Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মাইদুল আলম সিদ্দিকী

৮ বছর আগে লিখেছেন

চিঠি

মা, মাগো! ছোটবেলায় তোমার আদর করা
কচি হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলটার কথা মনে আছে নিশ্চয়!
সেই আঙ্গুলটা, মিথ্যে বললে যে আঙ্গুলটায় দাঁত বুলাতে বলতে__
থাইল্যান্ডের সংখলার গহীন অরণ্যে সেই আঙ্গুলটাকে লাফাতে দেখেছি!
তখন শুধু তোমার চাঁদবদনটাই চোখে ভাসেছে মা;
সদ্য প্রসবিত গরুর বাছুরের মত তখন আমার ঊরু কেঁপেছে, দৌড়াতে পারিনি।
গরুর মত চিৎকার করেছি কোন মানুষ বুঝেনি... 
ফারুক, মিজান, জামিল আমরা সব কয়টা পাড়ার’—
ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলেছিলাম মনে আছে তোমার?
এই পা দিয়েই গোল করেছিলাম; তুমি বলেছিলে’—
তোমার ছেলের সোনালী পা__
সেই পা জোড়ার একটি আজ অচল মা!
তোমার যত্নে গড়া দেহটা খুব তাজা ছিল বলেই
আজো বাতাস নাসিকা পথে উঠা-নামা করছে!
রূপকথার পাষণ্ড দৈত্যের কথা মনে আছে মা?
ওরাও না ঠিক একই রকম__ 
জানো মা! যে দেহটা চিকচিকে ছিল
আজ সেখানে গোবর পঁচা গন্ধ
কুকুরও নাক ছিটকাবে, হাড় খেতে এসে...
সেদিন দক্ষিণ পাড়ার রহিমটাকে চাদরের প্রান্ত ধরে
আমি, ছালেক, জয়নুদ্দি আর একটা রোহিঙ্গা ছেলে মিলে
সতের মেইল পথ বয়ে আনার পর আর পারিনি
পাহাড়ের ঢালুতে পাথরের টুকরার মত নিক্ষেপ করেছি
কিন্তু, কিন্তু আমি কি এমন ছিলাম মা?
প্রথম দিকের কয়েকটা দিনের কথা শুনবে... শোন...
ছোট্ট ডিঙায় ঘুম পাড়াইয়া কাটাইল বারোদিন
ঘুমের ভেতর লাশের নামতা দশ-সতের-তিন
মাছ বানাইল পরদিন মোদের জাল দিল উপরে
বুটের গুঁতো পাঁজর ভেঙ্গেছে, সারা রক্ত গিয়াছে ঝরে;
কতদিন পর ঠিক জানিনা সতুন পাহাড় আবাস
পনেরো হাজার বাথ পাইয়া মাফিয়া শুনিল শাবাশ!
দুই ঘণ্টা পর বাদাম বেসার পাচাইকারীর ক্যাম্প
চার ঘণ্টা পর কোয়ানডনে জ্বালায়ে ছিলাম ল্যাম্প;
ঐখান থেকে মাফিয়া মোদের ছাড়ত হাজার বাথে
বন্ধুক ধরিত মাথার উপর না যেতে চাইলে সাথে!
মা, আলেক্স হেলির রুটস উপন্যাসটা__
কে যেন শুনিয়েছিল? মনে আছে তোমার... 
খুব সম্ভবত মাস্টার কাকা... তাইনা?
একটা বার মাস্টার কাকার কাছ থেকে continue reading
Likes Comments
০ Shares

মাইদুল আলম সিদ্দিকী

৮ বছর আগে লিখেছেন

বন্ধুত্ব

উষ্ণতার রন্ধ্রে মরীচিকা আজ বিষাদ
হস্তে মুক্তির রেখা আঁকিছে বলে নিষাদ।
রুবি পাথরের চেয়ে মূল্যবান এ বসন্ত
মস্তিষ্কে মহব্বতের মহরত অনন্ত;
বিশ্ব দেখেনা রানারের দৌড় প্রীতির বলে
একই পাতায় খায়, বসবাস এক আঁচলে।
মোহন বাঁশির সুরে ধাবকের হয় ভোর
পানকের আগমনে দূর হয় ঘুম ঘোর।
কলুষের ইতি করে পায়রা উড়ায় ঘরে
শান্তির কথা ভাসে বাতাসের সাদা সুরে,
নতির আঁচল ছোঁয়ে কালো সব যায় ধোয়ে
মিনার হয়ে যায় প্রাপ্তি সব লোকালয়ে।
সুখের দ্বীপের ন্যায় বন্ধুত্ব সুখী হয়
মেহেদীর রঙ্গে করি সব আঁধারের লয়।
বাতুল বন্ধুত্ব দুলায় সুরের বাবরি
রকস্টার গিটারে তুলে সুরের পিকচারি।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (8)

  • - সোহেল আহমেদ পরান

    দারুণ আপনার কবিতার গল্প।

    অনেক ভালোলাগা emoticons

    • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

      দারুণ বলে গেলেন আপনিও ।

      ভালোলাগায় ভালোবাসা খুঁজে নিলাম !

      শুভ কামনা প্রিয় । emoticons

    - মামুন

    অনেক ভালো লাগল।

    শুভেচ্ছা রইলো প্রিয়।emoticons

    • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

      চমৎকার অনুভূতি প্রকাশ করে গেলেন ।

      সাথে দিয়ে গেলেন ভালোবাসার স্পর্শ !

      শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা প্রিয় ! emoticons

    - আলমগীর সরকার লিটন

    বেশ ছন্দের ছুঁয়া

    শুভ কামনা-----------

    • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

      বেশ বলেছেন দাদা !

      ভালো লাগলো ।

      আপনার জন্যেও শুভ কামনা । emoticons

মাইদুল আলম সিদ্দিকী

৮ বছর আগে লিখেছেন

শীতলাত্মা

আমি কোথায়? জানো...!
বিশাল বরফ খণ্ডের পাশে__
পাশে কোন মানুষ নেই আর যে কয়টা আছে
সব কয়টাই ঠাণ্ডায় শীতল হয়ে গিয়েছে!
বরফের মধ্যদিয়ে চলতে থাকা দুরন্ধর
টাইটানিক জাহাজও আজ আমার খুব কাছাকাছি'--
এখন আমার একটু অপেক্ষাই আছে তারা হতে!
হয় আমি পিষ্ট হব না হয় আগের মতই
ঈশ্বরের অনিচ্ছাতেও বেঁচে থাকা ঐ কালপ্রিট জাহাজ...
পৃথিবী তোমাকে বড় করেনি করেছে তোমার মাতা
যতই তুমি মহিমা কর হিংসা করো পড়ে কাঁথা
কাঁথা তুলে সূর্য দেখ, দেখ ভোরের আলো
নিজেকে এবার মুক্তি দে দূর কর কালো!
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (8)

  • - রেজা মাহমুদ

    লেখাটিতে রেজা এবং কণার ভিতরের টানাপোড়েন সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তাতে মধ্যবিত্তর জীবন নিজ নিজ সম্পর্কগুলোকে নিয়ে কিভাবে বৃত্তাবদ্ধ কর্পোরেট জীবনে কালক্ষেপন করছে দেখতে পাই।

    অনেক ভালো লাগল আপনার লেখাটি।emoticons

     

    • - মামুন

      আপনার ভালো লাগা রেখে গেলেন, অনেক ধন্যবাদ।

      শুভ সকাল।

    - রিফাত উল্লাহ

    শুভ সকাল। গল্পটি প্রথম থেকে একটানা পড়ে গেলাম। মুগ্ধ হলা।/ লেখায় গতি প্রাণের সঞ্চার করেছে।

    অনেক ভালো লাগা।

    • - মামুন

      আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভ সকাল।

    - হামিদুল ইসলাম

    হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া লেখাটিতে অনেক ভালো লাগা।emoticons

    • - মামুন

      ভালো লাগা আপনার জন্যও রইলো নিরন্তর।emoticons

    Load more comments...

মাইদুল আলম সিদ্দিকী

৯ বছর আগে লিখেছেন

একটি বাসর

 
নিষুপ্ত ভাবী অপেক্ষায় বসি মিটাইবে জৈবিক কাজ
আশ্রয় নিল বিছানায়, ভাবিয়া বাসনা হয়ত; নিজেই পাচ্ছে লাজ।
 
সন্ধ্যার তিন ঘন্টা হল পার
          আমায় করিয়া আনিছ বার
                        চোখ দুটো কেন তোমরা বাঁধিছ আবার?
                                 শুনো তোমরা সকল--
                         আমার বিশ্বস্থতাকে তোমরা, এভাবে করিলে নকল!?
                                  প্রিয় বন্ধু আমার লস্কর;
                         তুই তো জানস আজকে আমার বাসর।
                                  তোমরা আমার চক্ষু করোনা উপর
                         ছাড়ো একটু, আমার প্রিয়াকে দেখব এক নজর।
                                  তোমরা আমার ওষ্ঠ দিওনা ছেঁকে 
বউকে আমি একবার দিতে চাই ওষ্ঠ স্নেহে মেখে।
তোমরা তাহার শ্লীলতা না নিয়ে লুটে
আমার সঙ্গে তাহাকে বাঁধিয়া পোড়াও জীবন্ত জোটে!
এতে মানা করিবনা আমি
সম্মান নিয়া পৃথিবীতে ঘটুক আমাদের জানজানি! 
 
কত উপমার উপবেশনে উপবিষ্ট ছিল মোর ভাই
ভাবিকে দেখিবে নয়ন ভরিয়া বুকেতে দিবে ঠাঁই।
ঝরঝর করিয়া ঝরাইল রক্ত নয়ন করিল আঁধার
দুর্গন্ধ বেরোল পায়ুপথে; তাঁদের দুর্ধর্ষ অনাচার।
ফরফর করিয়া ছিঁড়েছে শাড়ী আমার নতুন ভাবীর
ভাইজান তখন মাটিতে লুটিয়া মুমূর্ষুতায় স্থবীর।
একটু পরে ভাইজান আমার শুনিল ভাবীর চিৎকার
ও মাগো শব্দ কণ্ঠে তাহার, রক্তে যোনিদ্বার!
আমার ভ্রাতার দীর্ঘশ্বাসে মৃত্তিকা নড়বড়
তিরোধান নেয়নি তিব্বতী ভাবী স্বামীর জীবনোত্তর।
 
ভাইয়ের তেজ শাণিত করিবে মুক্তির উদ্বেগে
নবভাবী চায় মুক্ত দেশ, বুঝেছি আবেগে;
লাঞ্চিত হয়েও বাঁচার স্বপনে ধরেছে ভ্রাতার হাত
সুস্থ শরীরে ভ্রাতাকে ফিরায়ে দিবে মুক্তিযোদ্ধার স্বাদ! 
সেই ভাবীর জীবন ডিঙ্গি স্থীর করিল ঘাটে
কাস্তে পুড়িয়ে দিল ছেঁকা ভাবীর স্তন-বাটে।
তাহাকে ছাড়িল মুমূর্ষু করিয়া ঘুমন্ত মাতৃঋণ
ভ্রাতার হাতে হস্ত রাখিতেই বাজিল মরণবীণ।
মরার আগে ভাই বন্ধুকে ডাকিল, ‘লস্কর বন্ধু আমার’
কেমন করিয়া দেশ ছাড়িয়া হইলি রাজাকার!
 
সেই কথাখান বলিয়া ভ্রাতা চক্ষু বুজিল
তখনি ভাবী ভাইয়ের ওষ্ঠে তাঁর ওষ্ঠ জুড়িল।
আঁধারের ঐ ছবিটা দেখি চোখ দুটি বুঝি যদি
কাঁদিয়া কাঁদিয়া অশ্রুস্রোতে তখনই বানাই নদী।
গভীর রাতে স্থান ছাড়িল পাকি আর রাজাকার
এই দৃশ্য দেখা মায়ের চোখে দেখি৮ গঙ্গাধার।
 একটা দুর্ভর গোলা বিঁধেছে মায়ের নিলম্বু জলশায়
গ্লানি করিল গ্রাস চাপল্যমাখা নীল কলিজায়।
বুনেদি ভাষা ব্যর্থ ভ্রাতার, মউড় টিকেনি তাঁর
আশাতে তাহার বাসর মঞ্চ সিক্ত প্রত্যেকবার।
 
অপরাজিতার চরম তেজে চন্দ্রিকা অচল
বেলীর গন্ধ বুকে চামেলি উৎপল।
গন্ধরাজের গন্ধে কৃষ্টি বিলোপ
গন্ধে মাতাল নেশা ক্ষয়ী প্রতিরূপ।
রজনীগন্ধা বুকে কাঁটায় ভরা
অশ্রু মেখে দিচ্ছে বাসর পাহাড়া।
 
শত মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে বাণী শোনাত মা, রুদ্ধরাতের;
সহায় হত যা অস্ত্রধারীদের স্বীয় হাতের।
লালিত করিত আশা অন্তীম বিজয়ের
লক্ষ বাসর দিয়ে ভুলিবে বিষাদ একটি বাসরের।
 
continue reading
Likes Comments
০ Shares

মাইদুল আলম সিদ্দিকী

৯ বছর আগে লিখেছেন

ক্যান্টিনের গ্লাস

তোর দেহে হাজার হাজার পঞ্চফুলের আদর
যতন করে বারি ভরে তর দেহেরি ভিতর;
আলতো করে তোর চিবুকে ওষ্ঠ জুড়ে দিয়ে
সুজন, সব কিছু লুটে নিয়ে যায় পালিয়ে। 
একটু পরে অন্য কেহ জন্মদিনের ড্রেসে
স্নান করিয়ে পূর্ণ করে; খালি করে শেষে।
আবার আসে অন্য কেহ এমনি সারাদিন
শত শত রঙ্গে, শত শত ঠোঁট; তুই নিমিষেই নবীন।
নাদুসনুদুস নন্দিনীরা তোর নিগূঢ় নিয়ামক
হঠাৎ করে প্রেমিকদেরকে দেখাসনে চমক!
হাজার রঙের ঠোঁটের চুমু বাদামী-খয়েরী-লাল
ইশ, থাকতাম যদি তোর জায়গাতে! সবি কপাল।
তোর চিবুকে হাজার ঠোঁটের নিত্য পরে ফ্ল্যাশ
বলনা আমায় রহস্য কি! ও, ক্যান্টিনের গ্লাস। continue reading
Likes ১৪ Comments
০ Shares

Comments (14)

  • - তাহমিদুর রহমান

    অথচ আমি কবিতা লিখি ঠিক ………..

    - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    ভালো emoticons

    • - সোহেল আহমেদ পরান

      বেশ ভালো লাগলো ভাব ও প্রকাশ।

      শুভেচ্ছা জানবেন কবিemoticons

Load more writings...