Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

কবির য়াহমদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

গোবিন্দ হালদারের দায়িত্ব নাও বাংলাদেশ

নাম শুনে গোবিন্দ হালদারকে কেউ চিনতে পারুক আর নাই পারুক যখন তার কানের কাছে উচ্চারণ করা হবে কালজয়ী জাগরণ আর মুক্তির গান-‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’,‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা’, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’ তখন তাঁকে না চেনার কথা না। তিনি গোবিন্দ হালদার, আমাদের উদ্দীপনার প্রতীক এক অবিনাশী কণ্ঠস্বর। বেঁচে আছেন তিনি যদিও তবু দিন দিন পতিত হচ্ছেন মৃত্যুমুখে অবহেলা আর বিনা চিকিৎসায়। শারিরীকভাবে তিনি ভুগছেন কিডনি, লিভার, নিউরো, চর্ম ও চোখের সমস্যায়। বাকশক্তিও প্রায় রহিত হওয়ার পথে।
নিজ ঘর ছেড়ে পরবাসী হয়ে জীবনযাপন করছেন হাওড়া জেলার বকুলতলার নজিরগঞ্জে যেখানে গোবিন্দ হালদারের স্ত্রী পারুল হালদারের বাবার বাড়ি। গোবিন্দ হালদারের মেয়ে আর্থিকভাবে তার বাবাকে ঠকিয়েছে এবং জোর করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেবারও পায়তারা করছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠেছে শারীরিকভাবেও হেনস্থা করেছে মেয়ে এবং মেয়ের জামাই। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের এই বন্ধুকে তীব্র আর্থিক সংকটের পাশাপাশি, মানসিক অত্যাচার এবং প্রতিনিয়ত বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেবার হুমকিও চলছে সমানতালে। (তথ্যসূত্র: কালের কণ্ঠ ২৭ মার্চ ২০১৪)
গোবিন্দ হালদারের কলম যতই শক্তিশালী হোক না কেন এই বৃদ্ধ বয়সে তিনি মানসিক ও শারিরীক আক্রমণগুলো মোকাবেলা করতে অক্ষম। অসহায় এই পরিবার ইতোমধ্যে নিরাপত্তা চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটা থানায় সাধারণ ডায়েরিও লিপিবদ্ধ করেছে। কিন্তু পুলিশ সার্বক্ষণিক কোন মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না বলে তিনিও অত্যাচার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। শারিরীক অসুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র মানসিক অত্যাচার ক্রমে গুণি এই শিল্পীকে দেখিয়ে দিচ্ছে মৃত্যুর পথ।
বাংলাদেশ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদানের জন্যে মুক্তিযুদ্ধ/ মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা দিয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এটা ভাল উদ্যোগ নিঃসন্দেহে। গোবিন্দ হালদারকেও বাংলাদেশ সম্মানিত করেছে। রাষ্ট্রীয় এই সম্মাননার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক সম্মানিও ছিল। ২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধে... continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - হাছান উদ্দিন রোকন

    হত্যা আর নষ্টামির মধ্যে আমরা যেন খুব আনন্দ পাই । 

    এর পরও আমরা ভাব নিচ্ছি যেন আমরা কেউ নষ্টদের দলে নই । 

কবির য়াহমদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

ব্যর্থজনের এপিটাফ

যদি একান্তই ব্যর্থ হয়ে যাই আজ
একটা মালবাহী ট্রাক সজোরে ধাক্কা দিক পিঠে
হুড়মুড় করে আকাশ ভাঙুক মাথার ওপর
একটা অথবা এক জোড়া দানবচাকা থেতলে দিক শরীর
রক্ত-মাস-হাড় মিশে যাক রাস্তার সাথে
আকাশ সূর্য নেমে আসুক পথে সব শুকিয়ে নিতে, সব মিশিয়ে নিতে।
যদি আজও ব্যর্থ হয়ে যাই তবে যেন না ফিরি ঘরে
এ ঘর, ও ঘর আমার না, কেউ ছিল না কখনো
পৃথিবীর কাছে আমি অচ্ছুৎ এক, অধিকার নেই নিঃশ্বাস নেবার।
হায় ট্রাক মালবাহী ট্রাক, হায় আকাশ ভেঙে পড়া আকাশ
আমার পৃথিবী লিখে দিও চাকার নামে, ধ্বংসস্তুপের নামে
যদি অবশিষ্টাংশ কিছু থেকে যায় একান্ত ভাসিয়ে দিও জলে
সুরমার জলে। যদি সুরমা না টানে কাছে পুতে দিও গাছের তলে
যেখানে ঝরাপাতার বাস, আত্মাসমেত সেই সৃষ্টিজন্ম থেকে।
আমাকে নিশ্চিহ্ন করো, আমাকে ধ্বংস করো, মিটিয়ে দাও যত সাধআহ্লাদ
কষ্টজীবন ব্যর্থ মানুষের, ব্যর্থমানুষের আবার কী অভিলাষ!
যদি বলে কেউ এপিটাফ লিখো তবে বলি আকাশের বাঁধা আছে প্রবল
তবু লিখে যদি কেউ এপিটাফ কোনো- সে যেন লিখে গোটা অক্ষরে- 
উনি কেউ নন, কেউ ছিল না কখনো, শুধু ছিল মায়াময় জল
ছেড়ে যাওয়া পাখি হাওয়া হয়ে যাওয়া স্রেফ নিয়তির ছল!
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - বিদ্যুৎ তরফদার

    মন্ত্রবৎ উচ্চারণ.....

    • - চারু মান্নান

      বসন্ত ভালোবাসা,,,,,,,,,,,

    - সেলিনা ইসলাম

    আকাশে ঐ যে মেঘের গা জুড়ে,
    তোমার মন ভৈরবী অবয়ব; এত যে কারু কাজ ভাবায়
    অগ্নি দ্রোহ জ্বলে উঠে ঈশান কোণে
    হাওয়ার তান্ডব সব উবে গেল; ভাবনার অবসর এবার
    বাতাসে ভেসে এলো শঙ্খচিলের পালক
    অভিমান তোমার।

    বেশি ভাল লাগল শুভকামনা 

    • - চারু মান্নান

      কবিকে বসন্ত শুভকামনা ,,,,,,,,

    - মাসুম বাদল

    অসাধারণ...

    • - চারু মান্নান

      কবিকে বসন্ত ভালোবাসা,,,,,,,,,,,

    Load more comments...

কবির য়াহমদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিমানবন্দর

বিমানবন্দর জানে না কত বিমান ওড়ে আর হারিয়ে যায়
বিমানবন্দর জানে সে হারাবে না বিমান কিংবা পাখি হয়ে
তাই-
একটা লংমার্চ হোক আকাশে, বিমান উদ্ধারে
একটা বিবৃতি আসুক দায়ী তুমি, দায়ী তুমি; আকাশ নীল
একটা শাস্তির খড়গ নেমে আসুক সপ্তাহান্তে
বিশ্বনেতাগণ বসুন, দেখুন আর করে যান চর্বিতচর্বন
আমি বিমান চেপে জেনেছিলাম-
পাখি হয়ে যাওয়া সহজ না তবে ডানা ভাঙা সহজ
কতশত ডানা-পালক, এদিকওদিক 
যারা দেখে তারা জানে, তারা চোখ বুলিয়ে যায় মোলায়েম
ডানা ভাঙা পাখি জানে কষ্টজল- কত গভীরে, কত গভীরে
বিমানবন্দর, বিমানবন্দর তুমি সব বিমান বুকে টেনে নাও
শত শত মানুষ ওড়েছিল যারা-
তারা পাখি নয়, তারা পাখি নয় তাদের ঘরে ফেরাও!   continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - মাসুম বাদল

    দারুণ...

    • - লীলাবতী পরী

      ধন্যবাদ

    - নুসরাত জাহান আজমী

    কবিতা তেমন বুঝিনা, তাই সহজে মন্তব্যটাও করা হয় না। তবে এই কবিতাটা খুব ভাবের মনে হইতেসে।

    • - লীলাবতী পরী

      শুভকামনা

    - আলমগীর সরকার লিটন

    খুবি চেতনাময় কবিতা

    শুভ কামনা----------

    • - লীলাবতী পরী

    Load more comments...

কবির য়াহমদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

ধুর এভাবে কী কেউ ভাবে কিছু, যত্তসব!

বেশ কিছু দিন ধরে ঠিক সাড়ে ছয়টায় মাথাব্যথা শুরু হয়। সহকর্মীর কাছে জিজ্ঞেস করি- কেন হচ্ছে এমন? তিনি ডাক্তার নন তবু সার্টিফিকেট দিয়ে দেন অবলীলায়, হাই ব্লাডপ্রেসার! চেয়ারে বসে চোখ বন্ধ করে টের পাই মাথাটা আরো বেশি করে ঝিম ধরেছে, চোখ দিয়ে নামছে ঘুম, শরীর ক্রমশ অবশ হয়ে আসছে। ভাবি, যদি চেয়ার থেকে ঠাস করে পড়ে যাই মেঝে তবে নিশ্চয়ই কয়েকজন ধরাধরি করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবে। তার আগে ব্যস্ত লোকগুলো ভুলে যাবে তাদের প্রাত্যহিক ব্যস্ততা। কেউ নিশ্চয়ই মাথার ওপর ঢালতে থাকবে কয়েক মগ পানি। মগের প্রসঙ্গ আসতেই থেমে যাই- ধুর। এখানে মগ আসবে কোথা থেকে? তাহলে নিশ্চয়ই আমাকে ধরে নিয়ে যাবে কলতলায়। আচমকা পানির তীব্র বেগ এসে আমার মনের মধ্যে ঝাঁকুনি খায়। চোখ মেলে দেখি ঈষৎ অপরিস্কার লাগছে সামনের অংশ। চোখ কচলাই ফিরে আসি পৃথিবীতে। পৃথিবীতে ফিরে মনে হয় অনেক হয়েছে এবার বাসা ফেরা দরকার।

রিক্সায় চেপে বসলে সারা রাজ্যের জড়তা আর অসহায়ত্ব এসে ভর করে। আমার বন্ধু-স্বজন-পরিজন কত বার বলে দিলো- এভাবে না, ওভাবে। কারো কথা মনে নিইনি। মুখের কথা হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়ার নিয়ম। সব কথা মনে নিতে নেই- এমন অতি বিশ্বাসী ভাব নিয়ে কত দিন চলা যায় তার হিসাব করে দেখিনি।

শ' মিটার দুরত্বে এসে চোখ পড়লো একটা পান-সিগ্রেটের দোকানে। পান সিগ্রেটের দোকান দেখে পরিবারের কাছে গোপনীয় অভ্যাস সিগ্রেটের নেশা পেয়ে যায়। খালি পেটে সিগ্রেটের ধুয়া চালান করতে করতে আবারও রিক্সা। চোখ পড়ে রিক্সাওয়ালার রগ শক্ত করে ওঠা পায়ের দিকে। সব সব টাকা-পয়সা এই শক্তলৌহদণ্ড পায়ের কাছেই ঘুরপাক খেতে থাকে, চিন্তার দেয়ালে।

মাথার মধ্যে থাকা কিছুক্ষণ আগেকার চিন্তাগুলো... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    বা রাব্বানী দা

    কেমন আছেন

    মনে হয় একটু ব্যস্ত

    কবিতা বেশ লাগল----------

    • - আহমেদ রব্বানী

      আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি বাউল ভাই।বেশ ব্যস্ত আছি এই মাসটা।দোয়া রাখবেন।

    - চারু মান্নান

    এমন বসন্তে ভাল থাকুন কবি,,,,,,,,

    • - আহমেদ রব্বানী

      ধন্যবাদ প্রিয়।আপনিও ভাল থাকবেন।

    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    ভাই রব্বানী কবিতার টাইপ এতো বড় হলো কি করে?

    • - আহমেদ রব্বানী

      জানিনা ভাই।আমি ১৬ ফন্টে লিখি।হয়ত সেজন্যে এমন বড় দেখাচ্ছে কি না!

    Load more comments...

কবির য়াহমদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

পৃথিবীর কাছে

কত বার সন্তর্পনে থামিয়ে দিতে চেয়েছিলাম কালের ঘড়ি। পারিনি ভেঙে দিতে বাঁধ। কিছু অলুক্ষণে বাঁধা এসে থামিয়েছিল ইচ্ছাগাড়ি। চোখ মেলে দেখি- অনেক দূর পথ আমাকে যথাস্থানে রেখে রেখে এগিয়ে গেছে কালের স্রোতে। তাই হেঁটে যাওয়া পথে দৌড়বিদ হই, পেছনে পড়ে আদিভৌতিক পথ; জগতসংশ্লেষহীন।

কত বার নির্ঘূম থেকে রাতপাহারা দিয়েছিলাম। ঘুমিয়ে গেলে যদি বেড়ে যায় বয়স, পৃথিবীর! তবে কার কাছে যাবো, কার কাছে পেতে পারি গোলাপ লাল। আহা!

পৃথিবীর কাছে বিনীত আকুতি খোলসমুক্ত হয়ে ঘোষণা করে দাও- আর বাড়বে না পৃথিবীর বয়স। আজ থেমে যাবে যত কালেরঘড়ি। ঘুমুবো না আমি। আমার ঘুমে প্রতিবার রাতভোর হয়, প্রতিবার কমতে থাকে পৃথিবীর আয়ু!
continue reading
Likes ১৫ Comments
০ Shares

Comments (15)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    অতি গুরুত্বপুর্ণ একটা বিষয় অবতারণা করেছেন।

    - ইকবাল মাহমুদ ইকু

    হুম... ধন্যবাদ আপনাকে

Load more writings...