ভুলে যাওয়া বিষয়টি খুবই সাধারণ একটি প্রক্রিয়া। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের স্মৃতি দুর্বল হয়ে যায়। তবে সময়ের এই প্রভাবকে একটু দীর্ঘায়িত করা যায়। হার্ট, ফুসফুস, পেশির যত্নের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ থাকতে হলে খেয়াল রাখতে হবে আপনার মস্তিষ্কের দিকেও। এখানে এমন কয়েকটি খাদ্যের কথা উল্লেখ করা হলো যা আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
তেলযুক্ত মাছ: তেলযুক্ত মাছ বেশি করে খান। মাছের তেলে থাকে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা অন্য খাবারে পাওয়াই যায় না বলতে গেলে ।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে এটি অনেক উপকারি। এছাড়া মাছের তেলে আছে EPA (eicosapentaenoic acid) ও DHA (docosahexaenoic acid)। যা মেধা বাড়ানোর জন্য খুবই উপকারি।
টমেটো: টমেটোতে Lycopene নামে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ব্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোর জন্য উপকারি।
কুমড়ার বীজ: প্রতিদিন একমুঠো মিষ্টিকুমড়ার বীজ জিংকের চাহিদা মেটাতে পারে, যা স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি বাড়াতে অত্যাবশ্যক।
ব্রোকলি: ব্রোকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ‘ভিটামিন কে’, যা মেধা ও স্মৃতি বর্ধক।
বাদাম: বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’ যা মস্তিষ্কের সমন্বয় সাধনের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। যে কোনো ধরণের বাদামই অনেক উপকারি।
রাতে ঘুমানোর আগে অথবা একদম সকাল হল বাদাম খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়।
গ্রিন টি: গ্রিন টিতে আছে পলিফেনল যার কারণে তৈরি হয় ইতিবাচক। পরীক্ষায় বা যেকোনো ক্ষেত্রে ভালো ফলাফলের জন্য অবশ্যই নেতিবাচক
মনোভাব দূর করে আত্ম্যপ্রত্যয়ী করতে গ্রিন টি ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
ডিম: যারা নিয়মিত ডিম খেয়ে থাকেন তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যদের থেকে ভালো হয়ে থাকে কারণ ডিমের কুসুমে থাকে কোলাইন যা স্মৃতিবর্ধক ।
ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে ৭৫% কোকো থাকে। সাধারণ অন্য কোন চকোলেটে এই পরিমাণ কোকো থাকেনা। পরিমিত ডার্ক চকোলেট খেলে আপনার এনার্জি বাড়বে এবং ফোকাসও বাড়বে। কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহনে এটি আপনাকে উত্তেজিত করে ফেলতে পারে।
ডালিমের জুস: ডালিমের জুসে থাকে এন্টি অক্সিডেন্ট যা ফ্রি রেডিকেল এর বিরুদ্ধে কাজ করে । এই ফ্রি রেডিকেল মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।