Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Sports Image

কোপা আমেরিকার নতুন চ্যাম্পিয়ন চিলি



কোপা আমেরিকার ফাইনালে ট্রাইবেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিতল চিলি। ৯৯ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে ৪ বার ফাইনালে ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষৈ ঘরের মাঠে কোপার শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ে অ্যালেক্সিস সানচেজের দল। বিশ্বকাপে জার্মানির সাথে শিরোপা জয়ে ব্যর্থ হয়ে এবার আবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে হেরে গিয়ে শিরোপা অধরাই থেকে গেল মেসিদের। খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে গোল শূন্য ছিল। নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলা শেষে ফলাফল নির্ধারণ না হওয়ায় ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। আর ট্রাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে শিরোপা ঘরে তুললো চিলি।

কোপা আমেরিকার শিরোপা জিততে নিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে ৪-১ ব্যবধানে হারায় তারা। প্রথম পেনাল্টি কিকে মাথিয়াস ফার্নান্দেসের জোরাল শট ওপরের বাঁ কোনা নিয়ে জালে জড়ায়। আর্জেন্টিনার প্রথম পেনাল্টি ডান দিক দিয়ে নিচু শটে বল জালে জড়ান মেসি।

আর্তুরো ভিদালের শটে হাত লাগিয়েও ফেরাতে পারেননি রোমেরো। হিগুয়াইনের পেনাল্টি কিক চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। আরানগিস তৃতীয় পেনাল্টি থেকে অনায়াসে গোল করেন। এভার বানেগার দুর্বল পেনাল্টি কিক ঠেকিয়ে দেন ব্রাভো। সানচেসের পরের পেনান্টি কিক বল জালে পৌঁছলে প্রথমবারের কোপা আমেরিকা জয় নিশ্চিত হয়ে যায় চিলির।

এর আগে নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ছিল। সেমি-ফাইনালে প্যারাগুয়ের পরিণতি দেখে ভয় পায়নি চিলি; গ্যালারি ভরা ভক্তদের সমর্থন নিয়ে শুরু থেকে আর্জেন্টিনার ওপর চাপ তৈরি করে স্বাগতিকরা। গ্যালারি দেখে মনে হচ্ছিল লালের সমুদ্র, আর তাতে দোলা দেওয়ার মতই খেলছিলেন আলেক্সিস সানচেসরা।

তবে মেসি জাদুতে প্রথম সুযোগটি তৈরি করে অতিথিরাই। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ডিফেন্স চেরা পাস একটুর জন্য নাগালে পাননি ছুটে আসা সের্হিও আগুয়েরো।

গতি দিয়ে আর্জেন্টিনাকে পরাস্ত করার পরিকল্পনা করে চিলি। তাদের আক্রমণগুলো গড়ে উঠে ডান দিক দিয়ে। মার্কোস রোহো, নিকোলাস ওতামেন্দিদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিপজ্জনকভাবে প্রতিপক্ষের রক্ষণ সীমায় ঢুকে যাচ্ছিলেন স্বাগতিক খেলোয়াড়রা।


অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে হাভিয়ের মাসচেরানোর ব্যর্থতায় চিলিকে এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান সানচেস। মাসচেরানো শট দিতে গিয়ে বলে পা ছোঁয়াতে না পারায় বল পান চিলির সবচেয়ে বড় তারকা। অনেকটা দৌড়ে গোল করার মতো জায়গা গিয়েও বাইরে মারেন তিনি।

বাকি সময়েও কোনো দলই গোল পায়নি, তাই টাইব্রেকারে গড়া খেলা। তাতে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জেতে স্বাগতিক চিলি।