Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

রব্বানী চৌধুরী

৯ বছর আগে লিখেছেন

পাঠাগারের ভিত্তি

একটি বই কেনা, বই মেলা থেকে বই কেনা, টাকা দিয়ে বই কেনা, ব্ইয়ের পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে দর কষাকষি করে বই কেনা এগুলি বই কেনার একটি সহজ ব্যাখ্যা। দেশের ব্রান্ড ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর থেকে পোশাক কেনা বেশ সহজ, পোশাকের সাথে দাম লিখা থাকে, ট্রাইল রুম থাকে, পছন্দ হলেই নগদ টাকায় বা কার্ড দিয়ে পোশাক কেনা যায়, কিন্তু যারা পোশাক তৈরীর কারিগরি প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তাদের কাছে পোশাক তৈরীর প্রক্রিয়াটি একটি বড় জগৎ, অনেক বড় পরিধীর।

কবি, লেখকের হাত ধরে ছাপা খানার মধ্যে ও নানান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কি ভাবে বই ছাপানো হয় ! কি ভাবে বই মেলায় আসে, বইয়ের দোকানে আসে, পাঠকের হাতে আসে তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। বই প্রকাশের প্রতিটি প্রক্রিয়া জানতে হলে আমাদের বই প্রকাশের বড় একটি জগতের মধ্যে, কর্ম প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।

ধরা যাক, এবারের আসন্ন বই মেলা থেকে আমাদের প্রিয় উপন্যাসিক হুমায়ুন আহামেদের একখানি উপন্যাস কেনা হল , তবে কি শুধু একটি হুমায়ুন আহামেদের উপন্যাস কেনা হল !!

উপন্যাসটি কেনার মধ্য দিয়ে অনেক শ্রমের মর্যদা দেওযা হল, কর্ম ক্ষেত্র বাড়ানো হল শ্রমিকের আয় বাড়ানো হল। প্রকাশনা মালিকদের অর্থের আকার বাড়ারোর ব্যবস্থা করা হল। অর্থনীতির চাকা মজবুত হয়ে ঘুরতে সাহায্য করা হল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি না লিখতেন তবে তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন দেহ মাথা নিয়েই বেঁচে থাকতেন। কত যুগ গত হল আজও প্রকাশনীতে রবীন্দ্রনাথ, মুদ্রনে রবীন্দ্রনাথ, বই মেলায় রবীন্দ্রনাথ, আমাদের হাতে রবীন্দ্রনাথ। ঠিক তেমনি করে আমাদের হাতে অনেক কবি, অনেক লেখকের বই।

প্রতি গ্রামে গ্রামে যদি বড় পাঠাগার গড়ে তুলতে চাই, নিজের ঘরে ঘরে যদি পাঠাগার গড়ে তুলতে চাই তবে চাই সমৃদ্ধ প্রকাশনী, বই কেনার কাটতি। ভালো বা আদর্শ গ্রাম বুঝাতে চাইলে চাই সে গ্রামে উন্নত পাঠাগার, বাড়ির ঐতিয্য ধরে রাখতে চাইলে চাই উন্নত গৃহ পাঠাগার, ভালো শিক্ষা পিঠের বড় বৈশিষ্টই হল পাঠাগার আর পাঠাগার হল একটি বাতি আর পাঠক হল বাতির আলো।

অনেকে দুঃখ করে বলেন - সব উৎপাদন বা উৎপাদিত দ্রব্য অর্থনৈতিক ক্রিয়ার মধ্যে পড়ে, লাভ-লোকসানের মধ্যে পড়ে, কিন্তু কবির কবিতা, লেখকের লেখার মধ্যে অর্থনৈতিক জোয়ার খুবই নগন্য তবে কবির কবিতা, লেখকের লেখা, গল্প এ সবই শুদ্ধ মনের প্রকাশ, মননকে স্বাধীন রাখার প্রকাশ যে ভাবে পাহাড় থেকে নেমে আসে ঝর্না-ধারা।

গত মাসের মুখো-রোচক খাবারের দাম তুলনামুলক কতটুকু বেড়েছে তা নিয়ে বেশি চিন্তিত হই না কিন্তু কেজি প্রতি চালের দাম সামান্য বাড়াতেই চিন্তিত হয়ে পড়ি, কারণ আমাদের বেঁচে থাকাটি খুব জরুরী।

আমরা অনেকেই ঘরের সজ্জা বাড়ানোর বাজেট নিয়ে খুব একটা চিন্তিত থাকি না তবে আমাদের বই কেনার বাজেট হয়তো আমাদের অনেকেরই করাই হয় না। ঘরে সারি সারি বই, বইয়ের স্লেভ আমাদের ঘরের সৌন্দর্য্য কি বর্ধন করে না !! আমাদের মন ও মননকে উন্নত করে না !!
    একখানি বই না কিনে বরং একটি ভ্যানিটি ব্যাগ বা সান গ্লাস, মাথার ক্যাপ কেনার আসক্তি কমানো উচিত বা ধূমপান বর্জন। আমাদের ভালো লেখার আয়োজন চাই, ভালো পাঠক চাই, বইয়ের ভালো কেনা -বেচা চাই, ভালো পাঠাগার চাই। আর চাই লেখার মর্যদা। আসন্ন বই মেলা থেকে একটি বই কেনার অর্থই হোক একটি পাঠাগারের ভিত্তিতে একটি ইট গেঁথে দেওয়া। 

একটি বই কেনা, বই মেলা থেকে বই কেনা, টাকা দিয়ে বই কেনা, ব্ইয়ের পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে দর কষাকষি করে বই কেনা এগুলি বই কেনার একটি সহজ ব্যাখ্যা। দেশের ব্রান্ড ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর থেকে পোশাক কেনা বেশ সহজ, পোশাকের সাথে দাম লিখা থাকে, ট্রাইল রুম থাকে, পছন্দ হলেই নগদ টাকায় বা কার্ড দিয়ে পোশাক কেনা যায়, কিন্তু যারা পোশাক তৈরীর কারিগরি প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তাদের কাছে পোশাক তৈরীর প্রক্রিয়াটি একটি বড় জগৎ, অনেক বড় পরিধীর।
    কবি, লেখকের হাত ধরে ছাপা খানার মধ্যে ও নানান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কি ভাবে বই ছাপানো হয় ! কি ভাবে বই মেলায় আসে, বইয়ের দোকানে আসে, পাঠকের হাতে আসে তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। বই প্রকাশের প্রতিটি প্রক্রিয়া জানতে হলে আমাদের বই প্রকাশের বড় একটি জগতের মধ্যে, কর্ম প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। 

ধরা যাক, এবারের আসন্ন বই মেলা থেকে আমাদের প্রিয় উপন্যাসিক হুমায়ুন আহামেদের একখানি উপন্যাস কেনা হল , তবে কি শুধু একটি হুমায়ুন আহামেদের উপন্যাস কেনা হল !!

উপন্যাসটি কেনার মধ্য দিয়ে অনেক শ্রমের মর্যদা দেওযা হল, কর্ম ক্ষেত্র বাড়ানো হল শ্রমিকের আয় বাড়ানো হল। প্রকাশনা মালিকদের অর্থের আকার বাড়ারোর ব্যবস্থা করা হল। অর্থনীতির চাকা মজবুত হয়ে ঘুরতে সাহায্য করা হল। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি না লিখতেন তবে তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন দেহ মাথা নিয়েই বেঁচে থাকতেন। কত যুগ গত হল আজও প্রকাশনীতে রবীন্দ্রনাথ, মুদ্রনে রবীন্দ্রনাথ, বই মেলায় রবীন্দ্রনাথ, আমাদের হাতে রবীন্দ্রনাথ। ঠিক তেমনি করে আমাদের হাতে অনেক কবি, অনেক লেখকের বই। 

প্রতি গ্রামে গ্রামে যদি বড় পাঠাগার গড়ে তুলতে চাই, নিজের ঘরে ঘরে যদি পাঠাগার গড়ে তুলতে চাই তবে চাই সমৃদ্ধ প্রকাশনী, বই কেনার কাটতি। ভালো বা আদর্শ গ্রাম বুঝাতে চাইলে চাই সে গ্রামে উন্নত পাঠাগার, বাড়ির ঐতিয্য ধরে রাখতে চাইলে চাই উন্নত গৃহ পাঠাগার, ভালো শিক্ষা পিঠের বড় বৈশিষ্টই হল পাঠাগার আর পাঠাগার হল একটি বাতি আর পাঠক হল বাতির আলো।
   
অনেকে দুঃখ করে বলেন - সব উৎপাদন বা উৎপাদিত দ্রব্য অর্থনৈতিক ক্রিয়ার মধ্যে পড়ে, লাভ-লোকসানের মধ্যে পড়ে, কিন্তু কবির কবিতা, লেখকের লেখার মধ্যে অর্থনৈতিক জোয়ার খুবই নগন্য তবে কবির কবিতা, লেখকের লেখা, গল্প এ সবই শুদ্ধ মনের প্রকাশ, মননকে স্বাধীন রাখার প্রকাশ যে ভাবে পাহাড় থেকে নেমে আসে ঝর্না-ধারা।   

গত মাসের মুখো-রোচক খাবারের দাম তুলনামুলক কতটুকু বেড়েছে তা নিয়ে বেশি চিন্তিত হই না কিন্তু কেজি প্রতি চালের দাম সামান্য বাড়াতেই চিন্তিত হয়ে পড়ি, কারণ আমাদের বেঁচে থাকাটি খুব জরুরী।   

আমরা অনেকেই ঘরের সজ্জা বাড়ানোর বাজেট নিয়ে খুব একটা চিন্তিত থাকি না তবে আমাদের বই কেনার বাজেট হয়তো আমাদের অনেকেরই করাই হয় না। ঘরে সারি সারি বই, বইয়ের স্লেভ আমাদের ঘরের সৌন্দর্য্য কি বর্ধন করে না !! আমাদের মন ও মননকে উন্নত করে না !!   

একখানি বই না কিনে বরং একটি ভ্যানিটি ব্যাগ বা সান গ্লাস, মাথার ক্যাপ কেনার আসক্তি কমানো উচিত বা ধূমপান বর্জন। আমাদের ভালো লেখার আয়োজন চাই, ভালো পাঠক চাই, বইয়ের ভালো কেনা -বেচা চাই, ভালো পাঠাগার চাই। আর চাই লেখার মর্যদা। আসন্ন বই মেলা থেকে একটি বই কেনার অর্থই হোক একটি পাঠাগারের ভিত্তিতে একটি ইট গেঁথে দেওয়া।
Likes Comments
০ Share

Comments (8)

  • - টোকাই

    দারুণ ।