তার তীক্ষ্ণ শীতল কন্ঠস্বরে একবার মনের অজান্তেই কেঁপে উঠে দেশের একটি স্বনামধন্য পত্রিকার জনপ্রিয় সাংবাদিক অর্শা।
-“অহেতুক এতটা পেইন দিয়ে...” শেষ করতে পারেন না তিনি তার আগেই সিরিয়াল কিলার রিফাত এক হাত উঠিয়ে তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে-“আহ! আমার লিস্টে অহেতুক বলে কোন শব্দ নেই। সুতরাং এটা ব্যাবহার করবেন না আর মারবই যখন মনস্থির করেই ফেলেছি তখন এটাকে উপভোগ করেই শেষ করাটা শ্রেয়। তাছাড়া একটা বন্দুকের খোসা কিভাবে যে মাথার এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে বেরিয়ে যায়, আহ! সেই মজাদার দৃশ্য স্বচোখে না দেখলে বুঝতে পারবেন না যে বিষয়টা সত্যিই কতটা উপভোগ্য!” হাসির দমকে খেঁকিয়ে উঠেন রিফাত। এমন উত্তরের বিপরীতে কি ধরনের প্রশ্ন করবেন ভাবতেই একটাবারের জন্য চিন্তায় পরে যান অর্শা। কিন্তু পরক্ষণেই ভাবেন, একজন সাইকোর কাছে থেকে এরচেয়ে বেটার কোন কথা তিনি প্রত্যাশাও করতে পারেন না... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মাসুম বাদল

    দারুন...!!! 

    - চারু মান্নান

    অন্ধ রাত চোখে দেখেনা
    বুঝে শুধু ব্যথা কণ্ঠের চাপা শূন্যতা
    কি চাইতে , কি পেলে
    কি ঘটে গেল অবুঝ হৃদয়ের সংযোগে
    প্রাপ্তি ছাড়া কিছুই না...

    বাহ দারুন তো!!!!!!!!!!!!!!!emoticons

Load more writings...