ছবিটি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহিত)
সম্রাট বাবরের অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে কাবুলে সমাহিত করা হয়, আফগানিস্থানের রাজধানী কাবুলের “ বাগ-এ-বাবর” -এ সম্রাট বাবরের সমাধী অবস্থিত।
বর্তমানের উজবিকাস্থানের আনদিযান নামক স্থানে জন্ম গ্রহন কারী চেঙ্গিস খান ও তৈমুর লঙের উত্তরসূরী জহিরুদ্দিন মুহম্মদ বাবর ১৫২৬ সালে দিল্লীর লোদী বংশীয় সর্বশেষ সুলতান ইব্রাহিম লোদীকে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং কাবুল আক্রমণ করে কাবুলের শাসন ভার গ্রহন করেন। । এই সময় তিনি ভারত আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। ১৫২৬ সালে পাণিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্যের সূচনা করেন।
যদিও সম্রাট বাবার একটি উল্ল্যেখ সময় কাবুল ও দিল্লিতে কাটিয়েছিলেন কিন্তু জীবনের শেষ সময়গুলি তিনি কাটান আগ্রায়।
ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, সম্রাট নাসিরুদ্দিন মোহাম্মাদ হুমায়ুন তাঁর পিতার ( সম্রাট বাবরের) শেষ ইচ্ছার রহস্য জানতেন। আগ্রায় যমুনা নদীর পূর্ব দিকে তাজ মহলের বিপরীতে প্রচুর বাগান থাকায় ঐ জায়গাটিকে আগ্রাবাসী কাবুল বলত, মাত্র ৪৭ বছর বয়সে সম্রাট জহির উদ্দিন মোহাম্মাদ বাবর আগ্রার পুরানা কিল্লায় ইন্তেকাল করেন।
( তাজ-মহলের বেদী থেকে তোলা ছবিটিতে যমুনা নদীর ওপর পাড়ে বৃক্ষরাজীতে মোড়ানো স্থানটিকে আগ্রাবাসীর "কাবুল" বলে মনে করা হয়।)
মৃত্যুর পর্বে সম্রাট বাবর তাঁকে কাবুলে সমাহিত করার জন্য ওছিয়ত করে যান. সম্রাট বাবরকে যমুনা নদীর পূর্ব দিকে তাজ মহলের বিপরীতে আরাম বাগের চারবাগে অস্থায়ী ভাবে সমাহিত করা হয়, সেখানে কয়েক বছর তাঁর দেহাবশেষ ছিল। কাবুল বলতে সম্রাট বাবর আফগানিস্তানের কাবুলকে বুঝান নি, তিনি আগ্রায় যমুনা নদীর পূর্ব দিকের কাবুলকে বুঝিয়েছিলেন. সম্রাট বাবরের ওছিয়তের ভুল ব্যাখ্যা করে নয় বছর পরে বাবরের স্ত্রী বেগা বেগম তাঁর দেহাবশেষ আফগানিস্তানের কাবুলে পাঠিয়ে দেন।
( বাবরের সমাধীর ছবিটি... continue reading
Comments (1)
ভালো :)
ধন্যবাদ! যাক শেষ পর্যন্ত ব্লগিং শিখে গেছেন :D
সুন্দর লাগল