*অনেকের ধারণা রাতে শোয়ার আগে একটু ওয়াইন খেলে মানুষের চিন্তাগুলো সরিয়ে আরো ভালো ঘুম হবে। ঘটনা মোটেও তা নয়। এলকোহলের প্রতিক্রিয়া কেটে গেলেই ঘুমের ঘোর কেটে যাবে। শুরু হবে মাথাব্যথা, প্রচণ্ড ঘাম। রাতকে তখন মনে হবে অসম্ভব লম্বা।
*যদিও গ্রিন টির অনেক উপকার আছে কিন্তু ঘুমের খুব ক্ষতি করে। তার জন্য দায়ী গ্রিন টিতে থাকা রাসায়নিক।
*যদিও ডায়েটে প্রোটিন থাকা খুব দরকার। কিন্তু বেশি পরিমাণে প্রোটিন খেলে ঠিক মতো ঘুম আসবে না। আর চিকেনে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন। তাই ডিনারে চিকেন না খাওয়াই ভালো। কারণ বেশি প্রোটিন শরীরে প্রচুর এনার্জি তৈরি করে। এতে শরীর শান্ত হওয়ার পরিবর্তে উত্তেজিত হয়।
*প্রতিদিন পিৎজা খেলে হজম শক্তির ব্যাঘাত ঘটে। পিৎজার সাথে যে টমাটো সস খাওয়া হয়, তাতে এসিডিটি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই ঘুমানোর আগে পিৎজা কখনোই খাওয়া উচিৎ নয়।
*রাতে আইস ক্রিম বা অন্য কোনো ডেসার্ট এড়িয়ে চলাই উচিৎ। এতে হাই ফ্যাট আর প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই শুতে যাওয়ার আগে খেলে আপনার শরীর ফ্যাট বার্ন করে উঠতে পারবে না ফলে আপনি রেস্টলেস হয়ে উঠবেন। এছাড়া শুতে যাওয়ার আগে এইসব খাবার খেলে গাড় ঘুম হবে না।
*আইসক্রিমের মতোই চকলেট, ক্যান্ডি ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। ডার্ক চকলেটে ক্যাফেইন থাকে, কাজেই ঘুমের আগে এটা খেলে ঘুম আসতে দেরি হবে। যদি খেতেই চান তবে মিল্ক চকলেট খান। এটা ঘুমের ক্ষতি করে না।
*মরিচ বা সর্ষে বাটা দেয়া খাবার রাতে না খাওয়াই ভালো। এতে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রসুনকে ‘হট হার্ব’ বলা হয় যা খেলে অম্বল আর বুক জ্বালার সমস্যা হতে পারে।
*রাতে চিজ খেলে দুঃস্বপ্ন দেখবেন। চিজে থাকা রাসায়নিক ব্রেনকে স্টিমুলেট করে আর আপনাকে সারা রাত জাগিয়ে রাখতে পারে। কারো কারো আবার মাইগ্রেনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে চিজ খাওয়ার ফলে।
*পাস্তাতে উচ্চ মাত্রায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে যেটা আপনার রক্তে সুগারের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলবে। ফলে ভালো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা অনিবার্য।
...অনেকেই হয়তো জানেন ঘুম স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাতে অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি। এছাড়া ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে অন্তত ডিনার সেরে ফেলার চেষ্ট করুন। তাহলেই ভালো ঘুম হবে। আর সকাল বেলা ফ্রেশ মন নিয়ে শুরু করুন নিজের কাজকর্ম।