মা
হাজার শব্দের সেরা শব্দ- হৃদয় ভরানো নাম,
পৃথিবীর মাঝে সকলের তরে -তাহারই সম্মান।
আকাশ বাতাস সুরে মাতাল- আপন যে জন
রজনীর পরে রজনী কষ্ট- অন্তরীর আগমন।
ব্যাথা যত উপেক্ষা তার- চাহি মুখপানে
অবাক পৃথিবী মুগ্ধ নয়ন- বিমূঢ় মাতৃটানে।
আপন আঁচল ভিজায়ে লাল, কপালে দেয় কালো টিপ
পৃথিবীর মাঝে নাম পায় তার- এহেন মনুষ্যজীব
আলোকে আঁধার, আঁধারে আলো- শুধু অনন পরে
নিজ জীবন তুচ্ছ জ্ঞানী- আপন হিয়ার তরে।
ক্ষুদ্র পিণ্ড মাংস স্তূপ- জড়ায়ে জড়ানো বড়
তাহা ফলাইতে শ্রম ঘাম তাহার- হয় না নড়সড়
তোমাতে আঘাত বিধে তার বুকে-উপেক্ষা এই পৃথিবীর সুখ
রোগে শোকে হাহাকারে ধুঁকলে- অশ্রু নয়ন মুখ।
অকাতর প্রাণ পারিশ্রমিক কি ? দাম কি হবে শোধ,
হাজার ধনের ডোল এনে দিলেও- ঋণ হবেনা রোধ
একটু হতাশা ফুটে উঠলে- আপন হিয়ার মুখে
আলো না ছড়াইতে পারিলে ধুঁকে ধুঁকে মরে শোকে।
সামান্য একটু কাঁটা বিধিলে- তম পায়ের নিচে
উনার পারে সেল এসে বিধে-যতক্ষণ না গোছে
সব কিছু তুচ্ছ ধরিণী পরে বড় শব্দ যা,
সম্মানে সম্মানী তিনি, সবার আপন মা।
continue reading
হাজার শব্দের সেরা শব্দ- হৃদয় ভরানো নাম,
পৃথিবীর মাঝে সকলের তরে -তাহারই সম্মান।
আকাশ বাতাস সুরে মাতাল- আপন যে জন
রজনীর পরে রজনী কষ্ট- অন্তরীর আগমন।
ব্যাথা যত উপেক্ষা তার- চাহি মুখপানে
অবাক পৃথিবী মুগ্ধ নয়ন- বিমূঢ় মাতৃটানে।
আপন আঁচল ভিজায়ে লাল, কপালে দেয় কালো টিপ
পৃথিবীর মাঝে নাম পায় তার- এহেন মনুষ্যজীব
আলোকে আঁধার, আঁধারে আলো- শুধু অনন পরে
নিজ জীবন তুচ্ছ জ্ঞানী- আপন হিয়ার তরে।
ক্ষুদ্র পিণ্ড মাংস স্তূপ- জড়ায়ে জড়ানো বড়
তাহা ফলাইতে শ্রম ঘাম তাহার- হয় না নড়সড়
তোমাতে আঘাত বিধে তার বুকে-উপেক্ষা এই পৃথিবীর সুখ
রোগে শোকে হাহাকারে ধুঁকলে- অশ্রু নয়ন মুখ।
অকাতর প্রাণ পারিশ্রমিক কি ? দাম কি হবে শোধ,
হাজার ধনের ডোল এনে দিলেও- ঋণ হবেনা রোধ
একটু হতাশা ফুটে উঠলে- আপন হিয়ার মুখে
আলো না ছড়াইতে পারিলে ধুঁকে ধুঁকে মরে শোকে।
সামান্য একটু কাঁটা বিধিলে- তম পায়ের নিচে
উনার পারে সেল এসে বিধে-যতক্ষণ না গোছে
সব কিছু তুচ্ছ ধরিণী পরে বড় শব্দ যা,
সম্মানে সম্মানী তিনি, সবার আপন মা।
continue reading
Comments (2)
গল্পটা পড়ে কিছুক্ষণ থমকে গেলাম! একজন মৃত মানুষের বলা জীবন কাহিনী ও অনুভুতি মনকে নাড়া দিয়ে গেল। বেশ সুন্দর উপাস্থাপন । আরো সুন্দর সুন্দর লেখার জ্ন্ম হোক সেই শুভ্কামনা
সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ব্যতিক্রমধর্মী কাহিনীতে গড়া গল্প আমাকে ছুঁয়ে গেলো। অদ্ভুত ভালো লাগলো গল্পটা। লাশ হয়ে তার বিগত জীবনের স্মৃতিচারণ করছে।
তবে এদের মুখে ‘লাশ’ শব্দটা শুনে আমার খুব হাসি পাচ্ছে। চব্বিশ ঘণ্টাও হয়নি আমি কারও বাবা, কারও ছেলে, কারও স্বামী, কারও বন্ধু ছিলাম।
গল্পের এই লাইনটা দিয়েই আরও একটা গল্প লেখা যায়। দুর্দান্ত কিছু সত্যে এই লাইনে লুকিয়ে আছে।
পৃথিবীতে অসংখ্য প্রিয়জনের মাঝে আমি একমাত্র এই চার বছরের ছোট্ট মেয়েটার কাছেই আমার আবেগের, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করতে পেরেছিলাম। আমি শেষবারের মত রামিসাকে দেখছি।
রামিসার প্রতি এই ভালোবাসাটা যেন সেই কৃষ্ণবর্ণ কুমোর মেয়েটাকে লক্ষ করে বলা, যাকে কোন দিন ভালোবাসার কথাটা বলতে পারে নাই।
আর রামিসা খুব মনোযোগ দিয়ে কাদা ফুঁড়ে উঠে আসা কুৎসিত কেঁচোগুলোকে দেখছে।
লাশ হওয়ার পর একটা মানুষ কতটা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে এই লাইনটায় যেন তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। উৎসুক দৃষ্টিতে কতগুলো কুৎসিত কেঁচোকে দেখছে অথচ তবু লাশটাকে দেখছে না। এটাই নির্মম বাস্তবতা।
অনেক ভালো লাগলো গল্পটা। সাবলীলতা যেমন আছে, তেমনি বাক্য গঠনেও যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। কাহিনী বিন্যাসেও আছে দক্ষতার ছাপ। আপনার লেখার হাত ভালো। নিয়মিত লিখে যান ইনশাল্লাহ ভালো করবেন। গল্পটা যদি পূর্বে কোথায় প্রকাশিত হয়ে না থাকে, তবে প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচনার দাবী রাখে। ধন্যবাদ মুতাসিম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য পড়ে নিজেকে বেশ আশ্বস্ত লাগছে এই ভেবে যে, আমি লাশের অনুভূতিগুলোকে পাঠকমনে সঠিকভাবে অনুরণিত করতে পেরেছি। এভাবে আপনাদের উৎসাহ পেলে আমি নিশ্চয়ই নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যাবার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ্। আর হ্যাঁ, 'লাশ' গল্পটি এখানেই প্রথম প্রকাশিত হল।
সময় নষ্ট করে সুন্দর, বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্যে আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
khubi valo laglo
ধন্যবাদ।