মা, মাগো! ছোটবেলায় তোমার আদর করা
কচি হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলটার কথা মনে আছে নিশ্চয়!
সেই আঙ্গুলটা, মিথ্যে বললে যে আঙ্গুলটায় দাঁত বুলাতে বলতে__
থাইল্যান্ডের সংখলার গহীন অরণ্যে সেই আঙ্গুলটাকে লাফাতে দেখেছি!
তখন শুধু তোমার চাঁদবদনটাই চোখে ভাসেছে মা;
সদ্য প্রসবিত গরুর বাছুরের মত তখন আমার ঊরু কেঁপেছে, দৌড়াতে পারিনি।
গরুর মত চিৎকার করেছি কোন মানুষ বুঝেনি...
ফারুক, মিজান, জামিল আমরা সব কয়টা পাড়ার’—
ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলেছিলাম মনে আছে তোমার?
এই পা দিয়েই গোল করেছিলাম; তুমি বলেছিলে’—
তোমার ছেলের সোনালী পা__
সেই পা জোড়ার একটি আজ অচল মা!
তোমার যত্নে গড়া দেহটা খুব তাজা ছিল বলেই
আজো বাতাস নাসিকা পথে উঠা-নামা করছে!
রূপকথার পাষণ্ড দৈত্যের কথা মনে আছে মা?
ওরাও না ঠিক একই রকম__
জানো মা! যে দেহটা চিকচিকে ছিল
আজ সেখানে গোবর পঁচা গন্ধ
কুকুরও নাক ছিটকাবে, হাড় খেতে এসে...
সেদিন দক্ষিণ পাড়ার রহিমটাকে চাদরের প্রান্ত ধরে
আমি, ছালেক, জয়নুদ্দি আর একটা রোহিঙ্গা ছেলে মিলে
সতের মেইল পথ বয়ে আনার পর আর পারিনি
পাহাড়ের ঢালুতে পাথরের টুকরার মত নিক্ষেপ করেছি
কিন্তু, কিন্তু আমি কি এমন ছিলাম মা?
প্রথম দিকের কয়েকটা দিনের কথা শুনবে... শোন...
ছোট্ট ডিঙায় ঘুম পাড়াইয়া কাটাইল বারোদিন
ঘুমের ভেতর লাশের নামতা দশ-সতের-তিন
মাছ বানাইল পরদিন মোদের জাল দিল উপরে
বুটের গুঁতো পাঁজর ভেঙ্গেছে, সারা রক্ত গিয়াছে ঝরে;
কতদিন পর ঠিক জানিনা সতুন পাহাড় আবাস
পনেরো হাজার বাথ পাইয়া মাফিয়া শুনিল শাবাশ!
দুই ঘণ্টা পর বাদাম বেসার পাচাইকারীর ক্যাম্প
চার ঘণ্টা পর কোয়ানডনে জ্বালায়ে ছিলাম ল্যাম্প;
ঐখান থেকে মাফিয়া মোদের ছাড়ত হাজার বাথে
বন্ধুক ধরিত মাথার উপর না যেতে চাইলে সাথে!
মা, আলেক্স হেলির রুটস উপন্যাসটা__
কে যেন শুনিয়েছিল? মনে আছে তোমার...
খুব সম্ভবত মাস্টার কাকা... তাইনা?
একটা বার মাস্টার কাকার কাছ থেকে continue reading
কচি হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলটার কথা মনে আছে নিশ্চয়!
সেই আঙ্গুলটা, মিথ্যে বললে যে আঙ্গুলটায় দাঁত বুলাতে বলতে__
থাইল্যান্ডের সংখলার গহীন অরণ্যে সেই আঙ্গুলটাকে লাফাতে দেখেছি!
তখন শুধু তোমার চাঁদবদনটাই চোখে ভাসেছে মা;
সদ্য প্রসবিত গরুর বাছুরের মত তখন আমার ঊরু কেঁপেছে, দৌড়াতে পারিনি।
গরুর মত চিৎকার করেছি কোন মানুষ বুঝেনি...
ফারুক, মিজান, জামিল আমরা সব কয়টা পাড়ার’—
ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলেছিলাম মনে আছে তোমার?
এই পা দিয়েই গোল করেছিলাম; তুমি বলেছিলে’—
তোমার ছেলের সোনালী পা__
সেই পা জোড়ার একটি আজ অচল মা!
তোমার যত্নে গড়া দেহটা খুব তাজা ছিল বলেই
আজো বাতাস নাসিকা পথে উঠা-নামা করছে!
রূপকথার পাষণ্ড দৈত্যের কথা মনে আছে মা?
ওরাও না ঠিক একই রকম__
জানো মা! যে দেহটা চিকচিকে ছিল
আজ সেখানে গোবর পঁচা গন্ধ
কুকুরও নাক ছিটকাবে, হাড় খেতে এসে...
সেদিন দক্ষিণ পাড়ার রহিমটাকে চাদরের প্রান্ত ধরে
আমি, ছালেক, জয়নুদ্দি আর একটা রোহিঙ্গা ছেলে মিলে
সতের মেইল পথ বয়ে আনার পর আর পারিনি
পাহাড়ের ঢালুতে পাথরের টুকরার মত নিক্ষেপ করেছি
কিন্তু, কিন্তু আমি কি এমন ছিলাম মা?
প্রথম দিকের কয়েকটা দিনের কথা শুনবে... শোন...
ছোট্ট ডিঙায় ঘুম পাড়াইয়া কাটাইল বারোদিন
ঘুমের ভেতর লাশের নামতা দশ-সতের-তিন
মাছ বানাইল পরদিন মোদের জাল দিল উপরে
বুটের গুঁতো পাঁজর ভেঙ্গেছে, সারা রক্ত গিয়াছে ঝরে;
কতদিন পর ঠিক জানিনা সতুন পাহাড় আবাস
পনেরো হাজার বাথ পাইয়া মাফিয়া শুনিল শাবাশ!
দুই ঘণ্টা পর বাদাম বেসার পাচাইকারীর ক্যাম্প
চার ঘণ্টা পর কোয়ানডনে জ্বালায়ে ছিলাম ল্যাম্প;
ঐখান থেকে মাফিয়া মোদের ছাড়ত হাজার বাথে
বন্ধুক ধরিত মাথার উপর না যেতে চাইলে সাথে!
মা, আলেক্স হেলির রুটস উপন্যাসটা__
কে যেন শুনিয়েছিল? মনে আছে তোমার...
খুব সম্ভবত মাস্টার কাকা... তাইনা?
একটা বার মাস্টার কাকার কাছ থেকে continue reading
Comments (8)
দারুণ আপনার কবিতার গল্প।
অনেক ভালোলাগা
দারুণ বলে গেলেন আপনিও ।
ভালোলাগায় ভালোবাসা খুঁজে নিলাম !
শুভ কামনা প্রিয় ।
অনেক ভালো লাগল।
শুভেচ্ছা রইলো প্রিয়।
চমৎকার অনুভূতি প্রকাশ করে গেলেন ।
সাথে দিয়ে গেলেন ভালোবাসার স্পর্শ !
শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা প্রিয় !
বেশ ছন্দের ছুঁয়া
শুভ কামনা-----------
বেশ বলেছেন দাদা !
ভালো লাগলো ।
আপনার জন্যেও শুভ কামনা ।