ওয়ানডে অভিষেকের প্রথম তিন ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড গড়ে মোস্তাফিজুর তুলে নেন ১৩ উইকেট। যেখানে প্রথম ওয়ানডেতে ৫, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেট এবং তৃতীয় ওয়ানডেতে ২ উইকেট শিকার করেন। ক্রিকেটে নতুন বিস্ময়ের নাম মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তিনি যা করেছেন তাতে ক্রিকেটপ্রেমীদের তথা ব্যাটসম্যানদের বিস্ময়ের অন্ত নেই। অভিষেকেই বাজিমাত করেন এই কাটার ও স্লোয়ার খ্যাত মোস্তাফিজুর। তার বোলিং ভেল্কিতে দিশেহারা হয়ে সিরিজ খুইয়েছে ভারত। পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনুস নিজের ২৪ ম্যাচ পরে লাগাতার তিন ম্যাচে পাঁচটি করে উইকেট নেন। শেষ ওয়ানডেতে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়াকার ইউনুসের রেকর্ডও ছোঁয়ার সুযোগ ছিল মোস্তাফিজের সামনে। কিন্তু হয়নি।
ওই রেকর্ড না গড়তে পারলেও ওয়াকার ইউনুসের পাশেই রয়েছেন মুস্তাফিজুর।
তবে সেটি মুক্তকোষ উইকিপিডিয়ায়। উইকিপিডিয়ার ‘অফ কাটার’ নামক আর্টিকেলে ওয়াকার ইউনুস, গ্লেন ম্যাকগ্রা, রিচার্ড হ্যাডলি ও ফ্রেড ট্রুম্যানের সাথে মোস্তাফিজুরের নামও উল্লেখ করা হয়। আর্টিকেলের একটি অংশে লেখা হয়েছে, ‘ব্যাটসম্যানদের অবাক করে দিতে দারুণ কার্যকর অফ কাটার ডেলিভারি। বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতেই ফার্স্ট বোলাররা অফ কাটার ডেলিভারি দেন। ওয়াকার ইউনুস, মোস্তাফিজুর, ম্যাকগ্রা, হ্যাডলি ও ট্রুম্যান অফ কাটার ডেলিভারিতে উল্লেখযোগ্য উইকেট নিয়েছেন। সঠিক লাইন ও লেন্থ এই অফ কাটার ডেলিভারির মুখ্য বৈশিষ্ট্য। ফুল ও গুড লেন্থের মাঝামাঝি অর্থাৎ বলগুলো ব্যাটসম্যানদের দুই থেকে তিন স্টেপ আগে পিচের অফ স্ট্যাম্প লাইনের কাছাকাছি থাকে।’