Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মাইদুল আলম সিদ্দিকী

৯ বছর আগে লিখেছেন

একটি বাসর

 

নিষুপ্ত ভাবী অপেক্ষায় বসি মিটাইবে জৈবিক কাজ

আশ্রয় নিল বিছানায়, ভাবিয়া বাসনা হয়ত; নিজেই পাচ্ছে লাজ।

 

সন্ধ্যার তিন ঘন্টা হল পার

          আমায় করিয়া আনিছ বার

                        চোখ দুটো কেন তোমরা বাঁধিছ আবার?

                                 শুনো তোমরা সকল--

                         আমার বিশ্বস্থতাকে তোমরা, এভাবে করিলে নকল!?

                                  প্রিয় বন্ধু আমার লস্কর;

                         তুই তো জানস আজকে আমার বাসর।

                                  তোমরা আমার চক্ষু করোনা উপর

                         ছাড়ো একটু, আমার প্রিয়াকে দেখব এক নজর।

                                  তোমরা আমার ওষ্ঠ দিওনা ছেঁকে 

বউকে আমি একবার দিতে চাই ওষ্ঠ স্নেহে মেখে।

তোমরা তাহার শ্লীলতা না নিয়ে লুটে

আমার সঙ্গে তাহাকে বাঁধিয়া পোড়াও জীবন্ত জোটে!

এতে মানা করিবনা আমি

সম্মান নিয়া পৃথিবীতে ঘটুক আমাদের জানজানি! 

 

কত উপমার উপবেশনে উপবিষ্ট ছিল মোর ভাই

ভাবিকে দেখিবে নয়ন ভরিয়া বুকেতে দিবে ঠাঁই।

ঝরঝর করিয়া ঝরাইল রক্ত নয়ন করিল আঁধার

দুর্গন্ধ বেরোল পায়ুপথে; তাঁদের দুর্ধর্ষ অনাচার।

ফরফর করিয়া ছিঁড়েছে শাড়ী আমার নতুন ভাবীর

ভাইজান তখন মাটিতে লুটিয়া মুমূর্ষুতায় স্থবীর।

একটু পরে ভাইজান আমার শুনিল ভাবীর চিৎকার

ও মাগো শব্দ কণ্ঠে তাহার, রক্তে যোনিদ্বার!

আমার ভ্রাতার দীর্ঘশ্বাসে মৃত্তিকা নড়বড়

তিরোধান নেয়নি তিব্বতী ভাবী স্বামীর জীবনোত্তর।

 

ভাইয়ের তেজ শাণিত করিবে মুক্তির উদ্বেগে

নবভাবী চায় মুক্ত দেশ, বুঝেছি আবেগে;

লাঞ্চিত হয়েও বাঁচার স্বপনে ধরেছে ভ্রাতার হাত

সুস্থ শরীরে ভ্রাতাকে ফিরায়ে দিবে মুক্তিযোদ্ধার স্বাদ! 

সেই ভাবীর জীবন ডিঙ্গি স্থীর করিল ঘাটে

কাস্তে পুড়িয়ে দিল ছেঁকা ভাবীর স্তন-বাটে।

তাহাকে ছাড়িল মুমূর্ষু করিয়া ঘুমন্ত মাতৃঋণ

ভ্রাতার হাতে হস্ত রাখিতেই বাজিল মরণবীণ।

মরার আগে ভাই বন্ধুকে ডাকিল, ‘লস্কর বন্ধু আমার’

কেমন করিয়া দেশ ছাড়িয়া হইলি রাজাকার!

 

সেই কথাখান বলিয়া ভ্রাতা চক্ষু বুজিল

তখনি ভাবী ভাইয়ের ওষ্ঠে তাঁর ওষ্ঠ জুড়িল।

আঁধারের ঐ ছবিটা দেখি চোখ দুটি বুঝি যদি

কাঁদিয়া কাঁদিয়া অশ্রুস্রোতে তখনই বানাই নদী।

গভীর রাতে স্থান ছাড়িল পাকি আর রাজাকার

এই দৃশ্য দেখা মায়ের চোখে দেখি৮ গঙ্গাধার।

 একটা দুর্ভর গোলা বিঁধেছে মায়ের নিলম্বু জলশায়

গ্লানি করিল গ্রাস চাপল্যমাখা নীল কলিজায়।

বুনেদি ভাষা ব্যর্থ ভ্রাতার, মউড় টিকেনি তাঁর

আশাতে তাহার বাসর মঞ্চ সিক্ত প্রত্যেকবার।

 

অপরাজিতার চরম তেজে চন্দ্রিকা অচল

বেলীর গন্ধ বুকে চামেলি উৎপল।

গন্ধরাজের গন্ধে কৃষ্টি বিলোপ

গন্ধে মাতাল নেশা ক্ষয়ী প্রতিরূপ।

রজনীগন্ধা বুকে কাঁটায় ভরা

অশ্রু মেখে দিচ্ছে বাসর পাহাড়া।

 

শত মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে বাণী শোনাত মা, রুদ্ধরাতের;

সহায় হত যা অস্ত্রধারীদের স্বীয় হাতের।

লালিত করিত আশা অন্তীম বিজয়ের

লক্ষ বাসর দিয়ে ভুলিবে বিষাদ একটি বাসরের।

 

Likes Comments
০ Share