ইদানিং সকালটা কড়া রোদে জ্বলজ্বল করে,সকালের রোদটা আজকে একটু বেশি মনে হচ্ছে রেজা সাহেবের,কাঠের হাতলের ছাতাটার কাল কাপড়ের ছানিতে বেশ বড়সড় একটা ফুটো দিয়ে রোদ মাথার তালু ছুঁয়ে দিচ্ছে । ছাতার ফুটোটা জাহানারা বেগমকে সেলাই করতে বলেছিলেন রেজা সাহেব,কিন্তু তিনি তা করেন নি ।উল্টো বলেছেন-“এসব ছেঁড়া ফাটা জিনিস পত্তর ব্যবহারের দিন শেষ,ছেলে এখন ভাল চাকরি করে,এবার চিঠি পাঠালে নতুন একটা কেনার টাকা দিতে বলব।এ-জমানায় কেউ চিঠি লেখে?স্কাইপে দুনিয়াদারী সব দেখা যায়,পাশের বাড়ির ফারজানা খাতুনের ছেলে বিদেশ থেকে ল্যাপ্টপ পাঠিয়েছে,ইন্টারনেট কানেকশান আছে ।কত সুন্দর দেখা হয় ছেলেটার সাথে,আর আমাদের ছেলেটা লেখে চিঠি,এবার চিঠির জবাবই দিবো না।” জাহানারা বেগমের কথাগুলো ভাবতে ভাবতে রেজা সাহেব হেঁটে চলেন ডাকঘরের দিকে,ছেলের চিঠি আনতে ।
২।
-চিঠি এনেছেন?-হুম।-কই?দেনতো পড়ি ।-নাও।
আম্মা,কেমন আছেন?ভাল থাকতেই হবে,খারাপ থাকা চলবে না।এই যে এখন হাসছেন,এভাবেই হাসবেন।আমি এখন এমন জায়গায় চাকরি পেয়েছি যেখানে ছুটিই দেয় না,কোন ভাবেই যোগাযোগের সুযোগ নেই।তবুও চুরি করে চিঠি লিখি।আশা করি রাগ করবেন না,দোয়া করবেন ।আস-সালামু-আলাইকুম।।
-এই ৩-৪ লাইন চিঠির জন্যেই একমাস অপেক্ষা করি! এবার আর জবাব দিবো না।আর শুনেন,এবার থেকে আপনি আর চিঠি আনতেও যাবেন না ।
রেজা সাহেব একটু হাসেন ।সেই হাসির অর্থ আবিষ্কার করা আর সদ্য নিখোঁজ হওয়া মালেশিয়ান বিমানের ঠিকানা আবিষ্কার করা একই পর্যায়ে বললে অত্যুক্তি হবে না ।জাহানারা বেগম যদিও বলেছেন আর চিঠির জবাব দেবেন না তারপরও তিনি ঝটপট চিঠির জবাব লিখে ফেললেন।এবং সাথে সাথেই রেজা সাহেবকে পাঠালেন চিঠি পাঠিয়ে দিতে।
৩।
রাত ৩টা ,জাহানার বেগম তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করছেন । রেজা সাহেব তাঁর ছেলের টেবিলের পাশে চেয়ারে বসে কি যেন লিখছেন,তাঁর চোখ বেয়ে... continue reading
Comments (3)
গভীর শ্রদ্ধা...
নূর দা
বিখ্যাত বিজ্ঞানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
ভাল থাকুন --------
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের ২৮৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ধন্যবাদ নুরু ভাই।