Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

গোঁফওয়ালা

১০ বছর আগে লিখেছেন

গল্প : প্রেম এবং অন্যপ্রেম।

১৯৯২ সাল। নভেম্বর মাসের শেষ তখন, সবে শীত একটু একটু করে পড়তে শুরু করেছে। সকালের দিকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন তখন বেশ শান্ত। রেলস্টেশনের লালচে টিনশেড ছুঁয়ে মিস্টি রোদ আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। অন্যান্যদিনের সেই ব্যাস্ত ভাবটা আজ অনুপস্থিত।
স্টেশনের ছোট্ট ষ্টেশনারী দোকান থেকে জুলভার্ন এর একটা পেপারব্যাক ভলিউম কিনে ক্যান্টিনের দিকে যাচ্ছে সৌরভ। এ ধরনের ভলিউম বাজারে নতুন এসেছে, একটা ভলিউমে পাঁচটা করে গল্প। নিউজপ্রিন্ট এই পেপারব্যাকটার দাম৭৬ টাকা। দামটা একটু চড়া হলেও ট্রেন যাত্রায় যে বেশ একটা ভালো সময় কাটবে সেটা ভাবতে ভাবতেই হয়তো এগুচ্ছে সৌরভ।
ক্যান্টিনের দরজায় পা দিতেই চোখে পড়লো মেয়েটাকে। চোখে পড়লো না বলে, চোখে চোখ পড়লো বলাটাই ভালো। এক সেকেন্ডই হয়তো ছেলেটার দিকে তাকিয়ে ছিলো ফারিহা। তারপর মাথা নামিয়ে টেবিলে রাখা চায়ের কাপে আরেকটা চুমুক দিতে দিতেই এক সেকেন্ডের সেই তাকানোটাই মাথায় গড়ে উঠতে শুরু করেছে।
একসারি পেছনের চেয়ারে মুখোমুখি বসে বে-খেয়ালে হাতের বইটা নাড়াচাড়া করতে করতে সৌরভ ভাবছে- এই মুহুর্তে, ঠিক এই মুহুর্তে মেয়েটাও আমাকে নিয়ে ভাবছে, আমি নিশ্চিত, যেমন ভাবে আমি তাকে নিয়ে ভাবছি। আচ্ছা মেয়েটাকি এখনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে? মনে হয়।
না ছেলেটা তো আমার দিকে তাকিয়ে নেই, বই নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। তবে যে মনে হলো আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো, ভাবছে ফারিহা। তবে এবারএকটু তাকিয়ে সে নিশ্চিত হল যে ছেলেটা নেভী ব্লু নয় গাড় বেগুনী রঙের শার্ট পরেছে।
এরপর দৃষ্টি বিনিময়ের আরো একটা অনির্ধারিত প্রচেষ্টা বা পরপর দু’টো দফা ব্যার্থ হয়, হয়তো অন্তলোকের রেষারেষির প্রচন্ডতায় দু’জনের তাকানোর সময়টা একটু আগে পরে হয়ে গিয়েছে কিন্তু তাই বলে মানসিক সেই ব্যপারটা কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়নি, সক্রিয় রয়েছে। যেমন সৌরভ জানে মেয়েটা যে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - মাসুম বাদল

    সাধুবাদ জানালাম... 

    • - জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

      ধন্যবাদ । 

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    besh laglo.............!কেমন আছেন ?মহান স্বাধীনতা দিবস লেখা প্রতিযোগিতা২০১৪ ক্যাটাগরি ১ এ আমার কবিতা “প্রিয় স্বদেশআছে,প্রতিযোগিতার জন্য।আপনাদের  কবিতাটি পড়তে আমন্ত্রণ রইল।যদি ভালো লাগে তবে আপনার মূল্যবান একটি ভোট চাই।ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইল। http://www.nokkhotro.com/post/139582-212853-328e30-07c579-.52321-016

     

    • - জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

      ধন্যবাদ । 


      আর আপনার কবিতা আমার ভালো লাগে নাই । তাই ভোট দিতে পারলাম না । 

    - মো: মালেক জোমাদ্দার

    আপনার ছোটলোক খেদানো রুচি সঙ্গে নিয়াই যান মধ্যবিত্তের ঘরে ।

    যেন ভাল খাবার দাবার হয় এই কামনা করলাম।

    সময় হলে একটু ডু মেরে যাবেন আমার লেখা গুলোয়..

    http://www.nokkhotro.com/post/139374-449753-12da71-545186-.10258-276

    http://www.nokkhotro.com/post/139420-434653-19deba-943113-.82304-698

    http://www.nokkhotro.com/post/139489-659453-246ed2-6c8416-.16480-541

    • - জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

      আপনি হয়ত আমার কবিতার অর্থ ধরতে পারেন নাই । আমি বলেছি " মধ্যবিত্তের " ছোটলোক খেদানো রুচি দেখতে তাদের ঘরে যাওয়া ভালো ।

       


    • Load more relies...
    Load more comments...

গোঁফওয়ালা

১০ বছর আগে লিখেছেন

সেই গল্পটা আমি বলবো : একজন নিঃস্ব মানুষের।

মাত্র ৪৫ বছর বয়সেই অন্ধ হয়ে যান কবীর সাহেব। তিনি এখন কেবল একটি মাত্র বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন, তার সংগ্রহে থাকা বইগুলোর কি হবে? চোখই যদি না থাকলো তাহলে আর বই দিয়ে কি হবে?
প্রায় দশ বারো বছর ধরে তিনি বই সংগ্রহ করে চলেছেন। বইয়ের নেশায় তিনি দিনের পর দিন না খেয়ে টাকা জমিয়েছেন, পুরনো বইয়ের দোকানে পড়ে থেকেছেন বেলা-অবেলায়। তবে এসব অনেক আগের কথা, তার ছাত্র জীবনের।
কবীর সাহেব ভেবেছিলেন বই নিয়ে তার এ পাগলামোটা হয়তো বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু যায়নি। সাড়ে চার বছর টিকে ছিলো তার বৈবাহিক জীবন। এর পেছনের কারনটাও ছিলো সেই বই। প্রেমের বিয়েটা ভেঙে যাবার পর থেকে তিনি একাকী জীবন যাপন করছিলেন।
কিন্তু একটা দুর্ঘটনায় চোখ হারানোর পর থেকে কার্যত তিনি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। তখনই তিনি সব গুছিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ চলে আসেন একটা নিরিবিলি সাধারণ জীবনের আশায়। কিন্তু কে জানতো তার এ সাধারণ জীবন অসাধারণ যন্ত্রনায় ভরে উঠবে ! ঘুরেফিরেই বইয়ের তাকে সাজানো বইগুলো তিনি পরম মমতায় ছুয়ে দেখেন আর গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। তখন তার মনটা গাঢ় বিষাদে ছেয়ে যায়। সরকারি চাকরী থেকে হঠাৎ বাধ্যতামূলক অবসরে চলে যাওয়ায় পেনশনের টাকা দিয়ে হয়তো বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব কিন্তু সেটা হবে এক যন্ত্রনাদায়ক জীবন।
আত্মহত্যার করার কথা তিনি যে ভাবেননি তা না, কিন্তু সেটা মন থেকে মুছেও ফেলেছেন। তার কোন উত্তরসূরিও নেই যার জন্য তিনি বইগুলো রেখে যাবেন, আগলে রাখবেন।
এখন কেইবা তার তিলতিল করে গড়ে তোলা প্রিয় জিনিসগুলো যত্ন করে রাখবে? কত জনইবা সেগুলোর কদর বুঝবে? যে বুঝতে পারতো সেইতো তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে অনেক আগেই।
... continue reading
Likes Comments
০ Shares

গোঁফওয়ালা

১০ বছর আগে লিখেছেন

বই ও ঋতু (ঋতু বৈচিত্র অনুযায়ী সাজানো বইয়ের তালিকা !)

বই পড়ার আসলে কোন ঋতু নাই। কে জানে কার কখন কোন বই পড়ে সেই সময়, পরিবেশ, প্রকৃতি মনের মাঝে এক অদ্ভুত মুগ্ধতার সৃষ্টি করে। সাগর অভিযান, পর্বতআরোহন এসকল এডভেঞ্চারের বই বা থ্রিলার, গোয়েন্দা কাহিনী কিংবা প্রেমের উপন্যাস এক ধরনের ঋতুর স্পর্ষতা মনের মাঝে বইয়ে দেয়। হয়তো ঘরে বসেই বই পড়ে মনে হতে থাকে সময়টা কোন নির্জন পাহাড়ে গ্রীশ্মকাল, সমুদ্রের মাঝে শীতকাল কিংবা বর্ষার গ্রামীন জীবন।

বইয়ের এই ঋতুটাকেই আমি ধরতে চেষ্টা করেছি। এটা মূলত আমার পড়া কিছু ভালো বইয়ের তালিকা দেওয়ারও একটা চেষ্টা।

ঋতু বৈচিত্র ও আমার বইঃ


বর্ষাকালঃ

“পদ্মা নদীর মাঝি”
সকাল থেকে সারাদিন ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে এসময় এ বইটি পড়া শুরু করলে মন্দ লাগবে না। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে আমি বলবো এটি একটি অতি অসাধারন সৃষ্টি। পাঠ্যপুস্তকে থাকার সুবাদে বইটি হয়তো সবাই পড়েছে, কিন্তু এটি বারবার পড়ার মত একটি বই।পদ্মা পাড়ের মাঝিদের জীবন নিয়ে লেখা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বইটির মাঝে এক অদ্ভুত গতিশীল আবেদন রয়েছে।

সমুদ্রের অভিযান কিংবা সমুদ্রের জীবনযাত্রা নিয়ে লেখা বইও আমার মনে হয় বর্ষাকালে আলাদা মজা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বলবো জ্যাক লন্ডনের লেখা “দ্যা সী উলফ” বইটির কথা যার বাংলা অনুবাদ “সমুদ্রের স্বাদ –কবীর চৌধুরী”। একজন মানুষের সমুদ্রের অপরিচিত পরিবেশে নিষ্ঠুর এক জাহাজে কাটানো দিনগুলোই এই বইয়ের বিষয়বস্তু।এছাড়া পড়া যেতে পারে “দি ওল্ড ম্যান ইন দ্যা সী” “নীল অন্ধকার-ফ্র্যাঙ্কো পোলি” “দি অ্যামফিবিয়ান ম্যান(আলেকজান্ডার বেলায়েভ)” “ট্রেজার আইল্যান্ড - রবার্ট লুই স্টিভেনসন” ইত্যাদি।

শরৎ-হেমন্তঃ

“প্রথম আলো-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়” এর মত কিছু ইতিহাস ভিত্তিক বই শরৎ-হেমন্তের মৃদুমন্দ বাতাসে পড়তে ভালোই লাগবে। সুনীলের লেখা মূলত আমার... continue reading
Likes ২৩ Comments
০ Shares