Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

তারিফুল ইসলাম

৯ বছর আগে লিখেছেন

মা

                       মা
হাজার শব্দের সেরা শব্দ- হৃদয় ভরানো নাম,
পৃথিবীর মাঝে সকলের তরে -তাহারই সম্মান।
আকাশ বাতাস সুরে মাতাল- আপন যে জন
রজনীর পরে রজনী কষ্ট- অন্তরীর আগমন।
ব্যাথা যত উপেক্ষা তার- চাহি মুখপানে
অবাক পৃথিবী মুগ্ধ নয়ন- বিমূঢ় মাতৃটানে।
আপন আঁচল ভিজায়ে লাল, কপালে দেয় কালো টিপ
পৃথিবীর মাঝে নাম পায় তার- এহেন মনুষ্যজীব
আলোকে আঁধার, আঁধারে আলো- শুধু অনন পরে
নিজ জীবন তুচ্ছ জ্ঞানী- আপন হিয়ার তরে।
ক্ষুদ্র পিণ্ড মাংস স্তূপ- জড়ায়ে জড়ানো বড়
তাহা ফলাইতে শ্রম ঘাম তাহার- হয় না নড়সড়
তোমাতে আঘাত বিধে তার বুকে-উপেক্ষা এই পৃথিবীর সুখ
রোগে শোকে হাহাকারে ধুঁকলে- অশ্রু নয়ন মুখ।
অকাতর প্রাণ পারিশ্রমিক কি ? দাম কি হবে শোধ,
হাজার ধনের ডোল এনে দিলেও- ঋণ হবেনা রোধ
একটু হতাশা ফুটে উঠলে- আপন হিয়ার মুখে
আলো না ছড়াইতে পারিলে ধুঁকে ধুঁকে মরে শোকে।
সামান্য একটু কাঁটা বিধিলে- তম পায়ের নিচে
উনার পারে সেল এসে বিধে-যতক্ষণ না গোছে
সব কিছু তুচ্ছ ধরিণী পরে বড় শব্দ যা,
সম্মানে সম্মানী তিনি, সবার আপন মা।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

তারিফুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

সারা দেশে 3G চালু হওয়ায় যে সব বিষয়ের পরিবর্তন আসতে পারে

 
দেশে প্রথম 3D চালু হওয়ার পর 3D নিয়ে দুম পড়ে গিয়েছিল। এই যেমন ধরুন 3Dছবি,3D টিভি, 3Dলাইট, 3Dফ্যান,3D ভিউ, 3Dইউ আরও কত কই!
এখন দেশে  3G চালু হওয়ায় যা পরিবর্তন আসতে পারেঃ
১)পুরনো গান পরিবর্তিত হয়ে বের হবে নতুন 3G গান। যেমনঃ 3G(তিন তিনটা গার্লফ্রেন্ড) নিয়া পড়ছি আমি পান্দে.........
২)স্যার ক্লাস এ বলবেঃ তোরা 3G(তিন গাদা)কে বললাম না একসাথে বসবি না।
৩) হাসান ভাই আপনার ছেলে পেলে কয়টা?
 হাসানঃ 3G(মানে তিন গ্যাদা) বা তিন গ্যাদা নাটকের নাম পরিবর্তিত হয়ে 3G হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই!
৪) ক্রেতাঃ 3G(তিন গণ্ডা)সুপারি দেন তো।
৫) সিনেমায় নাকিকাঃ তোরা 3G (তিন গুন্ডা), আমার আকাশ 4G(চার গুন্ডা খতম করার পাওয়ার)এর কাছে কিছুই না। বাঁচাও বাঁচাও!!! আকাশ 4G গতিতে হাজির হয়ে যাবে।
 আরও কত কি হবে আল্লাহ্‌ই জানে। তবে তা দেখার জন্য অবশ্যই 3G(তিন জনমের)প্রাণ নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - সেলিনা ইসলাম

    গল্পটা পড়ে কিছুক্ষণ থমকে গেলাম! একজন মৃত মানুষের বলা জীবন কাহিনী ও অনুভুতি মনকে নাড়া দিয়ে গেল। বেশ সুন্দর উপাস্থাপন । আরো সুন্দর সুন্দর লেখার জ্ন্ম হোক সেই শুভ্কামনা 

    • - মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

      সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    - ঘাস ফুল

    ব্যতিক্রমধর্মী কাহিনীতে গড়া গল্প আমাকে ছুঁয়ে গেলো। অদ্ভুত ভালো লাগলো গল্পটা। লাশ হয়ে তার বিগত জীবনের স্মৃতিচারণ করছে। 

    তবে এদের মুখে ‘লাশ’ শব্দটা শুনে আমার খুব হাসি পাচ্ছে। চব্বিশ ঘণ্টাও হয়নি আমি কারও বাবা, কারও ছেলে, কারও স্বামী, কারও বন্ধু ছিলাম। 

    গল্পের এই লাইনটা দিয়েই আরও একটা গল্প লেখা যায়।  দুর্দান্ত কিছু সত্যে এই লাইনে লুকিয়ে আছে।

    পৃথিবীতে অসংখ্য প্রিয়জনের মাঝে আমি একমাত্র এই চার বছরের ছোট্ট মেয়েটার কাছেই আমার আবেগের, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করতে পেরেছিলাম। আমি শেষবারের মত রামিসাকে দেখছি।

    রামিসার প্রতি এই ভালোবাসাটা যেন সেই কৃষ্ণবর্ণ কুমোর মেয়েটাকে লক্ষ করে বলা, যাকে কোন দিন ভালোবাসার কথাটা বলতে পারে নাই।  

    আর রামিসা খুব মনোযোগ দিয়ে কাদা ফুঁড়ে উঠে আসা কুৎসিত কেঁচোগুলোকে দেখছে।

    লাশ হওয়ার পর একটা মানুষ কতটা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে এই লাইনটায় যেন তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। উৎসুক দৃষ্টিতে কতগুলো কুৎসিত কেঁচোকে দেখছে অথচ তবু লাশটাকে দেখছে না। এটাই নির্মম বাস্তবতা।

    অনেক ভালো লাগলো গল্পটা। সাবলীলতা যেমন আছে, তেমনি বাক্য গঠনেও যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। কাহিনী বিন্যাসেও আছে দক্ষতার ছাপ। আপনার লেখার হাত ভালো। নিয়মিত লিখে যান ইনশাল্লাহ ভালো করবেন। গল্পটা যদি পূর্বে কোথায় প্রকাশিত হয়ে না থাকে, তবে প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচনার দাবী রাখে। ধন্যবাদ মুতাসিম। 

     

    • - মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

      সুন্দর মন্তব্যের জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

      আপনার মন্তব্য পড়ে নিজেকে বেশ আশ্বস্ত লাগছে এই ভেবে যে, আমি লাশের অনুভূতিগুলোকে পাঠকমনে সঠিকভাবে অনুরণিত করতে পেরেছি। এভাবে আপনাদের উৎসাহ পেলে আমি নিশ্চয়ই নিয়মিত লেখালেখি চালিয়ে যাবার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ্‌। আর হ্যাঁ, 'লাশ' গল্পটি এখানেই প্রথম প্রকাশিত হল।

      সময় নষ্ট করে সুন্দর, বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্যে আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

    - ইখতিয়াক ইবনে আহসান ইফাত

    khubi valo laglo

    • - মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

      ধন্যবাদ।

    Load more comments...

তারিফুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

আল্লাহ্‌র কাছে যেহেতু সব লিখা আছে, তাহলে আমাদের কিবা করার আছে (উত্তর)

 
 
বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং সবার জানা দরকার। আমরা জানি আল্লাহ সবকিছু জানেন, শুনেন এবং দেখেন। তিনি আমাদের অন্তরের খবর ও জানেন। আমরা কি ভাল কাজ করে জান্নাতি হব না খারাপ কাজের জন্য জাহান্নামী হব তা আল্লাহ্‌র কাছে লিখা আছে। প্রশ্ন তাহলে , সব যেহেতু লিখা আছে তাহলে আমাদের কিবা করার  আছে?
 
হে আল্লাহ্‌ কি আমাদের রোবটের মত সৃষ্টি করেছেন। না!!! তিনি আমাদেরকে নিজের ইচ্ছে মত কিছু করার ক্ষমতা দিয়েছেন।  যদি আমরা নিজেদের ইচ্ছে মত সব করতে পারি তাহলে আমরা রোবট না । তাহলে কিভাবে উনি সব জানেন ও লিখা আছে।
 
ব্যাপারটা হচ্ছে এই রকম যে কোন গনক বলল কাল আপনার কপালে শনি আছে এবং আপনি টাকা হারাবেন। সেক্ষেত্রে গনক বলল বিধায় আপনি করবেন না বরং আপনি করবেন ভেবে গনক বলল। যদিও গণকের এই গন্ডামি means ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু আল্লাহর ব্যাপারটা অসীম। তিনি অসীম শক্তিধর মহাজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময়। আমরা কি করব না করব তা তার জানা নিতান্ত্য স্বাভাবিক বিষয়। মূল কথা দাঁড়াল আমরা করব বিধায় আল্লাহ্‌ জানেন ও লিখা আছে। তিনি লিখে রেখেছেন এবং আমরা রোবটের মত করে যাচ্ছি এমন কিন্তু নয়।  কে জান্নাতে যাবে কে জাহান্নামে যাবে তা আল্লাহ্‌ ভাল জানেন।
 
আল্লাহ্‌র হিসাব counting system অর্থাৎ ভাল কাজ ১,২,৩ টা খারাপ কাজ ১,২,৩,৪, টা এমন নয়। তিনি পাপ পুণ্য ওজন করবেন। সেক্ষেত্রে ১ টা পুণ্যের ওজন ১০ টা পাপের ওজনের চেয়ে ও বেশি বা কম হতে পারে। তাই আমরা অনেক পাপ করেছি ফিরার কোন উপায় নাই বা আমার পাশের দশজনের চেয়ে আমি বেশি ইবাদত করি তাই আমার পরকালে green or red... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - এবিএম সোহেল রশিদ

    বন্ধু মানে প্রেমিক হওয়া নয়।
    বন্ধু মানে মুখ ফিরেয়ে নেয়া নয়

     

    • - কল্পদেহী সুমন

      জী জনাব.......বন্ধু মানে প্রেমিক থেকেও বেশী ভালোবাসা..... 

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    চমৎকার হয়েছে, ভালো লাগলো  

    • - কল্পদেহী সুমন

      ধন্যবাদ 

    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    fvj jvMj| ï‡f”Qv iBj|

তারিফুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

আক্কেল বনাম বেয়াক্কেল

যে আক্কেল দাঁত উঠার মাধ্যমে আমাদের আক্কেলের সৃষ্টি হয়, বৃদ্ধ বয়সে সে আক্কেল দাঁত পড়ে আমরা বেয়াক্কেল হয়ে যাই কি?  
যদিও কথার মার পেঁচে, কারণে  অকারনে সময়ে অসময়ে আক্কেল সেলামী দিয়ে অনেককে বেয়াক্কেল বনতে হয়। কিন্তু পরাজয়ে ডরে না বীর। মজার ব্যাপারটা সেখানে যেখানে আমাদের কতিপয় চতুর ব্যক্তি নিজেদের অবিব্যক্তি প্রকাশ করে অপরের সর্বনাশ করে কিন্তু পক্ষান্তরে নিজে না মরে অন্যকে মারে, তাকে আমরা বারে বারে জ্ঞানী বলে মানহানি করতে পারি না। নিজেকে জাহিল করার কাহিল অবস্থা দেখে আপনার প্রথমে হাসি আসবে, পরে আপনার অগোচরে আপনি তাকে সে স্থানে দিয়ে দেন, যেখানে সে নিজেকে দেখতে চায়। আপনার মনের চাপা ক্ষোভ দুর্ভোগের কারন হলে ও আর বারন করা আপনার পক্ষে সম্ভব হয় না। যার জন্য পদে পদে বিপদে পড়লেও দমে দমে কমিয়ে নিতে হয় রাগ। অবাক করা বিষয় হলে ও সত্য, যারা উপায় অন্ত না পেয়ে সহজ সরল ভাষায়   মনের অবিকল কথা গুলো আপনার সাথে শেয়ার করে,তাদের প্রতি আপনার চিরন্তন একটা সহানুভূতি সৃষ্টি হয়। সে সহানুভূতির হাত ধরে আগে কিংবা পরে, আপনার সম্মুখে তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করে যা মেনে না নিলে বেয়াক্কেল বনে যান আপনি। হা হা সত্যি মজার ব্যাপার।  
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - মেজদা

    অনেক তথ্য পেলাম এই সংখ্যায়। ধন্যবাদ