রূপাইয়ের সাকিন নেই, কী জানি কোথায় ঘুরে বেড়ায়!
সংসারী হয়েছিল, নাকি চিরটাকাল বিবাগী থেকে গেলো,
এতোসব রূপাই জানে; তবু মাঝে-মধ্যে খবর আসে
রূপাই সংসারী গোছানো সংসারে। ওর আঙিনায় এখন
যুঁই-চামেলী ফোটে, শরতে শিউলি ঝরে শিশির সিক্ত হয়ে!
শ্যাওলা জমা পুরানো ঘাটে রূপাই কোন কোন রাতে
আকাশে তারার মাঝে একটি মুখ খুঁজে খুঁজে খুব ক্লান্ত হয়ে
অনিন্দ্যকে নিন্দার কাঁটায় জীর্ণ করে- ‘তুই খুব নিষ্ঠুর,
তোকে ঈশ্বর কোনদিনই ক্ষমা করবেন না অনিন্দ্য।’
রাত বাড়ে, দুঃখের বোঝা খুব ভারি মনে হয় রূপাইয়ের।
কত কথা মনে পড়ে; স্মৃতির ধূলো থেকে অনিন্দ্যকে তুলে
দক্ষিণা বাতাসে বিন্যস্ত চুলে আঙুল জড়াতে জড়াতে রূপাই
আপন মনে বলে, ‘তবুও ভালো থাকিস, সুখে থাকিস তুই!’
অনিন্দ্য রূপাইকে খোঁজে কিশোরীর চঞ্চলতায়, তরুণীর ঠোঁটে
পড়ন্ত বিকেলের রমণীদের মধ্যে রূপাইকে কখনো কখনো
খুঁজেও পায় অনিন্দ্য। তখন বুকের মধ্যে শুধু সানাই বাজে
অনিন্দ্য বলে, ‘তুই আমাকে ভিখেরী বানিয়েছিস রূপাই!’
৩ নভেম্বর, ২০১২
Comments (17)
মান্নান ভাই
আপনি আপনার নামটা বাংলায় করে নেন। প্রোফাইল পরিবর্তন এ গিয়ে নামটা চেন্জ করতে পারবেন।
Dhannobahd,,,,,,,,,vai,,,,,,,,,,
সেই খেলাতেই ডুবছি মজে
আহার নিদ্রা সব গো গ্রাসে, চেতন ফিরলে আবার সেই মেলা
অঙ্গ লুকাই কোন কোন সে আঁধারে, যে আঁধারে অঙ্গ হারায়
হাওয়া জলের না পাই দেখা।
সুন্দর লিখেছেন প্রিয়। শুভ কামনা জানবেন।
dhonnobad,,,kobi vai,,,,,,,,,,