Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

হিমু বৌখ্রি

৮ বছর আগে লিখেছেন

স্মৃতির ভাব-সম্প্রসারণ(প্রতিযোগিতা/২০১৬, ক্যাটাগরী-১, ৩য় পর্ব)

একদিন তুমি হঠাৎ করে এসে বললে,
আমায় এমন একটা কিছু দিতে পারবে-
যা দিয়ে কেটে দিতে পারব এই এক জনম?
আমি শুধু হেসেছিলাম, চেয়েছিলাম আকাশের দিকে,
আকাশ রঙ বদলায়, মেঘেদের কত-না নীরব পরিবর্তন।
তুমি বললে, কিছু বলছোনা যে!
কি বলবো?
আকাশ দিলাম, বুঝে নাও আকাশের লেনদেন।
আমিতো তোমার কাছে চেয়েছি, আকাশের কাছে নয়।
আমি আবারও হাসলাম, বললাম, ভেবে নাও আমি আকাশ।
তুমি বললে, তুমি কি পাতাল হতে পার না? দিবে কি বাস্তব অঙ্কুর!
আমি কান পেতেছিলাম জমিনে, মাটির নিচে পানির কলকল শব্দ-
শব্দের মাঝে স্বপ্নের এক একটা অঙ্কুর।আমি হলাম অঙ্কুর-
তোমায় দিলাম বাস্তবতা; পায়ের শিকল ভেবে বেঁধে নাও, বাজবে অবিরাম।
থাম প্লীজ থাম, যতসব হিপ্নোটাইজ কার্যক্রম- আমার চাওয়াটা হয়েছে ভুল।
আমি আবারো হাসলাম, বললাম; একদিন তুমি গল্প হবে, গল্প থেকে কবিতা
আর ঠিক সেইদিন বুঝবে, তুমি যা চেয়েছ তা পেয়েছ, একের অধিক-
অধিকের চেয়ে এক।
সেদিন আমি থাকবো না, থাকবে না এই আকাশ-পাতাল
থাকবে আমার নাম শ্রী যুক্ত বড় বড় অক্ষরে তোমার বুকের উপরে; পাহাড় সমান-
পাহাড়টা হবে নিজেকে লুকানোর দেয়াল, আর আমি হব তোমার সকল চাওয়ার-
স্মৃতির ভাব-সম্প্রসারণ। continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - কাল বৈশাখী ঝড়

    শারদীয় শুভেচ্ছা... 

    - প্রলয় সাহা

    শারদ শুভেচ্ছা আপনাকেও

    • - গোখরা নাগ

      শারদীয় শুভেচ্ছা জানালাম... emoticons

হিমু বৌখ্রি

৮ বছর আগে লিখেছেন

যুবতী রাত

যুবতীর আছে রাতের আকাশ
চাঁদের শহরে দেখা মেলে অজস্র তারার।
ধরতে গেলেই রাত শুভ্র ভোরের বুকে ঢলে পড়ে-
আলতো সময়গুলো হয়ে যায় পার।
প্রভাতী গান গায় কমনীয় দেহের
আমি কে,সারা রাত ছিলাম কার?
তা অতীতের গায়ে দেয় সাক্ষর
বলে, স্মৃতি আর সংসারের কথা
তার কথা-তাদের কথা; কিন্তু আমি কে বা কার!       continue reading
Likes Comments
০ Shares

হিমু বৌখ্রি

৮ বছর আগে লিখেছেন

মনের গোপন সংলাপ

ছোট্ট একটি কথা। গল্প নয় ,কবিতা নয় ,শুধুই একটা কথা তোমাকে বলতে মন ভীষণ চায়। ইচ্ছে করে তোমার আশে-পাশে সারাদিন ঘুরতে। ইচ্ছে করে তোমার স্বপ্নে ডুব দিতে। যাতে খুব সহজেই মরে যেতে পারি। সাঁতার না জানায় হাবুডুবু খেয়ে মরবো। তাতে না পাওয়ার বেদনাটা মুছে যাবে। মাঝে মাঝে খুব বলতে ইচ্ছে করে ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি। যদিও এই শব্দটার কোন চরিত্র নেই তোমার কাছে। পুরোপুরি একটা উর্মাদ ছেলের মতো হঠাত্ এসে হঠাৎ দোলা দিয়ে হাওয়ার মাঝে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায় দূর বহুদূর। মাঝে মাঝে নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হয়। এই যে তোমাকে ভালো লাগলো হঠাৎ রাস্তার সস্তা ছেলেদের মতো সরাসরি বলে দিয়েছি ভালোবাসি। যদিও না বলে দিয়েছো। তাতে কি সবাই শুধুই হ্যাঁ শুনতে চায়; আমি না হয় না টা শুনলাম। তোমার না বলাটা আমার কাছে হ্যাঁ এর মতই।এই কয়েকটা দিন আমায় দেখেছো? দেখোনি কেনো জানো? আমি চাইনা তুমি আমাকে ভাবো ,অভদ্র ঘরের অভদ্র সন্তান। না আমি গরীব ঘরের এক অন্যরকম সন্তান। যখন যা ইচ্ছে হয় তখন তা করি।তোমার প্রতিমূর্তি যখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তখন মনে হয় যমরাজ এসে আমার আত্মাটা নিয়ে যাচ্ছে। হৃদ স্পন্দন কিছু সময় নিয়েছে তার ক্লান্তিকে দূর করতে। তার পরেই আমি বুঝে যাই "তোমার 
প্রত্যেকটা পদক্ষেপ,আমার এক একটা হৃদ স্পন্দন"। কথাটা মিথ্যে ভেবো না। আর যদি ভাবো তাহলে বলবো, আমি সেই জীব যার গলা কাটা হলো ক্ষানিক সময় আগে। একদিকে রক্তদের উণ্মূক্ত ক্রন্দন  অপরদিকে শরীরে অসহ্য যন্ত্রনা। শুধু একটু জল দাও! তৃষ্ণাত্ব গলাটা ভিজিয়ে নিই। ভিজিয়ে কি লাভ হলো? জলতো সব বের হয়ে যাচ্ছে কাটা জায়গা দিয়ে। একসময় ক্লান্তিকে ডেকে বলবো, আমাকে বিদায় দাও, আমি চলে যেতে চাই। যেখানে থাকবে না কোন প্রিয় আকাঙ্ক্ষা। যেখানে তোমার নাম হঠাত্ শুনে ঘুম ভাঙ্গবেনা আমার। আমি এই ছেলেটি আর কোনদিন পথে দাঁড়িয়ে থাকবো না তোমার মুখ 
থেকে ভালোবাসার কথাটা শুনার অপাক্ষায়। হয়তো-বা পথে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতাম, ঐ জায়গায় স্মৃতিটুকু থাকবে। তবে পরে এই স্মৃতিটুকুও বৃষ্টির জলে মুছে ধূলোর সাথে গড়াগড়ি খাবে। তুমি হয়তোবা জেনেও না জানার ভঙ্গ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - সুমন সাহা

    কতগুলো সেরা ও প্রিয় লেখার মধ্যে এটিও স্থান নিলো।

    //কোথায় একান্ত-ই আমার তুমি নারী!//

    অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ! দাদা। emoticons

    • - প্রলয় সাহা

      emoticons ধঅন্যবাদ দাদা। 

    - মাসুম বাদল

    তেরো গজ > হাত...। 

     

     

    emoticons

    • - প্রলয় সাহা

      ঠিক আছে দাদা। 

    - আলমগীর সরকার লিটন

    সুন্দর দাদা

    Load more comments...

হিমু বৌখ্রি

৮ বছর আগে লিখেছেন

যদি তুমি ফিরে না আসো – শামসুর রাহমান

তুমি আমাকে ভুলে যাবে, আমি ভাবতেই পারি না।
আমাকে মন থেকে মুছে ফেলে
তুমি
আছো এই সংসারে, হাঁটছো বারান্দায়, মুখ দেখছো
আয়নায়, আঙুলে জড়াচ্ছো চুল, দেখছো
তোমার সিঁথি দিয়ে বেরিয়ে গেছে অন্তুহীন উদ্যানের পথ, দেখছো
তোমার হাতের তালুতে ঝলমল করছে রূপালি শহর,
আমাকে মন থেকে মুছে ফেলে
তুমি অস্তিত্বের ভূভাগে ফোটাচ্ছো ফুল
আমি ভাবতেই পারি না।
যখনই ভাবি, হঠাৎ কোনো একদিন তুমি
আমাকে ভুলে যেতে পারো,
যেমন ভুলে গেছো অনেকদিন আগে পড়া
কোনো উপন্যাস, তখন ভয়
কালো কামিজ প’রে হাজির হয় আমার সামনে,
পায়চারি করে ঘন ঘন মগজের মেঝেতে,
তখন
একটা বুনো ঘোড়া খুরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে আমাকে,
আর আমার আর্তনাদ ঘুরপাক খেতে খেতে
অবসন্ন হয়ে নিশ্চুপ এক সময়, যেমন
ভ্রষ্ট পথিকের চিৎকার হারিয়ে যায় বিশাল মরুভূমিতে।
বিদায় বেলায় সাঝটাঝ আমি মানি না
আমি চাই ফিরে এসো তুমি
স্মৃতি বিস্মৃতির প্রান্তর পেরিয়ে
শাড়ীর ঢেউ তুলে,সব অশ্লীল চিৎকার
সব বর্বর বচসা স্তব্দ করে
ফিরে এসো তুমি, ফিরে এসো
স্বপ্নের মতো চিলেকোঠায়
মিশে যাও স্পন্দনে আমার।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - সুমন সাহা

    তাই আমাদের একমাত্র কাজ এখন শুধুই প্রার্থনা।
    চারদিকে তাকিয়ে আমি অজস্র শক্তিশালী মুখমণ্ডল দেখতে পাই,
    তখন আর একথা অস্বীকার করতে পারিনা।

     

    ভালো লাগলো।

হিমু বৌখ্রি

৮ বছর আগে লিখেছেন

বেতারে খবর ঝরে -আহমদ ছফা

বেতারে খবর ঝরে,
তাজা খুন; কাঁচা প্রাণ ঝরে
ভিয়েৎনামে; পথে পথে
নগরে বন্দরে, বনে বনান্তরে
রক্ত ঝরে, রক্ত ঝরে
তপ্ত রক্ত ঝরে।
জিঘাংসার জটা মুক্ত সাগ্নিক নিঃশ্বাসে মূর্ত
মমচেরা কামনার বেশুমার নিহত মুহূর্ত
অকস্মাৎ আগ্নেয় ঝলকে
দুর্মর চেতনারশ্মি দুর্জয় প্রত্যয়ে ফুসে
তুলি লক্ষ গোখরার ফণা
দুরন্ত মাভৈঃ সুরে সবল দরাজ কণ্ঠে উদাত্ত ঘোষণা
মার্কিনির বর্বরতা ক্ষমা করিব না।
জন্মে জন্মে যুগে ক্ষমা করিব না
কোটি কণ্ঠে নৃশংস ঘোষণা।
আত্মারে গচ্ছিত রেখে পাপের হারেমে
জোব্বা পরা লম্পটেরা;
নারীর সতীত্ব লুটে বীরত্বের দর্প করে যারা
যারা দুনিয়ার লোভে সত্যসন্ধ মানুষের বেচাকেনা করে,
যাদের পাশব শৈর্যে মানবতা মাথা কুটে মরে,
যাদের নাপাং বোমা ফুলের ফাগুনভরা
   সবুজ পোয়াতি ক্ষেতে আগুন লাগায়,
যাদের জীবানু অস্ত্রে শিশুরা মাছের মত ধুকে ধুকে মরে,
যাদের রকেট ঘাটি ঘুমন্ত চোখের কোণে
     বিভীষিকা আনে,
যাদের হিংসার শরে নিগারেরা নিত্য বিদ্ধ হয়,
যাদের বেনিয়াবুদ্ধি পৃথিবীর উর্বরতা ক্ষুণ্ন হয়,
যারা রাখে জারজের রক্ত মাংসে
   কলুষিত কামনার বীজ;
- সেই ঘৃণ্য দানবের নগ্ন বর্বরতা
ভিয়েতনাম সইবে না, সইবে না দুনিয়ার সংগ্রামী সেনানী।
আফ্রো’শিয়ার গহীন গহনবন, ফেনিল সমুদ্রতীরে।
মরুভর বুক কুঁড়ে অযুত নিযুত কণ্ঠ
বাতাসের হৃদপিণ্ড চিরে চিরে কয়,
- আদিম বর্বর তেজ বলদীপ্ত অহিংস
হৃদয় হিংসায় হিংসায় আজ নব পরিচয়।
তাই ধমনীর শেষে লালে, লিখে যাবো
সংগ্রামের রক্তাক্ত আখর।
॥সূত্র: সংবাদ, ৪ জুলাই ১৯৬৫॥ জানুয়ারি ২০১০
নোট: আহমদ ছফার কবিতাখানি সরবরাহ করিয়াছেন তাঁহার কুলধর লেখক নূরুল আনোয়ার। ইহা প্রকাশিত হয় দৈনিক সংবাদ যোগে ১৯৬৫ সালের জুলাই মাসে। continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মাসুম বাদল

    খুব খুব ভাললাগা জানালাম... emoticons

    - মুদ্রা

    ধন্যবাদ

    - প্রলয় সাহা

    এক কথায় অনবদ্য। emoticons

    • - মুদ্রা

      ধন্যবাদ

    Load more comments...
Load more writings...