তুমি বলেছিলে
ঝরে পড়া পাতাকে দেখো
আর মনে করো আমাকে;
পথ যতই মসৃণ হোক না কেন
পাবে অনেক শুস্ক-খসখসে নিশানা।
অথচ ঝরে পড়া শুকনো পাতাকে
আমি উপেক্ষা করতাম প্রতিনিয়তই।
ভাবতাম, এমন কী আছে পাতা ঝরার আস্ফালনে!
আজ সকালে শীতের দৈন্যদশা দেখে
মনে পড়ল
এসেছে বুঝি পাতার ঝরার দিন
শুস্ক বিলাসে ফেটে পড়ার দিন
আর আয়েশ ভরে তোমাকে ভাবার দিন।
মনে পড়ে
এমনই কোন এক ঠোঁট ফেটে যাওয়া শুস্ক ফাগুনে
তৃষ্ণার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলে অনলে
আমি বেমালুম উড়িয়ে দিয়েছিলাম
বাড়তি আবেগের ঝরে পড়ার মগ্নতা।
হেলাভরে উপহাসে ম্নান করেছিলাম
আর অবিমিশ্র গৌণ কাতরতায়
ক্ষত-বিক্ষতের বাসা বেঁধেছিলাম
তোমার সুকোমল মননে।
কী অসীম আবেগে নিমজ্জিত করেছিলে নিজেকে!
আর আমি?
ছলছল আর্তনাদে ভাসমান তরী ভাসিয়ে রাখার
প্রাণান্তকর চেষ্টায় ব্রত, এখনও।
[বিঃদ্রঃ ব্লগিং করার ছলে একসময়ে মনে যা আসতো তাই লিখতাম। দারুন একটা সময় পার করেছি ব্লগিংয়ে! আর এখন আমরা দলাদলিতেই ব্যস্ত ফেসবুকে। নক্ষত্র ব্লগের আইডিয়া, ডিজাইন ভালো লাগলো। তাই পুরনো বস্তাপচা একটা পোস্ট দিলাম]
Comments (15)
উফফফফ... দুই বুড়ার লেখনীর মুগ্ধতায়, ঈর্ষা আমায় জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে।
ফিক ফিক
কবিদের ঈর্ষা আছে নাকি?
বুড়া মানুষদের রোমান্টিসিজমে কোন অসুবিধা দেখিনা
আমার বয়স ১২ আর কালপুরুষ দা'র ১৩। আমরা দুজনেই কেউই টিনএজারও হইনি এখনো
শুভেচ্ছা আন্তরিক মন্তব্যের জন্য! ভালো থেকো।
কবিতার সর্বশরীর দারুণ রোমান্টিকতায় মোড়ানো। শব্দচয়ন অসাধারণ! বরাবরই আপনার কবিতা একটা আলাদা প্রশান্তি এনে দেয়।
ভাল থাকুন নীলদা।
শুভেচ্ছা সুপ্রিয় গল্পকার মিশু
"কৃষ্ণচূড়ার নূপুর পায়ে মেঘ হয়ে এসেছিলে তুমি
বৈশাখের খরতাপে পুড়ে যাওয়া
আমি মুগ্ধ মুসাফির
ডাকাত হয়েছি ----------- "
অসাধারন !!! অনেক অনেক ভাললাগা রেখে গেলাম।
সালাম জানবেন।
ধন্যবাদ নাহার আপা- শুভেচ্ছা নিরন্তর।