Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের উপায়

প্রতিনিয়ত ডায়াবেটিকস বেড়েই চলছে। দিনদিন মহামারী আকার ধারণ করছে রোগটি। তবে নিয়ম মেনে চলতে পারলে ডায়াবেটিকস অবশ্যই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

প্রি-ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ:
বিশ্বের অনেক দেশেই ২৫% লোকের বেশি রয়েছে প্রি ডায়াবেটিকস।আমাদের দেশেও কম নয় কোন অংশে। রক্তে সুগারের পরিমান বেশী তবে ডায়াবেটিকসে পৌছায়নি । তবে রক্তে সুগারের পরিমাণ ৮ মাত্রার বেশী থাকলে ১০ বছরের ভিতরে ডায়াবেচিকস হয়ে যাবে । অনেকে আবার রক্তে সুগারের মাত্রা বেশী দেখলে না খেয়ে অতিরিক্ত ব্যায়াম করে শরীরের ওজন কমিয়ে প্রি-ডায়াবেটিকস ঠেকাতে চান। কিছু কিছু অভ্যাস শারীরিক চর্চা করলে প্রি-ডায়াবেটিকস থামানো যায়।

ওজন কমানো:
শরীরের উচ্চতা ও গঠন অনুযায়ী ওজন কন্ট্রলে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট ওজন থেকে ৫-১০ কেজি বেশী ওজন হলে তা শরীরের জন্য ঝুকিপূর্ন। নিয়মিত শারীরিক ব্যয়াম কররে ওজন কমানো সম্ভব। তাছাড়া কম ক্যালরী যুক্ত খাবার খেয়েও ওজন কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।

শাক -সবজি খাওয়ার অভ্যাস:
যতটা সম্ভব শাক-সবজি খেতে হবে। শর্করা কাওয়ার আগে শাক সবজি, সালাদ খেয়্ওে রক্তের সুগার কন্ট্রলে রাখা যায়।

হাটার অভ্যাস:
ডায়বেটিকস বা প্রি-ডায়াবেটিকস লোকের হাটার বিকল্প নেই। গবেষনায় দেখা গেছে যারা দৈনিক ৪ ঘন্টা ব্যায়াম বা ১ ঘন্টা নিয়মিত হাটে তাদের ডায়াবেটিকস হওয়ার ৮০% ঝুকি কমেছে। হাটলে বা ব্যয়াম করলে শরীরের কোষে ইনসুলিন রিসেপটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

খাদ্যাভ্যাস:
সঠিক খাবার বেছে খেলে স্লিম থাকা যায়। রক্তের সুগার ও কন্টলে থাকে। আশ যুক্ত খাবার খাওয় ভালো যেমন: ভট্টা, যব, গম , আটা, ঢেকিছাটা চাল, ইত্যাদি। চিনিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা আবশ্যক যেমন: ব্রাউন সুগার, গ্লুকজ, গুড়, চিনি. যতটা সম্ভব মাছ খাওয়ার অভ্যাস করুন তেল যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কফি বা গ্রীণ টি খেতে পারবেন তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া।

দু:চিন্তা না করা:
যতটা সম্ভব নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখতে হবে । দু:চিন্তা শুধু ডায়াবেটিকস্ ই না উচ্চ রক্তচাপ ঘটাতেও সক্রিয় কাজ কাজ। তাই চিন্তা না করে স্বাভাবিক ভাবে চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

ঠিকমতো ঘুমানো:
ঠিকমতো ঘুম না হলে হাজারও রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই নিয়মকরে দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। নিয়মিত ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে থাকবে কাজে মন বসবে না। কোন কিছু ভালো লাগবে না। রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে । রক্তের সুগার বাড়তে পারে। সুতরাং নিয়মিত ঘুমানো অনেক গুরত্বপূর্ণ।