Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Lifestyle Image

পোকামাকড়ের উপদ্রব এড়াতে




বাড়ছে গরমের তীব্রতা। সেই সাথে বাড়ছে পোকামাকড়ের উপদ্রবও। মশা, মাছি, পিঁপড়া তো বটেই, নানান অচেনা-অজানা পোকামাকড়ের আনাগোনাও দেখা যায় এ সময়ে। পোকামাকড় প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে অনেকটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং একটুখানি সতর্কতা অবলম্বন করে আপনার বাড়িকে করে তুলতে পারেন পোকামাকড়মুক্ত। এ ব্যাপরে রইল কিছু পরামর্শ -
*সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখুন। কারণ এ সময়টাতেই মশা ঘরে ঢোকে বেশি। মশা যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে তার জন্য জানালায় নেট লাগাতে পারেন।
*বাথরুম বা রান্নাঘর- কোথাও পানি জমতে দেবেন না। ফুলদানীর পানিও প্রতিদিন পালটে ফেলুন। পুরনো ফুলের পাতা বা ডাঁটি যেন পানিতে জমে পচে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
*বাগানে বা বাড়ির আঙ্গিনায় জলাধার থাকলে তাতে মাছ ছাড়ুন। মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। ফলে পানির কারণে মশার দৌরাত্ম্য বাড়বে না।
*স্টোর রুম, রান্নাঘরের যেখানে ডাস্টবিন রাখেন, আলমারির পেছনের অন্ধকার জায়গা, খাটের নিচ, ঘরের কোনা ইত্যাদি জায়গাগুলো পরিষ্কার রাখুন। কারণ এসব জায়গাতেই থাকে মশার আড্ডাখানা।
*মশার উপদ্রব কমাতে ঘরের অন্ধকার জায়গাতে একটা পাত্রে সামান্য গরম পানিতে কর্পূর মিশিয়ে রেখে দিন।
*খবরের কাগজ, ওষুধের ফয়েল, কফ সিরাপের বোতল ইত্যাদি কাজ শেষের সাথে সাথে ফেলে দিন, জমিয়ে রাখবেন না। এতে মশার উপদ্রব আরো বাড়বে।
*মশার হাত থেকে বাঁচতে ন্যাচারাল মসকিউটো রেপেলেন্ট ব্যবহার করুন। লেমন গ্রাস অয়েল, নিম অয়েল ও ইউক্যালিপটাস অয়েল দিয়ে তৈরি এই মসকিউটো রেপেলেন্ট খুব বেশি ক্ষতিকর নয়। ঘাম ও গরমের কারণে তেল উবে গেলে বার বার লাগান।
*নারকেলে ছোবড়ার সাথে ধুনি মিশিয়ে মাটির পাত্রে রেখে আগুন দিন। এর ধোঁয়ায় মশা-মাছির উপদ্রব কমে যাবে।
*কড়া পারফিউম ব্যবহার করুন। মশা ধারে কাছে আসবে না।
*গাছের কাছে যাতে পোকামাকড় না ঘেঁষে এজন্য এতে সাবান-পানি প্রয়োগ করুন। এটা দারুন কাছে দেবে।
*ফল পাকতে শুরু করলে বা পচে গেলে সেটা বেশিদিন রাখবেন না। নয়তো পিঁপড়া এবং মাছির উপদ্রব বেড়ে যাবে।
*মধু, চিনি, পিনাট বাটার ইত্যাদির বয়াম বা কৌটার মুখ ফাঁকা হয়ে গেলে সেটা ধুয়ে রাখুন। কারণ মিষ্টির আঠালো ভাব পিঁপড়া ও অন্যান্য পোকামাকড়কে আকৃষ্ট করে।
*ঘরে বোলতা বা মৌমাছি ঢুকে পড়লে সেটার গায়ে হেয়ার স্প্রে করে দিন। এতে বোলতা বা মৌমাছির হুল অসাড় হয়ে যাবে। বোলতা কামড় দিলে সাথে সাথে সেখানে টুথপেস্ট লাগান অথবা পেঁয়াজের রস ঘষুন। ব্যথা কমে যাবে।
*বিছানার তোষক বা ম্যাট্রেসের নিচে শুকনো নিমপাতা রাখুন। পিঁপড়া বা ছারপোকা বাসা বাঁধতে পারবে না। প্রতিদিন বিছানা পরিষ্কার করুন।
*পিঁপড়া ও পোকামাকড় তাড়াতে ব্যবহার করুন লবঙ্গ। চিনির বয়াম, আলমারির কাপড়ের ফাঁকে, বিছানার গদির কোনায় কিছু লবঙ্গ রেখে দিন। এতে পিঁপড়া উপদ্রব কমে যাবে।
*পিঁপড়ার গর্তের মুখে পিপারমিন্ট অয়েলে ভেজানো তুলা রেখে দিন, পিঁপড়া কমে যাবে।
*প্রতিদিন ঘরের মেঝে পরিষ্কার করুন। ঘর মুছতে ফিনাইল বা অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড ব্যবহার করুন। এতে পোকামাকড় অনেকটাই কমে যাবে।
*ময়লা ফেলার জায়গায় বোরিক পাউডার ছিটিয়ে দিন, মাছি কমবে। ডাস্টবিন সব সময় ঢেকে রাখুন। ময়লা যত কম থাকবে মাছির সমস্যা তত কম হবে।
*চিনির সাথে সমপরিমাণ বোরিক পাউডার মিশিয়ে ঘরের কোনায়, দেয়ালে ছড়িয়ে দিন। এতে তেলাপোকার উপদ্রব কমবে। রান্নাঘরে তেলাপোকার উপদ্রব বেশি হয়। সবজির খোসা, ডিমের খোসা, মাছের আঁশ বা বাসি খাবার জমিয়ে রাখবেন না। যতটা দ্রুত সম্ভব ফেলে দিন। এতে তেলাপোকার সমস্যা অনেকটা কমাতে পারবেন।