Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

এস, আর, জনি

১০ বছর আগে লিখেছেন

আবারো ক্লিন বোল্ড হইলাম!!!!!!!! আমার কি হবে গোওওওও

আমার ছুড বেলার খেলার সাথি, বান্ধবি ও কাজিন (যার সাথেই একমাত্র আমার ভাল সম্পর্ক,) সে যখন “বিশ্ব ব্যাচেলর সংঘ” এর সেক্রেটারির পদ ছাড়িয়া দিয়া বিবাহ করিবার সিধ্যন্ত নিয়াছিল তখন যথেষ্ট ব্যাধিত হইলাম।  কিন্তু পরক্ষনেই মনে পড়িল বিবাহ ও গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে খানাপিনার পাশাপাশি অনেক সুন্দরি ও ষোড়শী’র আনা-গোনা হইবে, আমার একটা চান্স/গতি হইলেও হইতে পারে।  

এইরুপ মনোবাসনা লইয়া গতকাল “সুটেড বুটেড” হইয়া গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হইলাম। সবার পাজামা-পাঞ্জাবির ভিড়ে নিজে “স্যুটেড বুটেড” অবস্থায় প্রথমে কিঞ্চিৎ বিব্রত হইলেও, পরবর্তিতে এই ভাবিয়া খুশি হইলাম যে, যাক!!বাবা!! অনেকেরই দৃষ্টি আকর্শন করিতে তো সক্ষম হয়েছি।  

যখনই সবাই গলুদ লইয়া বিদি-ব্যাস্ত হইল তখন আমি আমার অপারেশন“খোজ দ্যা সার্চ” চালু করিলাম।প্রথমে নিজের পরিচিত মানুষ গুলকে আলাদা করিলাম। যদিও উহা বড়ই কস্ট সাধ্য ছিল,কেননা সকল নারীগন আগে থেকেই মনে হয় “একই ডঙ্গে হলুদ রঙের” শাড়ী পরিবার সিধ্যান্ত নিয়া ছিল।  

মনে মনে এই রুপ সিধ্যান্তের ত্রিব্য নিন্দা জানাইয়া “ফেবুতে স্টাটাস” দিব ভাবিতেছিলাম, সে সময় দেখিতে পারিলাম, ছাদের এক কোনে “এক একুশী রূপবতী” কন্যা আপন মনে গানের তালে তালে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে গান উপভোগ করিতেছে। আমিও আর সময় ক্ষেপন না করে তাহার পিছনে উদয় হইলাম এবং আমিও এমন ভাবে মাথা দুলাইতে লাগিলাম যেন গান’টা আমার খুব প্রিয়। যদিওঁ গাইতে পরিবেশন করছিল এলাকার উড়তি চ্যাঙারা পোলাপানের “ব্যান্ড”, এবং উহাদের গান শুনিয়া উহাদের কে “ব্যান” করার মনোবাসনা উপলব্দধি করিয়া ছিলাম। তথাপি এই “একুশী রূপবতী” কন্যা’র মন জয় করার জন্যে কিঞ্চিৎ “একটিং” মারিলাম।  

এরপর “শুভ পরিনয়ের” বাসনা লইয়া তাহার সাথে পরিচয় হইলাম। আমার সাপোর্ট পাইয়া তার গান শ্রবনের ইচ্ছা চরম আকার ধারন করিল। সে তার প্রিয় কিছু গান যেমন “দূরে কোথাও আছি বসে”, বিদায় বলেছি বন্ধু -ক্ষমা কর আমায়, বাহির বলে দূরে থাক-ভিতর বলে আস না। ইত্যাদি গান গাইবার জন্যে “চেংরা শিল্পি গুলকে” অনুরোধ করিতে লাগিল। এই রুপ গান আমার কাছে “ঘুমের ওষুধ” মনে হইলেও আমি কিছু বলিতে পারিলাম না, পিছে সম্পর্ক শুরুর আগে শেষ হইয়া যায়। তাই আমি আমার “একটিং” চালাইয়া গেলাম। তবে ভাগ্য ভাল, কারন তৌসিফ বা হৃদ্বয় কেউ আজ উপস্থিত ছিলেন না, থাকলা তাদের “গান বিকৃত” করার অভিযোগে নির্ঘাত মামলা করিতেন।

যাইহোক, আমাদের ফুসর-ফাসোর, টুকটাক কথা বার্তা চলিতে লাগিল, আর আমি সপ্নে দেখিতে লাগিলামঃ তাকে নিয়ে আজ কক্সবাজার, তো কাল রাঙ্গামাটি। সাথে শাহাবাগের ফুসকা ও মোস্তাকিমের কাবাবের সুগন্ধিও নাকে লাগিত লাগল। সপ্নের জাল দির্ঘ থেকে দির্ঘান্নিত হচ্ছে, ঠিক যেমনটি হিন্দি “ধুম-২” ছবির আলি দেখিতে পাইয়াছিল “বিপাশা’কে নিয়ে।  

আমার এইরুপ সপ্নের ব্যাঘাত ঘটাইল এক ২ বছর বয়সের এক পুচ্চকে আসিয়া। সে আমার এই নব্য প্রেয়সীকে ডাকিতে লাগিল।

হায় আল্লাহ!!! এই পিচ্চি কয় কি??? দিমু নাকি একখান থাপ্পড় লাগাইয়া!!!! 

আমাকে সে সুযোগ না দিয়ে সুন্দরি “এই পুচকে পোলাটারে” কোলে তুলিয়া লইল আর কহিল “মামা’কে হাল্যো বলো।

মামা!!!!

আমি তো পুরাই টাস্কি খাইলাম। তার মানে আমার “একুশী রূপবতী নব্য প্রেয়সী ” বিবাহিতা?????? তার একটা “ছানাও” আছে?????। 

হায়!! আমার চারিদিকে এ কি হইল। এত দিন টম এন্ড জেরি কার্টুনেই “বিনা মেঘে বজ্রপাত” দেখিতে পাইতাম, আজ নিজেই উপলব্দি করিলাম।

এইরুপ সুন্দরি নারীগণ যদি আগেই বাল্যবিবাহের কর্ম সাধন করে থাকে তাহলে “দেশ চলবে কেমনে, এই জাতীর কি হইবে???” হায় আফসুসু আর আফসুস।

“ক্লিন বোল্ড” হইবার পরে আমার আর সেখানে থাকার কোনো কারন খুজিয়া পাইলাম না।
অবশেষে ছাদের আরেক প্রান্তে গিয়া বসিয়া রইলাম। কিঞ্চিৎ “জলযোগ” করিবার জন্যে মন’টা আকুপাকু করিতে লাগিল, কিন্তু আত্তিয় স্বজনের মাঝে যেখানে বিড়িও টানিবারও স্বাধিনতা নাই সেখানে “জলের” চিন্তা করাটাই বোকামিই হইবে। তাই কিছু না করি চেয়ারের উপর “ঝিমাইন্না” মুরগির লাহান “ঝিমাইতে লাগিলাম”।

__________ চলবে, 
কারন আমার পাশের চেয়ারে বসা “এক ষোড়শী” এক্সকিউজ মি বলিয়া ডাকিতেছে বলে মনে হচ্ছে।





পুনশ্চঃ ইয়ে মানে আমি ফাউল একটা ব্লগার। তাই আমার লেখাও অনেক খারাপ তাই আপনার মুল্যবান সময় নস্ট করলাম বলে দুঃখিত।

Likes Comments
০ Share