Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

শ্রেয়সী

১০ বছর আগে লিখেছেন

সর্বহারা প্রেম

একদিন ক্ষণিক বিচ্ছেদের অশ্রু দেখে বলেছিলে,
“তোমার চোখের জলের প্রতি ফোঁটার গভীরতা ভালবাসার।”
সেই যে একসাথে চাঁদ দেখা মুহূর্তগুলো,
পায়ে পায়ে জল ছুঁই ছুঁই ইচ্ছেরা-
সময় ফুরালে, ব্যথার শ্মশানে মৃত মনের ছাইটুকু পড়ে থাকে
সেটুকুই স্মৃতি।
স্বপ্ন-মাংসে মোড়া কারাগারবাসী অতৃপ্ত আত্মার
অতৃপ্তির গভীরতা ঘৃণা, আক্ষেপ আর আত্মগ্লানির।
আমি তাকে ভুল করে প্রেম ভাবি, ভাবি মুগ্ধ প্রাণের প্রকাশ।
কখনও হার মানতে না শেখা এক সৈনিকও-
শান্তি, স্নেহ আর প্রেমের কাছে পরাজিত হয় শেষমেশ।

নারীর সিঁথির ছায়ায়-
সিঁদুর তো কুমারিত্ব হারানোর প্রতীক!
আমি তো সর্বহারা প্রেমী,
এ প্রেম- এ পরাজিত প্রেম- আমি তোমাকে দেবো না প্রিয়।
কিছুতেই না।।
continue reading
Likes ২৮ Comments
০ Shares

Comments (28)

  • - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    বুরুজ আলীর দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু গল্পের ক্লাইম্যাক্স তৈরি করেছে। দুই পর্ব মিলিয়ে গল্পটি চমৎকার। আমি প্রিন্ট মিডিয়ার অনেক গল্প পড়ি। অনলাইনেও গল্প আমার প্রথম পছন্দের। তোমার এই গল্পটি সেসব গল্পের পাশে রেখে নাম্বারিং করলে চোখ বুজে ১০০তে ৮০/ ৮৫ নম্বর দেওয়া যায়। 

    একটা কথা। ১ম পর্বের মন্তব্যে যা বলেছিলাম, এই গল্পে উপন্যাসের বৃহত্তর ক্যানভাস সুস্পষ্ট। আরও কিছু চরিত্র ও ঘটনা তৈরি করে অনুচ্ছেদওয়ারী লিখলে এটি একটি সুলিখিত উপন্যাস হতে পারে। চমৎকার গল্পের জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় ঘাস ফুল। লিখতে থাকো। তুমি সফল হবে, এ বিশ্বাস আমার আছে।

     

    • - ঘাস ফুল

      আপনার মতো লেখকের এমন মন্তব্য আমার কাছে হাতে আসমান পাওয়ার মতো হেনা ভাই। ইচ্ছা করলে এই গল্পটাকেই আরও বৃহৎ আকারে উপস্থাপন করা যেত কিন্তু আমি হলাম অলস ব্লগার। তাই বেশী বড় করে লেখার ইচ্ছা হয় না হেনা ভাই। আপনার এই মন্তব্য হয়তো ভবিষ্যতে আমাকে বড় কোন লেখা লেখতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ হেনা ভাই। শ্রদ্ধা আর সালাম নিবেন। 

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    গল্পটা মনযোগ দিয়েই পড়লাম, প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্ব। কিন্তু, আলোর মা'কে দেখে কান্নার কারণটা বুঝতে পারলাম না। আবার দেখে আসি, প্রথম পর্বটা। 

    • - ঘাস ফুল

      আপনাকে একজন মনোযোগী পাঠক হিসাবে পেয়ে নক্ষত্রব্লগ নিঃসন্দেহে উপকৃত হয়েছে। আপনার পদচারনায় নক্ষত্রব্লগ আরও আলোকিত হবে। কান্নার কারণটা ইতিমধ্যেই নিজেই আবিষ্কার করে ফেলেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার মতো পাঠকই সবাই খুঁজে বেড়ায়। ধন্যবাদ যূথী। 

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    এইবার বুঝেছি। ভালো করে পুনরায় পড়ে দেখলাম। 

    • - ঘাস ফুল

      উদ্ধার করেছেন জেনে খুশি হলাম যূথী। ধন্যবাদ। 

    Load more comments...

শ্রেয়সী

১০ বছর আগে লিখেছেন

ঈশ্বর-পৃথিবী-ভালবাসা

অনেক দিনের পরে আজ আবার আমার গোপন সমরাস্ত্র হাতে তুলে নিলাম। তবে, এবার পদ্যের কোমলতা ছেড়ে, গদ্যের মধ্যে দিয়েই শুরু হোক ছন্দপতন।
আজকাল, বড় বেশি মাথা চারা দিয়ে উঠেছে যে শব্দটা, তার নাম “বিশ্বায়ন”! বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিবিদ্যার কল্যাণে বিশ্ব আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। অথচ, কি অদ্ভুতভাবে এই বিশ্বায়নের মোড়কে মুড়ে মানুষ আজ প্রতিনিয়ত আত্মকেন্দ্রে ঘুরপাক খায়! খবরে খবরে “সেলিব্রিটি”দের অন্দরের খবর পাওয়া যায়, পাশের বাড়ির মৃতপ্রায় মানুষটার খোঁজ পাই না। সোমালিয়া-ইথিওপিয়া দারিদ্রের চরম সীমায় পৌঁছায়। এক মুঠো খাদ্য যেখানে দিবাস্বপ্নের মতো, এক ফোঁটা জলের জন্য সেখানের মানুষগুলো মাসের পর মাস শুষ্ক মরুপথ পায়ে হেঁটে পাড় হয়ে যায়। পথেই জীবন,পথেই মরণ। মা তাই তার ধুকধুক করে বেঁচে থাকা সদ্য-প্রসূত সন্তানটিকে ফেলে দিয়ে যায়, পথের প্রান্তে,মৃত্যুর গ্রাসে! তবু, খাদ্য নেই, বস্ত্র নেই, বাসস্থান নেই, মুক্তি নেই, বন্ধনও নেই। আছে শুধু নিরন্তর এগিয়ে চলার মরণপণ। আছে বিশ্বায়ন।
এদের দায়িত্ব কার? ক্লাসের ভালো ছাত্র হিসেবে খ্যাত আমার এক পরিচিত আমায় উত্তর দিয়েছিল, “এইসব সেন্টিমেন্টাল ডায়লগ মিটিং-মিছিলে ভালো চলে রে, বাস্তব পরিস্থিতিতে নয়। এইসব ‘দায়’ তোর-আমার মতো সাধারণ মানুষের নয়। এসবের জন্য তো দেশের সরকার, এন.জি.ও., স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো রয়েইছে। তাই না?” আমি সেইদিন এর কোন উত্তর দিতে পারিনি। মনে মনে ভেবেছিলাম, কবে কোন এন.জি.ও. দল এই দুস্থ মানুষগুলোর প্রয়োজনের চেয়েও নগন্য কিছু খাদ্য-জল বা ওষুধ নিয়ে সেখানে পৌঁছাবে,তবে হয়তো বরাত-জোড়ে অভুক্ত কয়েকটি প্রাণের এক একদিন ক’রে আরও কিছুদিনের দিন গুজরান হবে। পথের প্রান্তে একটা মৃত মায়ের শরীর পড়ে থাকবে। আর তার পাঁজর সর্বস্ব বুকের ভেতর মুখ দিয়ে একটা ছয়-সাত মাসের জীর্ণ প্রাণ একফোঁটা দুধ পাওয়ার আশায় জীবনের শেষ শক্তিটুকুও ব্যয় করে দেবে। তারপর হয়তো, শুরু হবে শকুনের মহাভোজ। কেউ... continue reading
Likes ১২ Comments
০ Shares

Comments (12)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    সুন্দর কবিতা

    • - একজন আরমান

      ধন্যবাদ পাশা ভাই।

      ভালো থাকুন। 

    - সনাতন পাঠক

    শুভেচ্ছা

    কবিতা ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

    • - একজন আরমান

      ধন্যবাদ রোদ ছায়া। :)

      ভালো থাকুন। 

    - ইখতামিন

    হয়তো তারাও কোন এক সময় ভেঙ্গে যাবে

    হয়তো এই আশাদের কখনও রাত্রি পোহাবে না

    • - একজন আরমান

      ধন্যবাদ ইখতামিন ভাই। আপনাকে এখানে দেখে ভালো লাগছে। :)

      ভালো থাকুন। 

    Load more comments...

শ্রেয়সী

১০ বছর আগে লিখেছেন

ব্যক্তিগত জীবন

আমি জানি, তুমি শুধুই আমার জন্য এসেছিলে।
আমিও।
অথচ, সম্পর্কের নিরিখে ‘ব্যক্তিগত’ শব্দটা-
আভিধানিক হওয়াই উচিৎ ছিলো।
অজান্তেই তুমি-আমি-আমাদের স্বপ্ন-প্রেম-শরীর
পাশাপাশি অস্পৃশ্যের মত হেঁটে গেছে।
আমাদের মরণ নেই। মালিন্য নেই। শুধু সত্যের ধূসরতা।
মিথ্যের আবরণ।
পরস্পরকে ছোঁয়ার ছুতোয় আমাদের জন্ম।
তারপর থেকে, শুধুমাত্র নিজেদের জন্যই
আমরা পরস্পরকে ছাড়া অনেক নক্ষত্র যুগ বেঁচে আছি।।
continue reading
Likes ১৮ Comments
০ Shares

Comments (18)

  • - প্রহরী

    দারুন আইডিয়া। এইতো ভালো হরতালে যখন রাজপথ খালি থাকবে তখনই তো গল্প জমে উঠবে।

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার ব্লগে আসার জন্য। ভাল থাকবেন সতত

    - এম রহমান

    কবিতার মাধ্যমে ইচ্ছার বহিপ্রকাশ

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    চলো অবিরাম হাটি

    বাহ কি সুন্দর আহবান

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ পাশা ভাই। ভাল থাকবেন

    Load more comments...

শ্রেয়সী

১০ বছর আগে লিখেছেন

কবি

কবিতা যা লিখতে চেয়েছি,
লেখা হয় নি।
রাতভোর কলম ঠুকেছি টেবিলে, অকারণ।
ভোররাতে উসকো-খুসকো চুলে ঘাড় উঁচু করে
আকাশ দেখেছি শুনশান।
সমস্ত জীবন হাতড়ে হাতড়ে যন্ত্রণাময় শেষ শব্দস্রাব-
‘একা’, ‘একা’ এবং ‘একা’।
সমস্ত পৃথিবীকে ঘিরে একটাই বাস্তবতা অস্তিত্বশীল।
শূন্যতা। অসীম শূন্যতা।
 
আমার আর কিছু লেখার নেই।।
continue reading
Likes ২৭ Comments
০ Shares

Comments (27)

  • - লুব্ধক রয়

    আমরা চাই সুন্দর স্বদেশ। শান্তিপুর্ন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    আপনার সুন্দর গঠন মুলক লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    কিছু কথা বলতেই হয়

    ১। যদি নিজেদের মধ্যে দেশপ্রেম সততা,আর বিশ্বস্থতা থাকে তাহলে তত্বাবধায়কের কোন প্রয়োজন নেই।

    ২। যদি ক্ষমতার জন্য লড়াই হয় তাহলে তত্বাবধায়ক দিয়েই বা লাভ কি? যারা তত্বাবধায়কের  সদস্য হবেন তারাও তো মানুষ। উনারাও পথ ভ্রস্ট হতে পারে।

    ৩। তত্বাবধায়ক কেন প্রয়োজন? অথ্যার্ৎ যারা ক্ষমতাবান অথবা ক্ষমতায় যেতে চান তারা সৎ নন। তবে কি কত গুলি অসৎ লোককে ক্ষমতায়ন করাবার জন্য সৎ লোকের সাময়িক দায়িত্ব গ্রহন। ব্যপারটাকি এইরকম নয়?

    বিষয় গুলি ভাবনার। দেশকে ভালবাসার জন্য ক্ষমতায় যেতে হয়না। যে ব্যক্তি দেশকে ভালো বাসে সে তার অবস্থান থেকেই দেশপ্রেম দেখাতে পারেন।

    • - আ,শ,ম এরশাদ

      আমার পুরা পোস্ট এর অনেকটা সামারী আপনার কথা গুলো। thanks

    - ঘাস ফুল

    আমাদের দেশে রাজনীতিবিদরা যেমন পরাজয় মেনে নিতে পারেন না আবার ঠিক তেমনি অন্যের জয়ও সহ্য করতে পারেন না। সবাই চায় চিরস্থায়ী ভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে। আর এটা করতে যেয়ে নিজেদের ইচ্ছা মতো সংবিধান বা আইন নিয়ে কাটাকুটি খেলা খেলে থাকেন। যত দিন পর্যন্ত তাদের এই মন মানসিকতার পরিবর্তন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত শুধু তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকার কেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারও আমাদের দেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। ক্ষমতা হাতে পেলে সহজে এদের কেউ ছাড়তে চায় না। বিরোধী দলের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত যা-ই হোক না কেন, নিজেকের সুবিধা মতো কিছু একটা করা চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, সেই সুবিধাটুকু বেশীর ভাগ সময়ই কাজে লাগে না। কারণ আমাদের দেশের প্রতিটা তন্ত্রের সাথে আরও একটা তন্ত্র আছে, সেটা হল বেঈমানতন্ত্র। এরা সব সময় যেদিকে বৃষ্টি, সে দিকেই ছাতা ধরে। আপনার কথাও ঠিক, “আমাদের নির্বাচিত শাসকদের তথা রাজনৈতিক দল গুলার মধ্যে যতদিন না জেন্টেলম্যান এটিচুড় অথবা চুড়ান্ত গণতান্ত্রিক মানসিকতা আসবে না ততদিন কোন ব্যবস্থাই কার্যকর হবে না।” 
    বেশ গোছানো এবং যুক্তি বহুল একটা পোষ্ট। খুব ভালো লাগলো। কারণ অনেক কিছু জানলাম এবং বুঝলাম। ধন্যবাদ এরশাদ ভাই।