Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

inকলিসয়াম

১০ বছর আগে লিখেছেন

রেখেছ চেতনাময়ী করে, তাল গাছটা সরাও নি

ব্রিটেন এর মাঠিতে, বৃটেনের ফ্ল্যাগ পায়ের মোজায়। পরে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে ভিনদেশী আর নিজ দেশী জনগণ ।
কোনো ধরণের জাতীয় বাদী প্রতিবাদ উঠছেনা , উঠছেনা ফ্ল্যাগ অবমাননার
বিতর্ক। কারণ , এটা ব্রিটিশ জনগণ বা নীতি নির্ধারক কিংবা সুশীল শ্রেনীর কাছে কোনো ঘটনাই না। এদের জাতীগত মূল্যবোধ
এত দ্রুত উঠা নামা করে না। সহজেই জাতীয় অনুভূতিতে খোঁচা লাগে না। মাথার টুপি দেখে শুরু পায়ের মোজায় কোথায় নেই
ফ্ল্যাগ আঁকা বস্ত্র। এমনকি আছে আন্ডারওয়ারেও। তাতেও তাদের লজ্জা লাগে না। কদমের ভিতর একটা বোধ নাড়া দেয়,
He  respects the people of England for this attitude . তাদের জাতীয় বোধ তাদের আত্মার অনেক ভিতরে। এটা সহজেই কেউ অবমাননা করতে পারে না, পারবেও না।

"কদম বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ এর একটা ছোট্ট ছবি নিজেই আঁকে মোজায়। সে মোজা পরে রাস্তায়ও নামে , নেমেই সমস্যা। আদালত ভাই এর চোখে পরে মোজাটা।

-কদম , দেখিত প্যান্ট তা একটু উপরে তুলো
-কেন আদালত ভাই ?
-তুলতে বলছি তুলো।
-অগ্যাত তুলে সে
-তোমার মোজায় আমাদের জাতীয় পতাকার ছবি কেন ?
-ভালো লাগলো তাই।
-তোমার কি জাতীয় পতাকার প্রতি সন্মান নেই, তুমি এভাবে এর অবমাননা করতে পারনা। আজ তোমাদের কারণেই জাতি কলঙ্কিত , তোমাদের কারণেই আজ আমাদের সংস্কৃত বিপর্যস্ত, তোমাকে উচিত পুলিশ এ দেয়া, তোমাকে ইনফ্যাক্ট দেশ হতে বের করে দেয়া উচিত।

আদালত ভাই খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়েন , তার চিত্কার আসে পাশে লোক জড়ো হয়ে যায়। সবাই উত্তেজিত , তারা আজ লজ্জিত। তারাও আদালত ভাইয়ের সাথে সুর মিলায়। হঠাত করে একজন খুব জোরে একটা বাড়ি দেয় কদমের পায়ে । কদম প্রচন্ড জোরে চিৎকার করে উঠে। সাথে সাথেই তার ঘুম ভেঙ্গে যায়।

-ভাগ্গিস দদুঃসপ্ন ছিল !"

*** আমদের জাতীয়তা বোধে এত সহজে আঘাত লাগে , এত সস্তা আমাদের এই বোধ !!! প্রতিনিয়ত উঠা নামা করে।
....কোটি, কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী , রেখেছ চেতনাময়ী করে, তাল গাছটা সরাও নি ! ***

Likes Comments
০ Share