Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

জামান একুশে

৮ বছর আগে লিখেছেন

ভালোবাসা আজকাল

সেদিন প্রলুব্ধ হয়ে আড়ষ্টতার প্রহর গুনছিলাম আমি
অকস্মাৎ এক নীলাম্বরীর ঐকতানে মুখরিত হলাম
বসন্ত বেলায়;
পাগলপারা মনের দৌরাত্মে
নিস্পেষিত হৃদয়ে উপেক্ষা করতে পারিনি
তোমার অনুচ্চারিত অভিলাষ;
সুপ্ত ভিসুভিয়াস উদগীরনের প্রারম্ভেই
কুহু-কলতানে মুখরিত করেছিলে আমার চাপরাশ।
এক নিমেষেই শুস্ক বসন্তকে রাঙিয়ে দিয়েছিলে দোলাচলে
আর আমি, অস্ফুট স্বরে বলে উঠেছিলাম
আনন্দম!
কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের মতোই
খুঁজে পাওয়ার আনন্দে
পতাকা উত্তোলন করেছিলাম হৃদয়ের চিলেকোঠায়
ভাবাপ্লুত ছিলে তুমি অন্তরে
শংকাহীন মন্তরে।
কিন্তু অকস্মাৎ কোথায় যেন শুনতে পেলাম রটনা
অবিশ্বাস্য বাতাসকে উগরে দিয়ে জানলাম
সেটা সত্যিকারের ঘটনা।
সেই তুমি এখন নাকি ভালোবাসার স্টল নিয়েছ
দুর্বিসহ ফাগুনের মেলায়
ভালোবাসা দিবসেই নাকি পসার জমে ভালো
আর তাই, দিনমান পরিশ্রান্ত হয়ে বলি
আমার নির্বর্ষ শ্রাবণ-ই ভালো।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

জামান একুশে

৮ বছর আগে লিখেছেন

পাতা ঝরার আস্ফালন

তুমি বলেছিলে
ঝরে পড়া পাতাকে দেখো
আর মনে করো আমাকে;
পথ যতই মসৃণ হোক না কেন
পাবে অনেক শুস্ক-খসখসে নিশানা।
অথচ ঝরে পড়া শুকনো পাতাকে
আমি উপেক্ষা করতাম প্রতিনিয়তই।
ভাবতাম, এমন কী আছে পাতা ঝরার আস্ফালনে!
আজ সকালে শীতের দৈন্যদশা দেখে
মনে পড়ল
এসেছে বুঝি পাতার ঝরার দিন
শুস্ক বিলাসে ফেটে পড়ার দিন
আর আয়েশ ভরে তোমাকে ভাবার দিন।
মনে পড়ে
এমনই কোন এক ঠোঁট ফেটে যাওয়া শুস্ক ফাগুনে
তৃষ্ণার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে অনলে
আমি বেমালুম উড়িয়ে দিয়েছিলাম
বাড়তি আবেগের ঝরে পড়ার মগ্নতা।
হেলাভরে উপহাসে ম্নান করেছিলাম
আর অবিমিশ্র গৌণ কাতরতায়
ক্ষত-বিক্ষতের বাসা বেঁধেছিলাম
তোমার সুকোমল মননে।
কী অসীম আবেগে নিমজ্জিত করেছিলে নিজেকে
আর আমি
ছলছল আর্তনাদে ভাসমান তরী ভাসিয়ে রাখার
প্রাণান্তকর চেষ্টায় ব্রত, এখনও। continue reading
Likes Comments
০ Shares

জামান একুশে

৮ বছর আগে লিখেছেন

অশরীরী

চকমকির আলোয়ান গায়ে রূপালী জোছনার সাথে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে সময় কাটছিল মৃদুলের। বাঁশঝাড় লাগোয়া নদীর এই ঘাটটাতে পা ঝুলিয়ে বসলেই নদীর পানিকে ছুঁয়ে ফেলা যায়। ভরা পূর্ণিমার সাথে যৌবনবতী নদীর এই আস্ফালন একান্তে উপভোগ করে মৃদুল। শুধু মাঝে মধ্যে এসে হানা দেয় উপেন্দ্র কিশোর। বলে একটু সরে বসরে খোকা। জল জোছনা আমিও খুব ভালোবাসি। মৃদুলের বেশ রাগ হয়। এমনিতেই সে তার জল-জোছনায় কাউকে ভাগ দিতে চায়না। তারমধ্যে আবার উপেন্দ্র বাবুর গা থেকে ভেসে আসে উৎকট পোড়া গন্ধ। মৃদুল বিরক্তি নিয়ে বলে – আপনি এখন যানতো কাকাবাবু! পৃথিবীর এই জল-জোছনায় আপনার কোন অধিকার নেই। আপনি এখন অতীত। উপেন্দ্র বাবু বিষন্ন হয়। যদিও দেখে তা বোঝা যায়না। কারণ তার চেহারার অনেকটাই পোড়া, ঝলসানো। বলেন আমি অতীত বর্তমান কোথাও নাইরে খোকা। এমনকি স্বর্গেও না নরকেও না। তোরা আমাকে একোন জায়গায় ফেললি? 
মাস খানেক আগে এই গুরুদাসপুর গ্রামের শ্মশান ঘাটে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। উপেন্দ্র কিশোর নামে এক ষাট বছরের বৃদ্ধকে দাহ করার সময় সে হঠাৎ করে চিৎকার দিয়ে উঠলে উপস্থিত লোকজন ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য উপেন বাবুকেও আর পাওয়া যায়নি।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

জামান একুশে

৮ বছর আগে লিখেছেন

অজ্ঞাতনামা কেউ

ইংরেজীতে সে বরাবরই ভালো কিন্তু টেস্টে এত কম কীভাবে পেল বুঝতে পারছে না চিত্রা। শ্রেণি শিক্ষক হামিদুর স্যার (হিমু স্যার নামে পরিচিত) বললেন তোমাকে প্রপার গাইড করলেই রেজাল্ট আশানুরুপ হবে। তুমি আগামী সপ্তাহ থেকে বিকেলের ব্যাচে এসো আমি দেখবো তোমার বিষয়টা। হিমু স্যারের এমনিতেই খুব সুনাম। তিনি ভালো শিক্ষক। তার কাছে কেউ পড়তে চাইলেও সিট সংকুলান না হওয়াতে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়না। কিন্তু স্যার তাকে আলাদাভাবে এত গুরুত্বদিয়ে বলেছে যে নিজেকে খুব ইম্পর্টেন্ট মনে হচ্ছে।
এরপর থেকে চিত্রা নিয়মিত স্যারের কাছে পড়তে যায়।
এক বিরামহীন বৃষ্টি বেলার মন কেমন করা বিকেলে সে স্যারের বাসায় উপস্থিত। কিন্তু সেদিন অন্য কেউ পড়তে আসেনি। ইলেক্ট্রিসিটি না থাকায় প্রায় অন্ধকার একটা রুমে সে অজানা আশংকায় ভীত হয়ে পড়ছিল। এমন সময় স্যার রুমে প্রবেশ করলেন।
আহা ! তুমিতো একেবারে কাকভেজা হয়ে গেছ। ঠান্ডা লাগবেতো! দাড়াও আমি তোমার জন্য তোয়ালের ব্যবস্থা করছি।
ভয়ে চিত্রার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছিল। সে কোনরকম আড়ষ্ট কণ্ঠে বলল স্যার আর কেউ পড়তে আসবে না?
আরতো কারো আসার কথা না। আজকে শুধু তোমার জন্য স্পেশাল ক্লাস। একথা শুনে চিত্রার হাত পা অবশ হয়ে চোখে অন্ধকার নেমে এলো।
এরপরের ঘটনা আর তার মনে নেই। শুধু তার চারপাশের স্বপ্নীল পৃথিবীটা হয়ে উঠেছিল দুঃস্বপ্নের অমনিবাস।
একদিন সংবাদপত্রগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের সাথে ভিতরের পাতায় একটি গুরুত্বহীন সংবাদ ছাপল- “অজ্ঞাত কারনে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা"
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - Developer

    like it

    - মাসুম বাদল

    ভাললাগা জানালাম...!

    • - মেঘা নওশীন

      অনেক অনেক ভাললাগা... 

জামান একুশে

৮ বছর আগে লিখেছেন

ছন্দপতন

মেয়ে পটানোয় উস্তাদ বলে খ্যাত হাসিনের কোন মেয়ে বন্ধু নেই। এটা নিয়ে তার কোন আফসোসও নেই। কেউ প্রশ্ন করলে বলে প্রেমিকরা কখনো অভিজ্ঞ হয় না আর অভিজ্ঞ লোকেরা প্রেমিক হতে পারেনা। বন্ধুদের প্রেমের টানাপোড়ন ভাঙ্গার এডভোকেসি করতেই তার সময় যায়। এ হিসেবে সব বন্ধুদের গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে তার দারুন সখ্যতা। দোদুল্যমান সম্পর্ক মজবুত করার জন্য তাকে অনেক সময় দিতে হয়। রিক্সায় ঘোরা, পার্কে বসে বাদাম খাওয়া, স্লিপ পাঠিয়ে ক্লাস থেকে ডেকে আনা এসবই তাকে করতে হয়।
অনেকটা ফুরফুরে মেজাজেই চলছিল হাসিনের জীবন। কেউ না থেকেও অনেকে আছে এমনভাবে। কিন্তু তার এই ভালো থাকার মধ্যে একদিন বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে পাপড়ি বলল সে তাকে ভালোবাসে, তার বন্ধুকে নয়। সে তাকে ছাড়া বাঁচবে না। হাসিন সেদিন অট্রহাসিতে ফেটে পড়েছিল। বেমালুম উড়িয়ে দিয়ে বলেছিল কেউ কারো জন্য মরেনা। এসব ভড়ং।
মাঝখানে বেশকিছুদিন চলে গেছে। একদিন খুব ভোরে বাসার ফোনটি অনেকটা বাজেভাবে বেজে উঠল। সৌমিক জানাল পাপড়ি আত্মহত্যা করেছে।
continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...