আলবার্ট আইন্সটাইন সর্বকালের সবচেয়ে মেধাবী এবং জনপ্রিয় বিজ্ঞানী। পদার্থবিজ্ঞানের এই অসাধারণ বিজ্ঞানীও দিনশেষে একজন মানুষই ছিলেন। আর তাই তাঁর সাধারণ মানুষের মতই নানান ছোট ছোট ভুলও ছিল, ছিল তাঁকে ঘিরে নানান রকমের চিত্র-বিচিত্র ঘটনা। এই ব্যাপারগুলোই পৃথিবীর চোখে আইন্সটাইনের করেছে আরো আকর্ষণীয়। আসুন জেনে নিই তাঁর জীবনের এমন কিছু অজানা কিন্তু মজার বিষয়।
১। যে প্যাথলজিস্ট আলবার্ট আইন্সটাইনের ময়না তদন্ত করেছিলেন তিনি তাঁর মস্তিষ্কটি চুরি করেন এবং ২০ বছর একটি জারে ভরে রেখেছিলেন।
২। আইন্সটাইনকে ইসরায়েলের রাস্ট্রপতি পদগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছিল যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
৩। তিনি অংকে এতই কাঁচা ছিলেন যে ফেলও করেছিলেন বলা হয়। আসলে কিন্তু এটি সত্য নয়। তিনি ছেলেবেলায় অংকে তেমন অসাধারণ না হলেও তেমন কাঁচাও ছিলেন না।
৪। এমনকি ১২ বছর বয়সের পর তিনি নিজেই জটিল অংক তৈরি করতেন।
৫। তিনি সুইজারল্যান্ড এর ফেডারেল পলিটেকনিক একাডেমীর ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন।
৬। জার্মানীর স্কুলেও তাঁর অঙ্কের গ্রেড অনেক কম ছিল এজন্য নয় যে তিনি অংক পারতেন না, বরং এজন্য যে তখনই তিনি বিখ্যাত সব গণিতবিদদের সাথে সময় কাটাতেন এবং তাঁর বয়সের তুলনায় এডভান্স লেভেলের অংক করতেন।
৭। ৪ বছর বয়স পর্যন্ত আইন্সটাইন কথাই বলতে শেখেন নি। এ কারণেই হয়ত তিনি প্রগাঢ় চিন্তাশক্তি পেয়েছিলেন এবং ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতেও শিখেছিলেন।
৮। আইন্সটাইনের অধিকাংশ আবিষ্কার তাঁর চিন্তা এবং কল্পনাশক্তির ফল।
৯। ফেডারেল পলিটেকনিক কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশনের পর আইন্সটাইন শিক্ষকতার চাকরির চেষ্টা করেও পান নি। বাধ্য হয়ে তিনি পেটেন্ট কেরানি পদে চাকরি নেন।
১০। পেটেন্ট ক্লার্ক থাকা অবস্থাতেই তিনি তাঁর রিলেটিভিটির তত্ত্ব প্রকাশ করেন এবং সারা পৃথিবীতে হৈচৈ ফেলে দেন।
জেনে নিন আরও কিছু মজার তথ্য -
- বলা হয়, তিনি রিলেটিভিটি তত্বের জন্য নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন, যা একটি ভুল ধারণা। বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক থাকায় তিনি কখনো এই তত্ত্বের জন্য নোবেল পান নি।
- তিনি নোবেল পান আলোকতড়িৎ ক্রিয়ার নিয়ম আবিষ্কারের জন্য।
- নোবেল প্রাপ্তি সম্পর্কে আইন্সটাইন এতই আত্ববিশ্বাসী ছিলেন যে কয়েক বছর আগে থেকেই স্ত্রীকে কথা দিয়ে রেখেছিলেন, তালাকের সময় নোবেল জয়ের টাকা তিনি স্ত্রীকে দিয়ে দেবেন।
- আইন্সটাইন আরেকটি ত্রুটি ছিল, তিনি কিছুই মনে রাখতে পারতেন না। বিশেষ করে নাম, ফোন নম্বর, তারিখ।
- মৃত্যুর পর তার মস্তিষ্ক চুরি হয়ে গিয়েছিলো!
- সর্বশেষ মজার বিষয় হল, আইন্সটাইনের ব্যাক্তিত্ব স্টুয়ার্ট ফ্রিবোর্নকে প্রভাবিত করে স্টার ওয়্যার এর চরিত্র 'ইয়োডা' তৈরিতে।