একদিন ক্ষণিক বিচ্ছেদের অশ্রু দেখে বলেছিলে,
“তোমার চোখের জলের প্রতি ফোঁটার গভীরতা ভালবাসার।”
সেই যে একসাথে চাঁদ দেখা মুহূর্তগুলো,
পায়ে পায়ে জল ছুঁই ছুঁই ইচ্ছেরা-
সময় ফুরালে, ব্যথার শ্মশানে মৃত মনের ছাইটুকু পড়ে থাকে
সেটুকুই স্মৃতি।
স্বপ্ন-মাংসে মোড়া কারাগারবাসী অতৃপ্ত আত্মার
অতৃপ্তির গভীরতা ঘৃণা, আক্ষেপ আর আত্মগ্লানির।
আমি তাকে ভুল করে প্রেম ভাবি, ভাবি মুগ্ধ প্রাণের প্রকাশ।
কখনও হার মানতে না শেখা এক সৈনিকও-
শান্তি, স্নেহ আর প্রেমের কাছে পরাজিত হয় শেষমেশ।
নারীর সিঁথির ছায়ায়-
সিঁদুর তো কুমারিত্ব হারানোর প্রতীক!
আমি তো সর্বহারা প্রেমী,
এ প্রেম- এ পরাজিত প্রেম- আমি তোমাকে দেবো না প্রিয়।
কিছুতেই না।।
Comments (28)
বুরুজ আলীর দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু গল্পের ক্লাইম্যাক্স তৈরি করেছে। দুই পর্ব মিলিয়ে গল্পটি চমৎকার। আমি প্রিন্ট মিডিয়ার অনেক গল্প পড়ি। অনলাইনেও গল্প আমার প্রথম পছন্দের। তোমার এই গল্পটি সেসব গল্পের পাশে রেখে নাম্বারিং করলে চোখ বুজে ১০০তে ৮০/ ৮৫ নম্বর দেওয়া যায়।
একটা কথা। ১ম পর্বের মন্তব্যে যা বলেছিলাম, এই গল্পে উপন্যাসের বৃহত্তর ক্যানভাস সুস্পষ্ট। আরও কিছু চরিত্র ও ঘটনা তৈরি করে অনুচ্ছেদওয়ারী লিখলে এটি একটি সুলিখিত উপন্যাস হতে পারে। চমৎকার গল্পের জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় ঘাস ফুল। লিখতে থাকো। তুমি সফল হবে, এ বিশ্বাস আমার আছে।
আপনার মতো লেখকের এমন মন্তব্য আমার কাছে হাতে আসমান পাওয়ার মতো হেনা ভাই। ইচ্ছা করলে এই গল্পটাকেই আরও বৃহৎ আকারে উপস্থাপন করা যেত কিন্তু আমি হলাম অলস ব্লগার। তাই বেশী বড় করে লেখার ইচ্ছা হয় না হেনা ভাই। আপনার এই মন্তব্য হয়তো ভবিষ্যতে আমাকে বড় কোন লেখা লেখতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ হেনা ভাই। শ্রদ্ধা আর সালাম নিবেন।
গল্পটা মনযোগ দিয়েই পড়লাম, প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্ব। কিন্তু, আলোর মা'কে দেখে কান্নার কারণটা বুঝতে পারলাম না। আবার দেখে আসি, প্রথম পর্বটা।
আপনাকে একজন মনোযোগী পাঠক হিসাবে পেয়ে নক্ষত্রব্লগ নিঃসন্দেহে উপকৃত হয়েছে। আপনার পদচারনায় নক্ষত্রব্লগ আরও আলোকিত হবে। কান্নার কারণটা ইতিমধ্যেই নিজেই আবিষ্কার করে ফেলেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার মতো পাঠকই সবাই খুঁজে বেড়ায়। ধন্যবাদ যূথী।
এইবার বুঝেছি। ভালো করে পুনরায় পড়ে দেখলাম।
উদ্ধার করেছেন জেনে খুশি হলাম যূথী। ধন্যবাদ।