Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মোঃ মাতীন পাগলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

হযরত শাহ্‌ জালাল ইয়েমেনী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী

বাংলাদেশ আসাম তথা বৃহত্তর বঙ্গ ইসলামের আলোকে আলোকিত করার  ক্ষেত্রে যাঁর নাম সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং এদেশের সূফি, দরবেশ, আউলিয়াগণের মাঝে যাঁর প্রভাব ও মর্যাদা সবচেয়ে বেশী লক্ষ্যকরা যায়  তিনি  সুলতানুল বাংলা , হযরত মাওলানা শাহ্‌জালাল মুজার্‌রদ ইয়েমেনী রহমতুল্লাহি আলাইহি। এতদঞ্চল ধর্ম-বর্ণ,শ্রেণীনির্বিশেষে জন সাধারণের মাঝে তাঁর প্রতি ভালবাসা ও নামের মাহাত্ম ব্যাপক ও অতুলনীয়।
নামঃ হযরত শাহ্‌জালাল মুজার্‌রদ ইয়েমেনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার  পূর্ণ নাম জালালুদ্দীন জালালুল্লাহ্‌ রহমতুল্লাহি আলাইহি। আপামর জনসাধারণের মাঝে প্রচলিত নাম হযরত শাহ্‌জালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি। ঐতিহাসিক ও জীবনীকারগণের তথ্যগত বিচ্যুতি ও মতভেদের কারনে হযরত শাহ্‌জালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি ও শায়খ জালালুদ্দীন তাবরিজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের জীবনেতিহাস নিয়ে দ্বন্ধ সৃষ্টি হলেও উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে আমরা বলতে পারি যে হযরত শাহ্‌ জালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনিই ইবনে বতুতা বর্ণিত জালালুদ্দীন তাবরিজী রহমতুল্লাহি আলাইহি যা সমসাময়িক এবং পরবর্তি নির্ভর যোগ্য ঐতিহাসিক সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। হযরত শাহ্‌জালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বহুমুখি গুণাবলি ও আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কারনে বাংলার মুসলিম সমাজে  বহু লকব বা গুণবাচক উপাধি দ্বারা বিভূষিত। বিভিন্ন শিলালিপি, ঐতিহাসিক ও মনীষীগণের বর্ণনা ও গবেষকগণের রচনাবলীতে সাধারণত নিম্নলিখিত লকবগুলি পাওয়া যায়ঃ শেখ,শায়খুল মাশায়েখ, কুতুব, মুজার্‌রদ, মখদুম, সুলতানুল বাংলা, আরিফান বুয়দ, কুতুব বুয়দ, মাওলানা, জালালুদ্দীন, তাবরিজী, ইয়েমেনী, কুন্যাভী,তাইজী, সিরাজী, প্রাচ্য-সূর্য, ইত্যাদি। উনার কুনিয়াত হল কোরাইশী। পিতার নামঃ হযরত শাহ্‌জালাল ইয়েমনী রহমতুল্লাহি আলাইহি এঁর পিতার নাম হযরত শেখ মুহাম্মদ তাবরিজী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি একজন কোরাইশ বংশীয় স্বনামধন্য খ্যাতিমান দরবেশ ছিলেন। তিনি প্রখ্যাত দরবেশ হযরত আবু সাঈদ তাবরিজী উনার খলিফা ছিলেন। সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী আজমীরি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মত বুজুর্গ ব্যক্তি হযরত আবু সাঈদ তাবরিজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফয়েজ হাসিল করেন। সুতরাং হযরত আবু সাঈদ তাবরিজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিলাফত পাওয়া যে কোন লোকের জন্য সহজ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - তাহমিদুর রহমান

    সুন্দর পোস্ট। ৭৪ জন দেখেছেন অথচ কোন মন্তব্য নেই! 

    - রব্বানী চৌধুরী

    বেঁচে থাকার জন্য ও জীবন ধারণের বা সুস্থ্য জীবন যাপনের জন্য তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা জানবেন ভালো থাকবেন।

     

    - Azimul Haque

    খুবই উপকারি একটা পোষ্ট। 

    আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

    Load more comments...

মোঃ মাতীন পাগলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী রহঃ

হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রঃ) হযরত মুহম্মদ (দঃ)-এর পরবর্তী সময়ে তার প্রচারিত ইসলামকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব পালন করেন সূফী সাধকরা। তারা নিজেদের জীবনকে সংকটাপন্ন করে সুদূরে পাড়ি জমিয়েছেন এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন যথাযথভাবে। আল্লাহর ইচ্ছাই তাদের ইচ্ছায় পরিণত হয়েছে। তেমনি এক মহান সাধক হলেন হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রঃ)। তিনি ধর্মাকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি তার সাধনার মাধ্যমে এই ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আল্লাহ ও রাসুলের ধর্মকে। হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রঃ )-এর প্রতিষ্ঠিত তরিকাকে বলা হয় চিশতীয়া তরিকা। চিশতীয়া তরিকার আদি মুর্শিদ হলেন হযরত মুহম্মদ (দঃ)। রাসুল (দঃ)-এর আধ্যাত্মিক শিক্ষা হযরত আলী (কঃ) হয়ে হাসান-আল-বসরীর মাধ্যমে অধীনস্ত সিলসিলায় বয়ে এনেছে। চিশতীয়া তরিকার চিশতী উপাধি প্রথম শুরু হয় হযরত খাজা আবু ইসহাক শামী চিশতী থেকে। তিনি সিরিয়ার অধিবাসী ছিলেন।
তিনি তাঁর মুর্শিদের আদেশে আফগানিস্তানের চিশতী নামক স্থানে বসতি স্থাপন করেন। এখান থেকেই তিনি তাসাউফ ও সিলসিলার প্রচার-প্রসার শুরু করেন। চিশতীয়া উপাধি এখান থেকেই শুরু হয়। খাজা বাবা এই তরিকায় সূত্রবদ্ধ হয়ে তরিকার দায়িত্ব পালনের ভার নেন। তাই তিনি এই তরিকার ইমাম ও কুতুব। তিনি ১১৮৫ খ্রিঃ/৫৮১ হিঃ সালে ভারতবর্ষে আগমন করে ইসলামের তওহিদ, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রচার করেন। চিশতিয়া তরিকার ইমাম ও কুতুব হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রঃ) ১১৪২ খ্রিঃ /৫৩৬ হিঃ সালে ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী জেলার সানজারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ গিয়াস উদ্দীন সঞ্জরি (রহঃ) এবং মাতার নাম সৈয়্যেদা উম্মেওয়ারা বিবি (রহঃ)। তিনি পিতৃকুল ও মাতৃকুল উভয়দিক থেকেই ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের বংশধর। খাজাবাবা খাজা উসমান হারুনীর খেদমতে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। দীর্ঘসময় তিনি তার মুর্শিদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন।
মুর্শিদের সান্নিধ্যে তিনি অনেক স্থান ভ্রমণ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    emoticons

মোঃ মাতীন পাগলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

" হযরত বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী র: এর সংক্ষিপ্ত জীবনী "

জন্ম ও শৈশব :
ইসলামী জগতের প্রাতঃস্মরনীয় আধ্যাত্নিক ব্যক্তিত্ব,দরবেশকুল শিরোমনি, বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী র: ১লা রমজান হিজরী ৪৭০ বা ৪৭১ সালে পারস্যের এক বিখ্যাত জনপদ ‘জিলানে’ এ জনপদে জন্মগ্রহন করেন।তার বংশতালিকায় পিতা সাইয়্যিদ শায়খ আবু সালেহ র: এর একাদশতম উর্ধ্বতন পুরুষ হযরত হাসান র: এবং তার মাতা সাইয়েদেনা ফাতেমা র: এর চৌদ্দতম উর্ধ্বতন পুর্বপুরুষ ছিলেন হযরত ইমাম হোসেইন র:। এভাবেই তিনি পিতৃ সুত্রে হাসানী ও মাতৃ সুত্রে হোসাইনী বংশধারার উত্তরসুরী। আব্দুল কাদির জিলানী র: এর পিতা সাইয়্যেদ আবু সালেহ মুসা র: একজন বিশেষ পুন্যবান,কামেল ও বোযর্গ ব্যক্তি ছিলেন। সচ্চরিত্রতা ও আল্লাহ প্রেমের বিবিধ গুন তাহার মধ্যে বিরাজমান ছিল। যৌবন কালে যখন তিনি বিয়ে করেননি তখনকার একটি ঘটনা ! তিনি একদিন নদীর ধারে ক্লান্ত অবস্হায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি দেখলেন একটি আপেন পানিতে ভেষে যাচ্ছে।তিনি ফলটি উঠিয়ে আনলেন ও পরম তৃপ্তিসহকারে ভক্ষন করলেন।কিছুক্ষন পর হঠাৎ তর মনে হল এই ফলটি খাওয়া তাহার ঠিক হলো ? এই ফলের মালিকতো তিনি নন।কোথা হতে এ ফল ভেসে এসেছে কে জানে।তার অনুমতিতো নেয়া হয়নি। তাহলে তিনি কি পরদ্রব্য ভক্ষনজনিত অপরাধ নিয়ে মহা বিচারকের সামনে হাজির হবেন ? যে করেই হোক মালিকের ঠিকানা বের করে মাফ চেয়ে নিতে হবে।তাই তিনি স্রোতের বিপরীত দিকে বিষন্নচিত্তে আপেল ফলের বাগানের সন্ধান করিতে লাগিলেন এবং বাগানের ও বাগানের মালিকের সন্ধান পেলেন।বাগানের মালিক সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ সাউয়েমী র:। তিনিও একজন খোদাভীরু ধর্মপ্রান সাধক।আল্লাহপাকের মারেফতের সাগরে সর্বতাই তিনি নিমজ্জিত থাকেন।তার কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে তার কাছে ক্ষমা চাইলেন যুবক আবু সালেহ।বিস্মিত হলেন বাগানের মালিক।এই যুবকের অন্তরে কি আল্লাহভীতি।একেতো হাত ছাড়া করা যায় না।তিনি বললেন, ‘আপেলেরতো অনেক মুল্য।কি এনেছ তার জন্য ?’... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    জ্বি আপু

    কবিতা সত্যই অ্ন্য রকম লাগল

    শুভ কামনা----------

    - এই মেঘ এই রোদ্দুর

    ধন্যবাদ লিটন ভাই :)

    - রব্বানী চৌধুরী

    মৎকার কবিতার লাইনগুলি, এবং ভালো লাগলো কবিতার কথামালাও,  শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন। 

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      থ্যাংকু রব্বানী ভাই

    Load more comments...

মোঃ মাতীন পাগলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

ইহুদী জাতির পরিচয় :

ইহুদীজাতিরপরিচয় :
ইহুদীদেরপ্রধাননবীহলেনমূসা (আঃ),যারকিতাবহলতাওরাত।ইহুদীরাআল্লাহকেবিশ্বাসকরে, যারনামতাদেরকাছেজেহোভা।এখানথেকেইইহুদীনামেরউৎপত্তি।কারোমতে, ইহুদীদেরঅপরনামবনীইসরাঈল।ইসরাঈলমূলতইয়াকুব(আঃ)-এরঅপরনাম।তাঁরছিলোমোট১২জনসন্তান।১২ভাইয়েরবড়ইয়াহুদারনামানুসারেইবনীইসরাঈলকে ‘ইহুদী’বলাহয়।বনুইসরাঈলরাপথভ্রষ্টহয়েগেলেআল্লাহতাদেরহেদায়াতেরজন্যমূসা (আঃ)-কেতাওরাতসহপ্রেরণকরেন।বনীইসরাঈলেরউপরআল্লাহরছিলঅগণিতনিয়ামত, অফুরন্তঅনুগ্রহ।পবিত্রকুরআনে continue reading
Likes Comments
০ Shares

মোঃ মাতীন পাগলা

৯ বছর আগে লিখেছেন

আমেরিকা, ইসরাইল এবং সৌদি মদদপুষ্ট ISIL এবং ISIS মারছে মুসলমানদের

রকমটিই চেয়েছিল মুসলমানের শত্রু ইহুদী আর খৃষ্টানরা। আর তারা এতে পুরোপুরি সফল। এখন আর কষ্ট করে মুসলমানদের মারতে ইহুদী-খৃষ্টান বাহিনীকে বিপদজনক স্থানে পাঠাতে হয়না। এখন মুসলমানই মারছে মুসলমানদেরকে। এরকমই একটি দল সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপ যাদেরকে সংক্ষেপে বলা হয় আইএসআইএস। যারা মির্কিনী আর সৌদি আর্থিক এবং আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে সাহায্যপ্রাপ্ত। আক্বীদায় তারা সালাফী। তাদের লক্ষ্য সব মুশরিক (এক্ষেত্রে তাদের মত সালাফী নয় এমন মুসলমান, কোন অমুসলিম নয়), সুন্নি শিয়া, কুর্দী মেরে তাদের স্থানে কায়েম করা হবে পিউর সালাফী রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রের পতাকা হবে কাল কাপড়ে লেখা কালেমার তাউহিদ অংশ অর্থাৎ "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ" আর নবী (দঃ) এর আংটির সীল। ছবিতে আপনারা যেমনটি দেখছেন।
§  ISIS-এর আক্বীদা কি?
আক্বীদায় তারা সৌদি সালাফী। অনুস্মরণ করে ওহাবীবাদের প্রতিষ্ঠাটা মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাবকে। তাদের ধর্মীয় আক্বীদায় বাইরে যে কেউ তাদের দৃষ্টিতে মুশরিক। আর মুশরিকদেরকে হত্যা এবং তাদের জান-মাল ছিনিয়ে নেয়া তাদের ফের্কা মতে কেবল জায়েজই নয় বরং অনেক সওয়াবের কাজ। আর এজন্যেই তারা মানুষকে খুন বা জবাই করার সময় কালেমা, আল্লাহু আকবর ধ্বনি আর কুরানের আয়াত পড়ে থাকে।
§  কারা এই আইএসআইএস (ISIS) জিহাদী গ্রুপ?
The Islamic State in Iraq and Sham (ISIS)। পুরনো শাম অঞ্চল আর ইরাক নিয়ে তারা গঠন করতে চায় নতুন সালাফী রাষ্ট্র। তাদের উৎপত্তি মূলত  আল-কায়েদা থেকে। ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর সেখানে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিতে থাকে  ওসামা বিন লাদেনের আল-কায়েদা  আল-কায়েদা আমাদেরই সৃষ্টি : হিলারি ক্লিনটন |http://www.kalerkantho.com/online/world/2014/06/01/91205।২০১৩ সালে ইরাকের আল-কায়েদার প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদী গঠন করে নতুন এই দলটি আইএসআইএস। কখনো কখনো আইএসআইএল নামেও এদেরকে অভিহিত করা হয়। এর কারণ হল শেষের "এল" অক্ষর দিয়ে The Levant অর্থাৎ ইরাক ও... continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...