মৃত্যুর সময় মানুষ অনেক কিছুই করে থাকেন। কেউ নিজেদের শেষ ইচ্ছেটুকু বলেন, কেউবা পানি খেতে চান। আবার কেউবা করেন রসিকতা। এমন হাজারো জিনিস দিয়ে প্রত্যেকটি মরনাপন্ন মানুষ নিজের নিজের মতন করে চলে যান একেবারে না ফেরার দেশে। তবে এ তো গেল সাধারন মানুষের কথা। কিন্তু বিখ্যাতরা? মৃত্যুর আগ মুহূর্তে ঠিক কি করেছিলেন তারা? আসুন জেনে নিই মৃত্যুর সময় বিখ্যাতদের বলে যাওয়া কিছু মজার আর অদ্ভূত কিছু কথা।
১. কার্ল মার্ক্স
(বিখ্যাত এই মানুষটি সমাজবিজ্ঞানে অবদান রাখার জন্যে এখনো অব্দি অমর হয়ে আছেন মানুষের চিন্তা-ভাবনা আর বইয়ের পাতায়। পুঁজিবাদের বিপরীতার্থক সমাজতন্ত্রকে ছোট্ট শিশু থেকে সুঠাম এক গঠন দিতেও কার্ল মার্ক্সের অবদান অনস্বীকার্য।)
শেষ কথা জিনিসটা কেবল বোকাদের জন্যে যারা যথেষ্ট বলতে পারেনি।
২. কোকো শ্যানেল
(ফ্রেঞ্চ ফ্যাশন ডিজাইনার এবং নারীবাদী আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক কোকো শ্যানেল সবসময় মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছেন নিজের ব্র্যান্ড শ্যানেলের মাধ্যমে। ব্যাগ, গহনা থেকে শুরু করে সুগন্ধীতে অব্দি নিজের কাজকে ছড়িয়ে দিয়েছেন এই নারী।)
দেখ, এভাবেই মারা যায়!
৩ রাজা ১৪শ লুই
( লুই দ্যা গ্রেট বা সূর্য রাজা নামে পরিচিত ফ্রান্সের এই শাসক ছিলেন হাউজ অব বোবর্নের একজন বংশধর। ১৬৪৩ সালে মৃত্যুর আগ অব্দি নিজের পদেই অধিষ্ঠিত থাকেন এই রাজা। )
তুমি কাঁদছ কেন? তুমি কি আমাকে অমর ভেবেছিলে?
৪. চার্লস ডারউইন
( বিবর্তনবাদ নিয়ে নিজের তত্ত্ব দেওয়া আর প্রমাণ করার জন্যে ছোট থেকে বড় সবার কাছেই সমানভাবে পরিচিত ডারউইন। মৃত্যুর আগে এমনটাই বলেছিলেন নির্ভীক এই বৈজ্ঞানিক। )
আমি মরতে এতটুকু ভয় পাইনা।
৫. স্যার উইনস্টন চার্চিল
(ব্রিটেনের ইতিহাসে বিখ্যাত এই প্রধানমন্ত্রীর বেশ ভালো প্রভাব রয়েছে দেশটির ইতিহাসে। নানারকম চুক্তি ও আলোচনার উদ্রেককারী ঘটনার জন্ম দেওয়া ছাড়াও বিশ্বযুদ্ধে বেশ শক্ত ভূমিকা রাখেন এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।)
আমি এটাতে পুরোপুরি বিরক্ত।
৬. হাইনরিখ হাইন
( রোমান্টিক পিরিয়ডের অন্যতম কবি হাইনরিখ হাইনের আরো একটি পরিচিতি ছিল সমালোচক হিসেবে। জার্মানির এই কবি নিজের প্রতিভার কারণে দেশের বাইরেই বেশি পরিচিত ছিলন। )
ঈশ্বর আমাকে মাফ করে দেবেন। এটাই তার কাজ।
৭. স্টিভ জবস
( অ্যাপলের আর পিক্সচারের নির্মাতা স্টিভ জবসকে কে না চেনে? কিছুদিন আগে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া এই মানুষটি জীবনে যথেষ্ট কষ্টের মুখোমুখি হলেও কখনো হেরে যেতে শেখেননি। ২০১১ সালে ক্যান্সারের আক্রমণে মারা যান তিনি। )
ওহ ওয়াও! ওহ ওয়াও! ওহ ওয়াও!
৮. মাইকেল ডি নস্ট্রাডামাস
( ফ্রান্সের এই বিখ্যাত মানুষের প্রধান পেশা ছিল ঔষধ তৈরি করে বিক্রি করা। তবে ভবিষ্যত্ বলতে পারার অসাধারন ক্ষমতাও ছিল তার। এ নিয়ে বই লিখে বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। )
সূর্য উঠলে তুমি আমাকে জীবিত পাবে না।
৯. পাবলো পিকাসো
( বিখ্যাত এই চিত্রকরকে চিকিত্সকেরা পান করতে মানা করে দিয়েছিলেন। এক ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠানে সর্বশেষ তাই এই কথাটিই নিজের স্ত্রী আর বন্ধুদেরকে বলেছিলেন এই মানুষটি। )
আমাকে উদ্দেশ্য করে পান কর, আমার সুস্বাস্থ্যের জন্যে পান কর, তোমরা জানো আমি আর পান করতে পারব না।
১০. ভলতেয়ার
( বিখ্যাত এই লেখক মৃত্যুর সময় পাদ্রী তাকে শয়তানের বিরুদ্ধে কিছু কথা বলতে বললে স্বভাবসুলভ ভঙ্গীতেই নিজের মনের কথা প্রকাশ করেন এভাবে। )
এখন নতুন শত্রু বানানোর সময় নয়।
১১. ইগুয়েন ও নিল
( পুলিত্জার জয়ী এই বিখ্যাত লেখকের জন্ম হয়েছিল একটি হোটেল রুমে। পরবর্তীতে কোন এক কারণে মৃত্যুর সময়েও স্থান হয় তার হোটেলের রুমেই। তখন তার বয়স হয়েছিল ৬৫ )
আমি জানতাম! আমি জানতাম! হোটেলের ঘরে জন্মানো, এবং হোটেলের ঘরেই মৃত্যু!