10 September 2005
বাংলা, ২৬-এ ভাদ্র১৪১২
বুধবার
আমি বসে আছি জিয়াউদ্যানের মধুচন্দ্রিমাউদ্যান নামক একটা সাইনবোর্ডের পাঁশে।জিয়াউদ্যানের এই অংশের নাম চন্দ্রিমাউদ্যান।কোন দুষ্ট ছেলের দল দুষ্টুমি করে চন্দ্রিমার পাশে মধু যোগ করে দিয়েছে।ইংরেজি করলে দাঁড়ায় হানিমুন পার্ক।কেউ হটাত দেখলে মনে করবে হানিমুনের জন্যই উদ্যানের এর অংশ তৈরি করা হয়েছে।মনে হচ্ছে এই ব্যাপারেকতৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই।
এখানে আমি প্রতি বিকেলে আসি।আসি বললে ভুল হবে,বাধ্য হয়ে আসতে হয়।কারণ,আমি ঢাকায় নতুন।ঠিকমতো কারো সঙ্গে জানাশুনা হয়নি।সরকারি বিজ্ঞান কলেজে Hsc প্রথম বষে ভর্তি হওয়ার সুবাদে নাটোর থেকে ঢাকায় আসা।এখনো ক্লাসের কারো সঙ্গে ভালভাবে পরিচয় হয়নি।তাই ক্লাস শেষে অপুরন্ত সময়টুকু কাটানোর জন্য এখানে এসে আনমনা হয়ে বসে থাকা।জায়গাটা খুব নিরিবিলি।পুরো উদ্যান জুড়ে লোকের বিচরণ থাকেলেও এখানে লোকবিচরণ খুবি কম।সে কারনে জায়গাটা আমার খুব পছন্দের।এখানে বসে উদ্যানে আসা বিভিন্ন লোকের বিশেষ করে প্রেমিকযুগলের কৃত্তিকলাপ দেখে খুব মজা পাই বলেই জায়গাটাতে প্রতিদিন বসি।তাছাড়া নিরিবিলি পরিবেশ আমার খুব পছন্দ।গ্রামে থাকাকালে গভীর রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে কোন উচু গাছে পা এলিয়ে বসে থাকতে খুব পছন্দ করতাম।তখন পুরো পরিবেশ এতই নিরিবিলি থাকতো যে বাতাসের শব্দের মধ্যেও একধরণের ছন্দ খুজে পাওয়া যেত।পাতার সাথে পাতার স্পর্শও যেন একধরণের শ্রুতিমধুর ছন্দ তৈরি করতো।সাথে যোগ হতো ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।আশেপাশের জোনাকি পোকার বিচরণ দেখে মনে হতো একগুচ্ছ তারকা আকাশ থেকে ছুটে এসেছে এবং তারকাগুলো একধরণের নৃত্তে মেতে উঠেছে।তখন কেমন অনুভুতি হতো বলে বুঝানো যাবে না।
আমি বসে আছি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখা “আরণ্যক” নামক বইটি হাতে নিয়ে।বইটি একজন শিক্ষিত বেকারকে নিয়ে লেখা।এধরণের গল্প আমার তেমন একটা পছন্দের না।তারপরও বইটি পড়তে কেমন জানি ভালোই লাগছে।পড়ার ফাঁকে ফাঁকে চোখ তুলে এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখছি আশেপাশে কি কি... continue reading
Comments (0)
খুব ভাল
ভালো লাগলো কবিতার কথামালা। শুভেচ্ছা জানবেন, অনেক অনেক ভালো থাকবেন।